পেটে রয়েছে বহুমূল্যের সম্পদ, সুন্দরবনের নদীতে ধরা পড়ল অতিকায় মাছ, দাম শুনে অবাক হবেন
পেটে রয়েছে বহুমূল্যের সম্পদ, সুন্দরবনের নদীতে ধরা পড়ল অতিকায় মাছ, দাম শুনে অবাক হবেন
এ যেন নদী থেকে উঠে এল বিশাল আকারের দৈত্য। যা দেখে রীতিমতো ভির্মি খাওয়ার জোগাড় মৎস্যজীবীদের। এত বড় আকারের মাছ মনে হয় কোনওদিন দেখেছেন সুন্দরবনের জেলেরা। সুন্দরবনের মৎস্যজীবীদের হাতে ধরা পড়ল ৭৫ কেজির 'তেলিয়া ভোলা’। যার দাম উঠল ৩৬ লক্ষ টাকা। বিক্রির সময় ভিড় জমে গেল বাজারে। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামলাতে হাজির হতে হয় পুলিশকে।
মৎস্যজীবী
বিকাশ
বর্মন
ও
তাঁর
দলের
একাধিক
জেলে
দক্ষিণ
২৪
পরগণার
সুন্দরবনের
নদীগুলিতে
দীর্ঘদিন
ধরে
মাছ
ধরে
আসছেন।
আর
এই
কারণেই
তাঁরা
সুযোগ
পেয়েছেন
তাঁদের
জালে
এই
বিশাল
আকারের
'তেলিয়া
ভোলা’
ধরতে।
জালে
এই
দানবাকৃতি
মাছ
ধরার
জন্য
মৎস্যজীবীরা
তাঁদের
পুরো
ক্ষমতা
লাগিয়ে
দিয়েছেন।
মাছটি
ধরার
সঙ্গে
সঙ্গে
তা
তাঁরা
পাইকারি
বাজারে
নিয়ে
চলে
আসেন।
বাজারে
এই
এই
মাছের
দাম
হু
হু
করে
বাড়তে
থাকে।
প্রায়
৭
ফুট
লম্বা
এই
'তেলিয়া
ভোলা’
মাছ
শেষপর্যন্ত
৩৬
লক্ষ
টাকায়
বিক্রি
হয়ে
যায়।
কলকাতার
কেএমপি
সংস্থা
এই
মাছ
কেনে
বলে
জানা
গিয়েছে।
এই
মাছ
প্রতি
কেজি
৪৯,৩০০
টাকায়
বিক্রি
হবে।
কিন্তু কেন এই মাছ এত দামি? মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন যে ওষুধ তৈরির জন্য বিদেশের বাজারে তেলিয়া ভোলার শরীরের নানা অংশের কদর আছে বলে জানিয়েছেন মৎস্যজীবীরা। যা এই মাছকে এত দামি করে তুলেছে। এমনিতেই ভোলা মাছের শরীরের বিভিন্ন অংশের খুব চাহিদা আছে বলে জানান মৎস্যজীবীরা। মৎস্যজীবী বিকাশ বর্মন জানিয়েছেন যে এই পেশায় দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন। তিনি প্রত্যেক বছরই ভোলা মাছ তোলেন, কিন্তু এত বিশাল আকৃতির মাছ জালে ওঠা সত্যিই অকল্পনীয় ঘটনা। তবে, ভারতে প্রতি কেজি এত বেশি দামে মাছ বিক্রি হওয়ার কথা শোনা যায়নি। গোদাবরী পুলসা মাছেদের জাতের মধ্যে সবচেয়ে দামী মাছ হিসেবে বিবেচিত হয়। গোদাবরী নদীতে বর্ষার শুরুতে পুলসা পাওয়া যায়।
বাইকের পিছনে চার বছরের বাচ্চা থাকলে স্পিড কখনই ৪০ এর বেশি নয়! জারি হতে চলেছে নয়া নির্দেশিকা?
শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার সোনাগাঁ থেকে পাঁচ মৎস্যজীবী গিয়েছিলেন মাছ ধরতে। শনিবার সকালে কপুরা নদীর কাছে তেরো বাঁকির খালে জালে জড়ায় বিশাল মাছটি। সন্ধ্যায় ক্যানিংয়ের আড়তে সেটি বিক্রির জন্য আনেন তাঁরা। আড়তদার প্রভাত মণ্ডল বলেন, 'এত বড় তেলিয়া ভোলা এর আগে ক্যানিং বাজারে আসেনি।’ এর আগেও দীঘার মোহনায় বিশাল আকারের মাছ ধরা পড়েছিল মৎস্যজীবীদের জালে।