নোদাখালিতে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, মৃত কমপক্ষে ৩, তদন্তে পুলিশ
নোদাখালিতে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, মৃত কমপক্ষে ৩, তদন্তে পুলিশ
শক্তিশালী বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালি। গ্রামের একটি বসত বাড়ির চাল পুরো উড়ে গিয়েছে বিস্ফোরণে। কমপক্ষে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের দেহ ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বাড়িটিতে প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। সেগুলি কি ছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১২ সালে বর্ধমানের খাগড়াগড়ে এভাবেই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল একটি বাড়ি। তারপরেই প্রকাশ্যে এসেছিল জেএমবি জঙ্গিদের ডেরা।
বুধবার সকাল প্রায় সাড়ে ৮টা নাগাদ তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল নোদাখালির মোহনপুর গ্রাম। পর পর ৩ বার বিস্ফোরণ ঘটেছে। ২ কিলোমিটার পর্যন্ত কেঁপে উঠেছিল এলাকা। যে বসত বাড়িটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। তার চারপাশের বেশ কিছু বাড়ি ঘর ভেঙে পড়েছে। এতটাউ তীব্রতা ছিল বিস্ফোরণের। যে বাড়িটিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই বাড়িটির মালিকের নাম অসীম মণ্ডল(৪৮)। বিস্ফোরণের তীব্রতায় বাড়ির ৩ জন মারা গিয়েছেন। তাতে বাড়ির মালিক অসীম মণ্ডল েযমন রয়েছেন। তেমনই রয়েছেন বাড়ির মালিকের মামিমা কাকলি মিদ্দা, এবং কারখানার কর্মচারী অতিথি হালদার। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল বাড়িটিতে বেআইনি ভাবে বাজি তৈরি করা হত। সেকারণেই দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। সেই থেকেই বিস্ফোরণ। কিন্তু বিস্ফোরণের তীব্রতায় অন্য কিছু সন্দেহ করা হচ্ছে। বাজি তৈরির নামে কোন দাহ্য পদার্থ মজুত করেছিলেন বাড়ির মালিক তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান দমকলকর্মীরাও। বেশকয়েক বছর আগে খাগড়াগড়ে এভাবেই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল বসতবাড়ি। প্রথমে বাজি কারখানা বলেই অনুমান করেছিল পুলিশ। পরে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। বাংলাদেশে জেএমবি জঙ্গিরা সেই বাড়িতে ডেরা তৈরি করে বোমা তৈরি করছিল বলে জানা যায়। নোদাখাবির এই ঘটনার সঙ্গে সেরকম কোনও যোগ রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।