কালী মূর্তি ভাঙার অভিযোগে উত্তেজনা! CCTV-কে ভিত্তি করে পুলিশের জালে প্রতিমা শিল্পী-সহ তিন
প্রতিমা তৈরির কারখানায় রাতের অন্ধকারে ৭টি মূর্তি ভাঙার ঘটনায় এদিন প্রতিমা শিল্পী সহ তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতের ঘটনা সোমবার সকালে প্রকাশ্যে আসার পর ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রামনগর থানার
প্রতিমা তৈরির কারখানায় রাতের অন্ধকারে ৭টি মূর্তি ভাঙার ঘটনায় এদিন প্রতিমা শিল্পী সহ তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতের ঘটনা সোমবার সকালে প্রকাশ্যে আসার পর ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রামনগর থানার মুকুন্দপুর এলাকায়। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
প্রথমে অভিযোগ
দক্ষিণ ২৪ পরগনার রামনগর থানার মুকুন্দপুর এলাকায় প্রতিমা শিল্পী প্রভাত সরদারের ওয়ার্কশপে কালীপুজোর দিন এই ঘটনা ঘটে। প্রতিমা শিল্পী প্রভাত সরদা অভিযোগ করেছিলেন, রাতে দুর্বৃত্তরা ওয়ার্কশপে ঢুকে বেশ কিছু প্রতিমা ভাঙচুর করেছে। এদিকে এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পাওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করে।
আসল ঘটনা
ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে অভিযোগ পাওয়ার পরে তদন্ত শুরু করেন। পুলিশ জানতে পারে, বায়নাদারেরা কালী মায়ের মূর্তির গঠন ও গুনমান নিয়ে খুশি ছিল না। তার ওপর বায়নার অর্থ ফেরতের চাপ ছিল। তাই প্রহ্লাদ সরদার এবং তার ভাই প্রতাপ সরদার এবং পুষ্পেন্দু বেরা মিলে প্রতিমাগুলো ভাঙে। ঘটনাটি অন্যভাবে সাজিয়ে স্থানীয় মানুষজনকে জানায়। ঘটনার সময় তারা সকলেই মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে অভিযুক্তরা নিজেই স্বীকার করেছে।
জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তি
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সরদার ভাইয়েরা জানায়, কালী পুজোয় মূর্তি কেনার লোক পাওয়া যায়নি, একথা ছড়িয়ে পড়লে, তাঁদের খ্যাতি নষ্টের ভয় ছিল। যা তাঁদের ব্যবসাকে প্রভাবিত করতে পারে, এই আশঙ্কায় নিজেদের তৈরি মূর্তি নিজেরাই ক্ষতি করে। মূর্তি বিক্রির ব্যর্থতা ঢাকতে তারা যে অজুহাত খাড়া করতে চেয়েছিল তাতে উত্তেজনা তৈরি হয়।
পুলিশের তদন্তে সাহায্য করেছে সিসিটিভি ফুটেজ
এই ঘটনার তদন্তে পুলিশকে সাহায্য করেছে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ। সিসিটিভি ছাড়াও পারিপার্শ্বিক নানা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ প্রথমে অভিযুক্তদের ধরে। তারপরে অভিযুক্তরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের সামনে ভেঙে পড়ে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার জানিয়েছেন এই ঘটনায় পুলিশ প্রহ্লাদ সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি তিনি সাধারণ মানুষের কাছে গুজবে কান না দিতে আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি পুরো ঘটনা না জেনে দায়িত্বশীল নাগরিকদের সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও মন্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বানও জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।