জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডুবন্ত ট্রলার থেকে ১২ জন মৎস্যজীবীকে রক্ষা, সম্মানিত ৯ পুলিশকর্মী
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডুবন্ত ট্রলার থেকে ১২ জন মৎস্যজীবীকে রক্ষা, সম্মানিত ৯ পুলিশকর্মী
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডুবন্ত ট্রলার থেকে ১২ জন মৎস্যজীবীকে রক্ষা করার জন্য রাজ্য পুলিশের সম্মানে সম্মানিত হলেন সুন্দরবন পুলিশ জেলার গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানার ৯ পুলিশকর্মী। এই মোকাবিলার ঘটনায় গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অজয়কুমার চন্দ, এএসআই নিশান্ত মারিক, কনস্টেবল তাপস হালদার, প্রশান্ত প্রামাণিক, টেকনিক্যাল কর্মী রাজু রাও, সিভিক ভলান্টিয়ার দেবাশিস দাস, দীনেশ দাস, তন্ময় সাহু ও শুকদেব গিরিকে সম্মান জানানো হয়।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে রাজ্যের কোস্টাল সিকিউরিটি অফিসার হারমানপ্রীত সিং, দক্ষিণবঙ্গের আইজিপি রাজীব মিশ্র, ডিআইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ প্রবীণকুমার ত্রিপাঠী ও সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি এই ৯ পুলিশকর্মীকে এই বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করেন। সম্মানজ্ঞাপনের অনুষ্ঠানে পুলিশ আধিকারিকরা গােবর্ধনপুর কোস্টাল থানার ৯ পুলিশকর্মীর সাহসিকতার জন্য ভূয়সী প্রশংসাও করেন।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সােমবার রাতে 'তিন ভাই' নামে একটি ফিশিং ট্রলার জি প্লট থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে উলটে যায়। খবর পেয়ে গােবর্ধনপুর কোস্টাল থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অজয়কুমার চন্দ তৎক্ষণাৎ দ্রুতগামী ইন্টারসেপ্টর নৌকোয় (এফআইবি) দলবল নিয়ে ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করতে রওনা দেন। আরও দুটি মৎস্যজীবী ট্রলারের সহায়তা নেওয়া হয়।
সেখানে গিয়ে চাঁদের আলোয় তারা দেখতে পান ১২ জন মৎস্যজীবী লাইফ জ্যাকেটের সাহায্যে ভাসমান অবস্থায় ধীরে ধীরে গভীর সমুদ্রের দিকে সরে যাচ্ছে। টর্চলাইট জেলে তাঁরা উদ্ধারকারী দলের নজর কাড়ার চেষ্টা করেন। অসীম সাহসিকতার সঙ্গে তাঁদের সকলকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন পুলিশকর্মীরা। মৎস্যজীবীদের উদ্ধারের পর নিরাপদে থানায় ফিরিয়ে আনা হয়। প্রত্যেক মৎস্যজীবী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় ব্যাপক সাফল্য এলো সুন্দরবন জেলা পুলিশের ঘরে। বিশেষ সম্মান পেলেন পুলিশকর্মীরা।
শূর্পণখার নাক কাটা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা! অমিত শাহ রাজ্যে পা রাখতেই টুইট তথাগতের