কাজ দেওয়ার নাম করে ভিনরাজ্যে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ, চাঞ্চল্য বসিরহাটে
কাজ দেওয়ার নাম করে ভিনরাজ্যে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ, চাঞ্চল্য বসিরহাটে
কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ভিন রাজ্যে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণ, মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। অপরাধীর শাস্তির দাবি আর্জি নিয়ে বাবা মা কে সাথে করে নির্যাতিতা নিজেই হাজির হল থানায়। এমনই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবা মা দুজনেই ভিক্ষা করে সংসার চালায়। অভাবের তাড়নায় নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা পরিবারের। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী, বছর ১৪ র নাবালিকাকে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশে নিয়ে গিয়েছিল প্রতিবেশী যুবক, বছর বাইশের সাদ্দাম গাজী। সেখানে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে কাজের বদলে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই কথা বাড়িতে বলতে বারণ করে সাদ্দাম। ওই ছাত্রীর শারীরিক ও মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার উপর লকডাউনের জেরে বাড়িও ফিরতে পারছিল না। এই কথা বাড়িতে ফোন করে একাধিকবার জানায় নাবালিকা।
অভিযুক্ত যুবক ভাটার ঠিকাদারের কাজের সঙ্গে যুক্ত। আগস্ট মাসের ১ তারিখে পাইকপাড়ার বাড়িতে আসলে ওই নির্যাতিতা নাবালিকা ছাত্রী পুরো বিষয়টা গ্রামের মানুষকে জানিয়ে দেবে বলে যুবককে জানায়। ছাত্রীর অভিযোগ, কয়েক মাস আগে সাদ্দাম তার মাথা ন্যাড়া করে দেয়। এমনকি ঐ যুবক নির্যাতিতা ও তার পরিবারকে একাধিকবার ভয় দেখায় যাতে তারা পুলিশে অভিযোগ না করে। বসিরহাট থানায় নাবালিকা তার পরিবারকে সঙ্গে করে যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করে। অভিযুক্ত যুবক পলাতক। নির্যাতিতা নাবালিকা ও তার পরিবার কাদের সরদার ব্লক কংগ্রেসের সভাপতির দাবি জানিয়েছে দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে
উত্তরবঙ্গে হাতিদের অস্বাভাবিক মৃত্যু, বাড়ছে চোরাশিকারি