বয়সে ছোট হয়েও মমতাকে প্রণাম করতে দেখেছিলাম! মিঠুন প্রসঙ্গে বিস্ফোরক প্রাক্তন মন্ত্রী
পদে মনোনয়ন পেশ করার পর নবান্নে এসে কার্যত বয়সে ছোট মমতার হাঁটু ছুঁয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল মিঠুনকে। আজ বিজেপিতে যোগ দিয়েই ব্রিগেডের মঞ্চে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদীকে হাঁটু ছুঁয়ে প্রণাম করার চেষ্টা করলেন তিনি। আমি
ব্রিগেড থেকে বাংলা আর বাঙালিকে প্রাণে মারার প্রসঙ্গে বড়সড় বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্যকে ঘিরে রাজ্যের প্রায় সব মহলেই শুরু হয়ে গিয়েছে তীব্র নিন্দা ও সমালোচনা ঝড়। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে চলছে পাল্টা আক্রমণ।
রাজ্যের শাসক দলের তরফে চলছে নির্বাচন কমিশনের কাছে এই নিয়ে অভিযোগ জানানোর পালাও। কার্যত মোদী ব্রিগেডের সব প্রচারের আলো শুষে নিয়েছে 'মহাগুরু'র প্রাণে মারার হুমকি প্রসঙ্গ এরই মধ্যে মিঠুনকে গরু বলে আক্রমণ করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এবারের তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র।
এদিন বিকালে এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে কার্যত মিঠুনকে 'গরু' বানিয়ে দিলেন মদনবাবু। একই সঙ্গে 'মহাগুরু'র দিকে ছুঁড়ে দিয়েছেন একগুচ্ছের প্রশ্ন। বলেছেন, 'ওনাকে তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করে পাঠিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পদে মনোনয়ন পেশ করার পর নবান্নে এসে কার্যত বয়সে ছোট মমতার হাঁটু ছুঁয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল মিঠুনকে। আজ বিজেপিতে যোগ দিয়েই ব্রিগেডের মঞ্চে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদীকে হাঁটু ছুঁয়ে প্রণাম করার চেষ্টা করলেন তিনি। আমি খুব দুঃখ পেলাম।
মিঠুন চক্রবর্তী বলে আমি যে মানুষটাকে চিনতাম, চাপের কাছে নত হওয়ার মতো মেরুদণ্ড ছিল না। কিন্তু দেখা গেল মানুষের জীবনে এমন একটা সময় আসে, যে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খাওয়ানোর চেষ্টা হয়।
মিঠুন যে বললেন, আমি হেলেও নই, ঢোরাও নই, আমি গোখরো, সত্যিই ওঁ যদি গোখরো হতেন, তাহলে মোদীর পায়ে গিয়ে জমা হতেন না। মিঠুন চক্রবর্তী আসলে জলঢোড়া, তা না হলে মোদীর পায়ে গিয়ে মাথা ঠেকাতেন না।
ডায়লগে গোখরো বলা যায়। জীবন যখন হেলে, ঢোড়া হয়ে যায়, তখন বাইরে ডায়লগটা থাকে গোখরোর মতো, কিন্তু ওটা আসলে হেলে ঢোরা হয়ে যায়। মিঠুন চক্রবর্তী যেন ভুলে না যান, আমরাও খবর দেখি না, পড়ি না। খবর তৈরি করি। মারব এখানে, পড়বে ঝাড়খণ্ডে।'