রফতানি নিয়ে কেন্দ্রের আচমকা নিষেধাজ্ঞায় ৫০০ লরি পেয়াঁজ আটকে সীমান্তে
রফতানি নিয়ে কেন্দ্রের আচমকা নিষেধাজ্ঞায় ৫০০ লরি পেয়াঁজ আটকে সীমান্তে
পেয়াঁজ রফতানি নিয়ে কেন্দ্রের আকস্মিক নিষেধাজ্ঞায় সমস্যায় ব্যাবসায়ী থেকে ট্রাক চালকরা। আটকে রয়েছে আটকে ৫০০ লরি পেয়াঁজ। যার বাজার মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা।
প্রতিবছরই উত্তর ২৪ পরগণা জেলার দুই মহকুমা বসিরহাট ও বনগাঁ দিয়ে কয়েক হাজার টন পেয়াঁজ রপ্তানি হয় বাংলাদেশে। বনগাঁয় পেট্রাপোল এবং ভারত-বাংলাদেশের বসিরহাটের ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়েই নাসিকসহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা পেঁয়াজ রপ্তানি হয় বাংলাদেশে। কিন্তু সোমবার নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্র সরকার। যার ফলে এই পেঁয়াজের গাড়িগুলো সীমান্তে আটকে পড়েছে। না পাচ্ছে নিজের রাজ্যে ফিরে যেতে, না পারছে বাংলাদেশে রফতানি করতে।
জানা গিয়েছে, একদিকে বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তে দেশের বেশি পেঁয়াজের ট্রাক আটকে রয়েছে। অন্যদিকে বসিরহাটের সীমান্তে প্রায় প্রায় ৩০০ পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক আটকে রয়েছে। যাতে আনুমানিক ১২ হাজার টন পেঁয়াজ রয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা।
দুইয়ের যাঁতাকলে ফেঁসে গিয়েছে ট্রাক চালক থেকে খালাসী ও ব্যবসায়ীরা। ভিন রাজ্য থেকে আসা চালক খালেক সেখ ও আজম খান বলেন, বৃষ্টি ও সূর্যের আলোয় পেঁয়াজে পচন ও পোকা ধরেছে। সব মিলিয়ে যত সময় যাচ্ছে ততই ক্ষতির পরিমাণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
চার দিন আগে আসা ট্রাক চালক আরও জানান, আমাদের কাছে টাকা পয়সা শেষ হয়ে গেছে, কিছুই করে খেতে পারছি না। যদি রফতানি না হয় তাহলে আমাদের ক্ষতি তো হবে, এমনকি রাজ্যে ফিরে যেতে পারবো না। কেন্দ্র সরকারের হঠকারি সিদ্ধান্তে ভিন রাজ্য থেকে আসা ট্রাকের চালক ও খালাসী বিরোধিতা করেছেন। তারা বলছেন, যখন খুশি তখন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসায়ী মহল থেকে শ্রমিক সংগঠন।
দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে লাফিয়ে, অথচ ভারতে কোভিড টেস্ট হচ্ছে ধীরগতিতে