বিজেপি মণ্ডল সহ-সভাপতিকে বেধড়ক মারধর, জনরোষ বলছে তৃণমূল! বাসন্তীর নেতা ভর্তি কলকাতার হাসপাতালে
বিজেপি করার অপরাধে বেধড়ক মার বিজেপির মণ্ডল সহ সভাপতিকে। ঘটনাটি বাসন্তী বিধানসভার অন্তর্গত ঝড়খালি কোস্টাল থানার ঝড়খালি বাজারের। পরিবার ও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতর নেতা অমল মণ
বিজেপি করার অপরাধে বেধড়ক মার বিজেপির মণ্ডল সহ সভাপতিকে। ঘটনাটি বাসন্তী বিধানসভার অন্তর্গত ঝড়খালি কোস্টাল থানার ঝড়খালি বাজারের। পরিবার ও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতর নেতা অমল মণ্ডলকে কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
বিজেপি নেতাকে বেধড়ক মার
এলোপাতাড়ি মারধরে গুরুতর আহত হলেন বাসন্তীর বিজেপি চার নম্বর মণ্ডলের সহ-সভাপতি অমল মণ্ডল। ঘটনাটি বাসন্তী বিধানসভার অন্তর্গত ঝড়খালি কোস্টাল থানার ঝড়খালি বাজারের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝড়খালি পার্বতীপুরের বাসিন্দা অমল মণ্ডল গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে কাজ করেছিলেন। ২০২১-এর নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় তিনি ঘরছাড়াও ছিলেন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তিনি বাড়ি ফেরেন। বর্তমানে অমল মণ্ডল বাসন্তী বিজেপির চার নম্বর মণ্ডলের সহ-সভাপতি। আর সেটাই রাগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় শাসকদলের নেতৃত্বদের। বুধবার চায়ের দোকানে বসে থাকার সময়. তাঁর ওপরে হামলা চালায় শাসকদলের ৪০-৫০ জনের দুষ্কৃতীদল। তাকে ঝড়খালি বাজারে মারধর করে। পেটে কিল চড় ঘুষি মারতে থাকে বেশ কয়েকজন যুবক। তারা সবাই শাসক দলের কর্মী। এমনটাই অভিযোগ অমল মন্ডলের পরিবারের। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। তাঁর গাড়িটিও ফেলে দেওয়া হয়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি কলকাতার হাসপাতালে
প্রথমে অমল মণ্ডলকে গুরুতর আহত অবস্থায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকদের পরামর্শে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের তরফে তৃণমূল নেতা বিধান বাইন এবং ঝড়খালি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দিলীপ মণ্ডলকে গ্রেফতারের দাবি তোলা হয়েছে।
রাজনীতি মানতে নারাজ তৃণমূল
পরিবারের
অভিযোগ
এই
ঘটনায়
নেতৃত্ব
দিয়েছে
বিধান
বাইন
এবং
দিলীপ
মণ্ডলের
মতো
স্থানীয়
তৃণমূল
নেতা।
এ
ঘটনা
ঝড়খালি
কোস্টাল
থানায়
প্রথমে
অভিযোগ
নিয়ে
চায়নি
বলে
অভিযোগ
পরিবারের।
অভিযুক্ত
তৃণমূল
নেতাদের
নাম
বাদ
দিতে
চাপ
দেওয়া
হয়।
পরে
অবশ্য
সেখানে
লিখিত
অভিযোগ
গায়ের
করা
হয়।
স্থানীয়
তৃণমূল
নেতৃত্ব
তথা
বিধায়ক
শ্যামল
মণ্ডল
মারধরের
কথা
স্বীকার
করে
নিলেও,
এই
ঘটনায়
রাজনীতি
যোগের
কথা
অস্বীকার
করেছেন।
অন্যদিকে
দলের
সহসভাপতি
জয়প্রকাশ
মজুমদার
সংবাদ
মাধ্যমের
সঙ্গে
সাক্ষাৎকারে
বিষয়টি
জনরোষে
বলে
ইঙ্গিত
করেছেন।
তিনি
বলেছেন,
বিজেপি
নেতারা
পুঁতে
ফেলব,
বুকের
ওপরে
দাঁড়াব
বলায়
এই
পরিস্থিতি
তৈরি
হয়েছে।
এব্যাপারে
তিনি
বিজেপি
নেতাদের
কটূকথা
থেকে
বিরত
থাকার
পরামর্শ
দেন।
হাসপাতালে গেলেন অগ্নিমিত্রা পাল
অদিন কলকাতায় হাসপাতালে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি হাসপাতাল সুপারের সঙ্গেও কথা বলেন। অগ্নিমিত্রা জানান বিজেপি ওই নেতার পাশে রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূল ততই মরিয়া হয়ে এই ধরনের ঘটনা বেশি ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে বিজেপি পিছিয়ে যাবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সরকারের হাতে ছাড়লে বগটুই হবে! ভাইফোঁটায় মা-বোনেদের নিরাপত্তা নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ