Cyclone আতঙ্কে খোলা হচ্ছে কন্ট্রোল রুম, ‘কুইক রেসপন্স টিম’কেও তৈরি থাকার নির্দেশ
ঘুর্ণিঝড়ের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে সাধারণ মানুষের। এখনও পর্যন্ত হাওয়া অফিসের যা পূর্বাভাস তাতে জানা যাচ্ছে, শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে, সেটি ক্রমশ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকবে। যদিও রবিবার সন্ধ্যায় সেটি আরও ঘনীভূত
ঘুর্ণিঝড়ের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে সাধারণ মানুষের। এখনও পর্যন্ত হাওয়া অফিসের যা পূর্বাভাস তাতে জানা যাচ্ছে, শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে, সেটি ক্রমশ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকবে। যদিও রবিবার সন্ধ্যায় সেটি আরও ঘনীভূত হবে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
শুধু তাই নয়, সেটি ঘুর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে খবর। এরপর সেটি প্রথমে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ এবং পূর্ব-মধ্য বঙ্গোসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তবে হাওয়া অফিসের যা পূর্বাভাস তাতে জানা যাচ্ছে এই ঝড়ের অভিমুখ এখনও ওডিশা এবং অন্ধ্রপ্রেদেশের দিকেই।
প্রভাব পড়বে বাংলাতেও
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী বাংলার দিকে সরাসরি সাইক্লোন আছড়ে নাও পড়তে পারে। তবে যে কোনও মুহূর্তে বদলে যেতে পারে ঝড়ের অভিমুখ। তবে ইতিমধ্যে বাংলায় বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই কয়েকটি জায়গাতে বৃষ্টি শুরু হতে পারে বলে খবর। তবে ধীরে ধীরে সেই বৃষ্টি'র পরিমান বাড়বে বলেই জানাচ্ছেন হাওয়া অফিসের আধিকারিকরা। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলির কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
প্রস্তুতি উপকূলে
যে কোনও মুহূর্তে বদলে যেতে পারে পরিস্থিতি। আর সেদিকে তাকিয়ে প্রশাসনের তরফে সবরকম ভাবে প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগণায় প্রশাসনের তরফে একাধিক তৎপরতা চোখে পড়েছে। ইতিমধ্যে কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। জেলার প্রতিটি সাব-ডিভিশন এবং ব্লক স্তরে এই কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। যা নবান্নের সঙ্গে আগামদিনে যোগাযোগ রাখবে বলে খবর। এছাড়াও পাঁচটি আপৎকালীন 'কুইক রেসপন্স টিম' তৈরি রাখা হয়েছে বলে খবর।
বিশেষ নজর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলিতে
প্রশাসনের তরফে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলিতে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিশেষাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে মাইকিং করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফেও। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলিতে সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা মোতায়েন থাকবেন বলেও জানানো হয়েছে। হাওয়া অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাও হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। প্রয়োজনে উপকূল এলাকা থেকে মানুষকে সরানোর কাজ শুরু হবে বলে খবর।
স্মৃতি টাটকা!
গত কয়েক বছরে ঝড় তৈরি অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। যার মধ্যে বেশিরভাগ গতিমুখ বাংলার দিকেই। আম্ফান সহ একাধিক ঝড় আছড়ে পড়েছে বাংলাতে। যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় সুন্দরবন সহ দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিস্তারিত এলাকায়। যা এখনও সেখানকার মানুষের কাছে টাটকা। এই অবস্থায় ফের ঝড়ের আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে সেখানকার মানুষের।