বিজেপিতে ভাঙন-জল্পনা বেড়েই চলেছে, ইস্তফার হিড়িকের পরে ৫ বিদ্রোহী নেতাকে শোকজ
বিজেপিতে ভাঙন-জল্পনা বেড়েই চলেছে, ইস্তফার হিড়িকের পরে ৫ বিদ্রোহী নেতাকে শোকজ
বিজেপি কিছুতেই ভাঙন ঠেকাতে পারছে না। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে ভেঙেই চলেছে বিজেপি। সম্প্রতি গণ ইস্তফার হিড়িক পড়ে যায় উত্তর ২৪ পরগনা বিজেপিতে। এবার ৫ বিদ্রোহী নেতাকে শোকজ করে পাল্টা দিলেন বিজেপি জেলা সভাপতি। উপনির্বাচনের ফল বেরনোর পর থেকে রাজ্য বিজেপিতে ভাঙন-জল্পনা আরও তীব্রতর রূপ নিয়েছে।
জেলায় জেলায় বিজেপিতে দ্বন্দ্ব
বিজেপিতে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে। সম্প্রতি দিলীপ বনাম সুকান্ত দ্বন্দ্বও তীব্র হয়েছে বিজেপিতে কোথাও জেলা শীর্ষ নেতৃত্ব আবার কোথাও রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগে দল ছাড়ছেন অনেকে। অনেকে বিদ্রোহী হয়ে ওঠায় তাঁদের শোকজও করা হচ্ছে। মোট কথা জেলায় জেলায় বিজেপিতে দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে।
পাঁচ বিদ্রোহী নেতাকে শোকজ
জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন অনেকে। অনেকে দল ছেড়েছেন। এবার জেলা সভাপতিরা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নিলেন। দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণার পর পাঁচ বিদ্রোহী নেতাকে শোকজ করলেন জেলা সভাপতি। বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলায় দ্বন্দ্ব ফের নতুন রূপ নিল।
৫ জনকে শোকজ নোটিশ
বারাসত জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে তোপ দেগে ১৫ বিজেপি নেতা পদত্যাগ করেছিলেন কয়েকদিন আগে। এবার তাঁদের মধে ৫ জনকে শোকজ নোটিশ পাঠালেন বিজেপির জেলা সভাপতি। তার পাল্টা দিতেও ছাড়েননি বিজেপির বিদ্রোহী নেতারা। তাঁরা বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে টানা লড়াই চলবে। জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে মুখ খোলেন বিদ্রোহী নেতারা।
১৫ জন বিজেপি নেতার পদত্যাগ
জেলা সভাপতি তাপস মিত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্বজনপোষণের। অযোগ্য ব্যক্তিদের ইচ্ছমতো পদ দিয়েছেন তিনি। যোগ্য ব্যক্তিরা পদ পাননি। তাই তাঁর দলের নেতারাই তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বলে দাবি। এই অভিযোগেই পদত্যাগের হিড়িক পড়েছিল। এই অভিযোগে পদত্যাগ করেছিলেন ১৫ জন বিজেপি নেতা। রবিবারের সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শোকজ নোটিশ পাঠালেন জেলা সভাপতি। তাঁদের মধ্যে ৫ নেতাকে শোকজ করা হয়েছে।
বিজেপির অর্জুন কাঁটা
তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনায় সরব হয়েছে জোড়াফুল। এই দল নিজেদের সংগঠন সামলাতে পারে না। তাঁরা আবার রাজ্য দখলের স্বপ্ন দেখে। সম্প্রতি বিজেপিতে আরও একটি দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং তৃণমূলের সুরে কথা বলছেন। তিনি পাটশিল্প নিয়ে বিজেপি সরকারকে তুলোধনা করেছেন সম্প্রতি। তাতেও ভাঙন জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য বিজেপিতে। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীকেও চিঠি লিখেছেন। সম্প্রতি অর্জুনের কাছে থেকে বিক্ষোভের আঁচ পেয়ে বিজেপি চটজলদি বিদ্রোহ প্রশমণে নেমেছে। তবে অর্জুন পাল্টা জানিয়েছেন, অনতিবলম্বে সমস্যার সমাধান না বলে বড়সড় আন্দোলনোর পথে নামবেন তিনি।
তৃণমূল অধ্যাপক সংগঠনের সদস্য সুকান্তই কি বিজেপির রাজ্য সভাপতি, জল্পনা তুঙ্গে