ভোট শুরু হতেই বোমাবাজি ক্যানিংয়ের ঘুমরিতে, আইএএসএফের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ
ক্যানিংয়ের ঘুমরিতে ভোটারদের ভয় দেখাতে আইএসএফের বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগ ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল প্রার্থী শওকত মোল্লার।
তৃতীয় দফাতেও ছবিটা বদলালো। অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে ৮০০ এরও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে কমিশন। কিন্তু কোথায় কি? সকাল থেকে সর্বত্র সন্ত্রাসের ছবি। কোথাও বোমাবাজির খবর সামনে আসছে তো আবার খোদ প্রার্থীদের উপর হামলার অভিযোগ। ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে বাংলার ভোট। বিরোধীদের অভিযোগ একের পর এক অভিযোগ জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
সকাল থেকেই বোমাবাজি
ক্যানিংয়ের ঘুমরিতে ভোটারদের ভয় দেখাতে বোমাবাজির অভিযোগ। একের পর এক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় উত্তপ্ত ক্যানিং পূর্বে। এমনটাই অভিযোগ তৃণমূল প্রার্থী শওকত মোল্লার। তাঁর অভিযোগ, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আইএসএফ। এখনও পর্যন্ত বোমা ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় পড়ে রয়েছে বলে খবর। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু বাহিনীর তরফে কিছু না করার অভিযোগ তৃণমূলের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা।
উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা
সকাল থেকে সংযুক্ত মোর্চা জোটের আইএসএফের সঙ্গে তৃণমূলের দ্বন্দ্বে ভোটের দিন উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা। মগরাহাট পশ্চিমের আইএসএফ প্রার্থী মইদুল ইসলামের সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী মন্ত্রী গিয়াসুদ্দিন মোল্লার বচসার পর বেলা গড়াতেই ক্যানিং পূ্র্বে প্রায় একই ধরনের ঘটনা। তবে এখানে দ্বন্দ্বের কারণ আরও বড়। আইএসএফ বোমাবাজি করছে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিষ্ক্রিয়, জোড়া অভিযোগ তুলে রাস্তায় ধরনায় বসলেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল প্রার্থী শওকত মোল্লা। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন তিনি।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে মমতার তোপ
এদিন এক টুইট বার্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের একবার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাঠগড়ায় দাঁড করিয়ে লেখেন, 'কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্মম অপব্যবহার অব্যাহত রয়েছে। আমরা বারবার এই সমস্যা উত্থাপন করা সত্ত্বেও, নির্বাচন কমিশন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। টিএমসি ভোটারদের প্রকাশ্যে ভয় দেখানোর জন্য এবং একটি নির্দিষ্ট দলের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদেরকে প্রভাবিত করার জন্য ইউনিফর্মের অপব্যবহার করা হচ্ছে।'
'তৃতীয় দফাতে এগিয়ে থাকবে ঘাসফুল শিবির'
এর আগে সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে লিখেছিলেন, 'বাংলার মা-মাটি-মানুষকে আমার আবেদন - নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করুন, সবাই আসুন, ভোট দিন। সকাল সকাল ভোট দিন।' এদিকে বিভিন্ন অভিযোগের মাঝেও তৃণমূলের তরফে দাবি, প্রথম এবং দ্বিতীয় দফায় এগিয়ে আছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ তৃতীয় দফাতেও এগিয়ে থাকবে ঘাসফুল শিবির৷ জয়ী হবেন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই৷
৮৩২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী
তৃতীয় দফায় অশান্তি এড়াতে একেবারে কোমর বেঁধে নেমেছে নির্বাচন কমিশন। মোট ৮৩২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে সমস্ত ভোট কেন্দ্র মিলিয়ে। তার মধ্যে ৬১৮ কোম্পানি বুথের নজরদারিতে মোতায়েন করা হবে। বাকি বাহিনীকে এরিয়া ডোমিনেশনের কাজে ব্যবহার করা হবে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, অশান্তি এড়াতে শুধুমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেই থাকছে ৩০৭ কোম্পানি। এর মধ্যে বারুইপুর পুলিশ জেলায় ১৩০ কোম্পানি, ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলায় ১১৩ কোম্পানি, সুন্দরবন পুলিশ জেলায় ৬৪ কোম্পানি। হাওড়তেও ১৪৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। তার মধ্যে ১৩২ কোম্পানি থাকছে হাওড়া গ্রামীণে ও হাওড়া কমিশনারেটে থাকছে ১১ কোম্পানি। হুগলি গ্রামীণে থাকছে ১৬৭ কোম্পানি বাহিনী।