ভূমি দফতর ঘুঘুর বাসা! নিজের দফতরকে দূষে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ভূমি দফতর ঘুঘুর বাসা! নিজের দফতরকে দূষে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রশাসনিক বৈঠকে নিজের দফতরকেও ছেড়ে কথা বললেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের দফতরের দুর্নীতি নিয়ে তিনি সরব হলেন প্রকাশ্য বৈঠকে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে তিনি সাফ জানালেন কোনও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় নয়। কাজকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। কোনও কিছুর জন্যই মানুষের পরিষেবা আটকে রাখা যাবে না।
বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি বলেন, ভূমি দফতর হল ঘুঘুর বাসা। সেই ঘুঘুর বাসা ভাঙতে হবে। এটা না ভাঙলে মানুষ সত্যিকারের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন। তিনি দফতরের কর্মীদের কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারপর তিনি জানান, কোনও কাজ ফেলে রাখা যাবে না। কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। মানুষ যেন ফিরে না যান, তার দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী তিন দিনের সফরে গঙ্গাসাগর গিয়েছেন। মঙ্গলবার গঙ্গাসাগরে সরেজমিনে তিনি মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক রয়েছে কি না তাও খোঁজ খবর নেন। এবং সর্বাধিক গুরুত্ব দেন কোভিড বিধি মেনে সমস্ত কাজ এগোচ্ছে কি না। তিনি এই মর্মেই মূলত বুধবার প্রশাসবনিক বৈঠকের ব্যবস্থা করেন।
বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিয়ে তিনি ডিএম, বিডিও পুর চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের সভাধিপতি-সহ পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। সকলের অভাব-অভিযোগ শোনেন। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৭০ কোটি টাকা বরাদ্দে ৫৮টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
তারপর প্রশাসনিক বৈঠকেই তিনি গর্জে ওঠেন ভূমি দফতরের কাজ নিয়ে। বারুইপুর পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান শক্তিপদ মণ্ডল ভূমি দফতরের কাজ নিয়ে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি বলেন, ভূমি দফতর এলাকায় ঠিকঠাক কাজ করছে না। তার ফলে মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বঙ্গ বিধানসভা ভোট থেকে কৃষি আইন প্রত্যাহার, ঘটনাবহুল চলতি বছরের রাজনীতি
বারুইপুর পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যানের মুখে অভিযোগ শোনার পর মুখ্যমন্ত্রী রাগে ফেটে পড়েন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ভূমি দফতরের আধিকারিকে দাঁড় করিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন। প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি বলেন, ভূমি দফতর একটা ঘুঘুর বাসায় পরিণত হয়েছে। এটা ভাঙতে হবে। আমাদের অফিসারদেরই সেই দায়িত্ব নিতে হবে। এরপরই তিনি দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন ভূমি দফতরের আধিকারিকদের।
এবারই প্রথম নয়, এর আগেও তিনি হাওড়া প্রশাসনিক বৈঠকে ভূমি দফতরের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেছিলেন, হাওড়ায় জমি নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। জেলা ভূমি দফতরের কর্তারা কাজ দেরিতে করছেন। কার নির্দেশে তাঁরা বিলম্বিত কাজ করছেন, আমি জানতে চাই।