আবারও ভাঙল নদী বাঁধ, নতুন আতঙ্কে সুন্দরবনের মানুষ
আবারও ভাঙল নদী বাঁধ, নতুন আতঙ্কে সুন্দরবনের মানুষ
আম্ফান বিপর্যয় কেটে যাওয়ার পর চারমাসের মধ্যে আবারও সুন্দরবনে নদী বাঁধ ভেঙে গ্রামের মধ্যে হুহু করে ঢুকছে জল। প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা। হঠাৎ করে নদী বাঁধ ভাঙায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে কয়েকটি গ্রামের মানুষ।
জানা গিয়েছে, এদিন মাঠের কাজ করতে গিয়ে প্রথমে চাষীরা দেখতে পান এই বাঁধ ভাঙার পরিস্থিতি। বসিরহাট মহকুমা হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক এর যোগেশ গঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়মঙ্গল নদীর প্রায় ১০০ ফুট নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত পারঘুমটি, সরদারপাড়া, মঙ্গল চন্ডী সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।
হুহু করে নোনা জল ঢুকেছে গ্রামের মধ্যে। সোমবার এই পরিস্থিতির কথা খবর দেওয়া হলে সেখানে পৌঁছন অন্যান্যরা। ঘটনাস্থলে সেচ দপ্তর ও স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসন গিয়ে বালির বস্তা, বাঁশ, মাটি দিয়ে নদীর নোনাজল আটকানোর চেষ্টা করছে। একে আম্ফানের জেরে বিধ্বস্ত সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ। তার ওপরে রায়মঙ্গল নদীর বাঁধ ভাঙল। যেন মরার উপর খাড়ার ঘা।
নদীর ভরা কোটালের জন্য বাঁধ ভাঙে বলে অনুমান প্রাথমিকভাবে সেচ দপ্তরের অনুমান ও গ্রামবাসীদের। তবে কীভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দিয়ে স্বাভাবিক নিয়মে চলবে তা নিয়েই চেষ্টা চালাচ্ছেন সকলে। যত দ্রুত সম্ভব জলঢাকা আটকিয়ে বাঁধ মেরামতির কাজ করা যায় তার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পরবর্তীতে কোন মিষ্টির সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানা গিয়েছে শেষ দপ্তর সূত্রে।
গ্রামবাসীদের বক্তব্য, গ্রামে নোনা জল ঢুকে যেমন ফসলের ক্ষতি হয়েছে অন্যদিকে মেছোভেরির মাছ নষ্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে সামনে ১৬ই সেপ্টেম্বর মহালয়া কলাকাটা অমাবস্যা, ভরা কোটাল নতুন করে আতঙ্কের ছায়া দেখছে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মানুষ।
ঘটনাস্থলে হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মন্ডল সহ তৃণমূল নেতৃত্ব ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে দেখছেন। একদিকে পরিদর্শনে অন্যদিকে তদারকি করছেন এবং আশেপাশের গ্রামের গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলছেন তাদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণের ব্যবস্থা করছেন।
বাংলায় করোনা-লিডার উত্তর ২৪ পরগনা, অন্য জেলার কী অবস্থা, একনজরে পরিসংখ্যান