বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হাবড়া রেললাইন সংলগ্ন ঝুপড়ি, ব্যহত বনগাঁ-শিয়ালদহ ট্রেন পরিষেবা
বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হাবড়া রেললাইন সংলগ্ন ঝুপড়ি, ব্যহত বনগাঁ-শিয়ালদহ ট্রেন পরিষেবা
বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল হাবড়া রেল লাইন সংলগ্ন ঝুপড়ি। এর ফলে ব্যহত হয় বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখার ট্রেন চলাচলও। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া রেল লাইনের দারে বস্তিতে আগুন লেগে যায়। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবড়া পুরসভার ১৭ নম্বের ওয়ার্ডে এস পাম্পের পিছনে ঘটনাটি ঘটে। রেললাইন লাগেয়া নেহরু বাগ এলাকায় বস্তি ছিল। সেউ বস্তিতে আগুন লেগে যায় সন্ধ্যার সময়। বস্তির ঘিঞ্জি এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুনের লেলিহান শিখা।
অভিযোগ আগুন লাগার আধঘণ্টা পর দমকল পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। দমকলের পাশাপাশিয় স্থানীয় বাসিন্দারাও হাত লাগান আগুন নেভাতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় প্রায় ৫০টিরও বেশি ঝুপড়ি রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ফলে সেই সব ঝুপড়িই ভস্মীভবত হয়ে যায়।
শুধু ঝুপড়িই ভস্মীভূত হয়েছে তা নয়, রেল পরিষেবাতেও ব্যাপক প্রভাব পড়ে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায়। বনগাঁ-শিয়ালদহ ট্রেন চলাচল বিঘ্ন ঘটে। বন্ধ রাখতে হয় ট্রেন চলাচল। বিভিন্ন প্লাটফর্মে আপ ও ডাউন লোকাল দাঁড়িয়ে পড়ে। রেল কর্তৃপক্ষ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়ে পরিষেবা বন্ধ রেখেছে।
এদিন সন্ধ্যায় বস্তিতে অগ্নিশিখা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় দমকলকে। দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই গোটা বস্তিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর কাজে তৎপর হলেও তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে নিয়ন্ত্রণ করা যয়ানি। দমকল আসার পর আগুন অ্যারেস্ট করে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
অনেক বাড়িতেই গ্যাস সিলিন্ডার মজুত রয়েছে। ফলে এই আগুন আরও মারাত্মক রূপ নিতে পারে। বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কোনও হতাহতের খবর সেভাবে নেই। তবে ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। কী করে এই আগুন লাগল, তা জানা যায়নি। আগুন নেভানোর পরে তদন্ত করে দেখবে পুলিশ ও দমকল। অন্যদিকে ট্রেন বন্ধ থাকায় যাত্রী দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে রয়েছে আপ ও ডাউন ট্রেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঠ জ্বালিয়ে রান্না করার সময় আগুন লেগে যায় অসাবধানবশতঃ। তা থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে একের পর এক ঝুপড়িতে। গোটা বস্তিই পুড়ে ক্ষার হয়ে যায়। ঘিঞ্জি এলাকায় কোনওরকমে তিনটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ করছে। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখা এতটাই মারাত্মক ছিল যে আগুনের গ্রাস থেকে কিছুই রক্ষা করা যায়নি। সন্ধ্যার মুখেই ঘটনাটি ঘটায় প্রাণহানি এড়ানো গিয়েছে।