চুরির টাকা খরচা করে সন্ত্রাসের গড় বানিয়েছেন অভিষেক, ভারত-যাত্রা থেকে খোঁচা অধীরের
রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার অংশ হিসেবে বাংলায় সাগর থেকে পাহাড় পদযাত্রা শুরু করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। গঙ্গাসাগর থেকে পূণ্য কলস মাথায় নিয়ে কংগ্রেসের এই যাত্রা এখন চলছে অভিষেকের গড় ডায়মন্ড হারবারে।
রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার অংশ হিসেবে বাংলায় সাগর থেকে পাহাড় পদযাত্রা শুরু করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। গঙ্গাসাগর থেকে পূণ্য কলস মাথায় নিয়ে কংগ্রেসের এই যাত্রা এখন চলছে অভিষেকের গড় ডায়মন্ড হারবারে। বছরের শেষদিনে এই পদযাত্রা থেকে অভিষেকের গড়কে সন্ত্রাসের গড় বলে কটাক্ষ করলেন অধীর চৌধুরী।
যে নেতার যেখানে দাপট বা যে জেলায় যাঁর দাপট, সেই এলাকাকে তাঁর গড় হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। যেমন মুর্শিদাবাদকে বরাবর অধীর চৌধুরীর গড় বলা হয়েছে। তাঁকে মুর্শিদাবাদের রবিনহুডও বলা হত। তেমনই ডায়মন্ড হারবারকে অভিষেকের গড় বলা হচ্ছে। এদিন তা নিয়েই সরব হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রে কারও গড় বলে কোনও কথা হয় না। আজ দেখা যাচ্ছে কারও শাসন, পরের দিন অন্য কারও। আর আপনারা যে ডায়মন্ড হারবারকে অভিষেক গড় বলছেন, আমি তো বলব এটা সন্ত্রাসের গড়। অধীর বলেন, চুরির টাকা জলের মতো খরচা করে ডায়মন্ড হারবারকে সন্ত্রাসের গড় বানিয়েছেন অভিষেক।
অধীরের কথায় মানুষের সমর্থন কারও পেটেন্ট নেওয়া নেই। আজ যা আছে, কাল তা বদলে যাবে। এটাই গণতন্ত্রের নিয়ম। পাল্টা তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এই জেলায় তো আপনারা কোনও পঞ্চায়েত জিততে পারেননি, পুরসভা জিততে পারেননি। তারপরেও তৃণমূলের গড় বলে পরিচিত এই জেলা, এই ডায়মন্ড হারবারকে কেন বেছে নিলেন?
তার জবাবে অধীর চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্রের প্রতি যদি বিশ্বাস থাকে, একবার ভরসা করে গণতান্ত্রিকভাবে সন্ত্রাস না করে ভোট করে দেখুক না তৃণমূল। তাহলেই দেখবেন কংগ্রেস জিততে পারে কি না। আর তৃণমূলেরও তো একবার পরীক্ষা করে দেখা দরকার, কতটা জন সমর্থন রয়েছে, কতটা বেনোজল। এখানে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে, তাই এথানে কেউ কথা বলতে পারে না তৃণমূলরে বিরুদ্ধে।
অধীর চৌধুরী বলেন, এখানে হাঁটতে হাঁটতে হোর্ডিং দেখলাম বাংলার যুবরাজ। আমি তৃণমূলকে প্রশ্ন করতে চাই, বাংলায় কি রাজতন্ত্র চলছে নাকি? আজ থেকে ১০ বছর আগে কেউ বলত না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোরেদের মদত দেন। কিন্তু আজ বলছে, পরিবারের মধ্যেই দুর্নীতিগ্রস্থরা রয়েছে। কেন তাঁরা বলছে, সেটা তো বুঝতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
অধীর চৌধুরী বলেন, যত ভারত জোড়ো যাত্রা এগোচ্ছে, ততই মিছিলেন লোক বাড়ছে। মানুষের সাড়া পাচ্ছি। মানুষের ইতিবাচক ইঙ্গিত পাচ্ছি, এটা আমদের বাড়তি পাওনা। সবাই আসতে পারছেন না, ভয়ে অনেকে পিছিয়ে যাচ্ছেন। তবে সবাই-ই চান দমবন্ধ পরিবেশ থেকে মুক্তি। তৃণমূলও জানে পুলিশ ছাড়া একটা দিনও ক্ষমতায় থাকতে পারবে না তৃণমূল।