
তৃণমূল কাউন্সিলর খুনের সাতদিনের মাথায় ফের খুন পানিহাটিতে, প্রশ্নে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা
মাত্র সাতদিন আগে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল তৃণমূল কাউন্সিলরকে। সেই খুনের রেশ মিটতে না মিটতেই ফের খুন পানিহাটিতে। পাশের ওয়ার্ডেই খুন হলেন এক যুবক। মহম্মদ আরমান নামে ওই যুবককে পিটিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান।

তৃণমূলের সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুন হন গত রবিবার। সেই ঘটনার কিনারা এখনও হয়নি। সিসিটিভির ফুটেজে যে হাড় হিম করা ঘটনা দেখা গিয়েছিল, তারপর মানুষ আতঙ্কিত। পুলিশও এই খুনের ঘটনার কিনারা করতে তৎপরতা দেখিয়েছিল। সক্রিয়. পদক্ষেপ নিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু সাত দিনের মধ্যে পাশের ওয়ার্ড অর্থাৎ ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ফের খুন হলেন যুবক।
শনিবার সন্ধ্যায় মহম্মদ আরমান নামে এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে নেমে মনে করছে, ওই যুবককে প্রথমে পিটিয়ে তারপর ভজালি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ দিন আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিল আরমান। এবার তাঁকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। পুলিশ জানার চেষ্টা চালাচ্ছে, কী কারণে এই খুন, কারা এই ঘটনায় জড়িত।
এই খুনের ঘটনার পর এদিন ফের রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়েছে। যে জায়গায় শাসকদলের কাউন্সিলর খুন হলেন, সেই একই এলাকায় ফের খুনের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বাড়ল। মানুষ আতঙ্কিত। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকার বাসিন্দারাও। আর প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরাও। একযোগে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি কাঠগড়ায় তুলছে রাজ্যের শাসকদলকে।
কলকাতা শহর ও শহরের উপকণ্ঠে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটছে। উত্তর ২৪ পরগনায় তৃণমূল কাউন্সিলর খুন হওয়ার পর শুক্রবার দোলেন দিন কলকাতার রিজেন্ট পার্কের নতুন পল্লিতে বন্ধুর হাতে খুন হয়েছেন বন্ধু। গুলি করে খুন করা হয়েছে আবির খেলা নিয়ে বচসার জেরে। এদিন আবার তিলজলায় গুলি চলে। তারপর সন্ধ্যায় সই পানিহাটিতেই পিটিয়ে ও কুপিয়ে খুন করা হল এক যুবককে।
এদিন ফিরহাদ হাকিম খুন ও হিংসার ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। হিংসা বা খুনের ঘটনা নামমাত্রই। দু-একটা ঘটনা ঘটছে। এমন দু-একটা ঘটনা না ঘটলে পুলিশ ও আদালত উঠে যেত। এদিন পানিহাটিতে খুনের পর সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী মন্ত্রীর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বলেন, রাজ্যের মন্ত্রীর বিবৃতি যদি হিংসার সমর্থনে হয়, তাহলে এই ধরনের ঘটনা তো ঘটবেই।