বেসুরো শান্তনু ঠাকুর, সিএএ নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ, মতুয়া ভোটে কোপ পড়ার আশঙ্কা
বেসুরো শান্তনু ঠাকুর, সিএএ নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ, মতুয়া ভোটে কোপ পড়ার আশঙ্কা
কয়েকদিন আগে যিনি রাজ্যে সিএএ চালু করার দাবিতে সভা করেছিলেন। তিনিই এবার সেটা রাজ্যে লাগু না হওয়া নিয়ে প্রকাশ্যে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তিনি অভিযোগ করেছেন, মোদী সরকার ভয়ে সিএএ চালু করতে চাইছেন না বাংলায়। বিরোধিতার ভয়ে পিছিলে যাচ্ছে। দাঙ্গার ভয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। শান্তনু ঠাকুরের প্রকাশ্যে এই মন্তব্যের পরেই মতুয়া ভোট নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রাজ্যে প্রথম আসার পরেই মতুয়া ভোটের টার্গেটে মতুয়া বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজন করেন শান্তনু ঠাকুর।
সিএএ নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ
সিএএ কেন চালু করছে না মোদী সরকার। এই নিয়ে প্রকাশ্যে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তিনি প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছেন দাঙ্গার ভয়ে সিএএ লাগু করা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছেন শান্তনু ঠাকুর। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এই নিয়ে প্রকাশ্যে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ। তিনি অভিযোগ করেছেন ২০১৯ সালে আইন পাল হয়েছে। অথচ সেটা লাগু করতে এতো ভয় পাচ্ছে মোদী সরকার। বিরোধিতার ভয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে মোদী সরকার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সিএএ আইন পাসের পর গোটা দেশ আন্দোলনে তোলপাড় হয়েছিল।
স্বস্তি বাড়ালেন শান্তনু
সিএএ নিয়ে প্রকাশ্যে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার তীর বিঁধে সরব বিজেপি সাংসদ। অস্বস্তি বাড়িয়েছে বিজেপির। কারণ রাজ্যে প্রথম এসেই মতুয়া ভোটকে টার্গেট করেছিলেন অমিত শাহ। মতুয়া কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজন সেরেছিলেন তিনি। তারপরেই শান্তনু ঠাকুর সভা করে সিএএ লাগুর দাবিতে সরব হয়েছিলেন। তার এক মাস পেরোতে না পেরোতেই উল্টো সুর শোনা গেল তাঁর কণ্ঠে। অমিত শাহ দ্বিতীয়বার সফরে এসে স্পষ্টই বলে গিয়েছেন এখনই রাজ্যে সিএএ লাগু করেছে না মোদী সরকার। ভোট মিটলে তবে ভাবা হবে।
সিএএ তরজা
এদিকে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়রা বারবার সভা করে আস্ফালন শুরু করেছেন। জানুয়ারি থেকেই বাংলাদেশি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে বারাসতে গিয়ে বলেছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তারপর থেকেই সিএএ নিয়ে রাজনীতির পারদ চড়তে শুরু করেছে। একাধিক সভায় গিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয় সিএএ নিয়ে সরব হয়েছেন। রাজ্যে বিজেপি এলেই একমাত্র এটা করে দেখাতে পারবে বলে আক্রমণ শানিয়েছিলেন তিনি।
শান্তনুর হুঁশিয়ারি
বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর প্রকাশ্যে মতুয়া সম্প্রদায়ের নাগরিত্বের অধিকার নিয়ে সরব হয়েছেন। যতদিন না তাঁরা এই অধিকার পাচ্ছেন ততদিন আন্দোলন চালীয় যাবেন বলে প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। এতে একটু হলেও অস্বস্তি বাড়িয়েছে বিেজপির। কারণ একুশের ভোটের আগে রাজ্যে সিএএ লাগু করতে চাইছে না বিজেপি। কারণ এই ইস্যুতে আগেই বিরোধিতার সুর চড়িয়ে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোট কোপ প়ড়ার আশঙ্কায় আপাতত বঙ্গে সিএএ অভিযান স্থগিত রাখার পক্ষেই অমিত শাহরা।