ভাদ্র নবমীর ঘটপুজো দিয়ে শুরু হয় জেনারেল শংকর রায়চৌধুরীর বাড়ির দুর্গাপুজো
ভাদ্র নবমীর ঘটপুজো দিয়ে শুরু হয় জেনারেল শংকর রায়চৌধুরীর বাড়ির দুর্গাপুজো
জেনারেল শংকর রায়চৌধুরীর বাড়ির দুর্গাপুজো চারশো বছরের পুরানো। ভাদ্র মাসে নবমীর দিন থেকে শুরু হয় এই পুজোর শুভ সূচনা। আর সেখান থেকে দেবীর আগমন শুরু হয় রায়চৌধুরীর বাড়ির। প্রতিদিন দুবেলা ঘট পুজো করেন পরিবারের সদস্যরা।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ইছামতীর পাড়ে টাকি পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সৈহিদপুর। সেখানেই আগে জমিদারি করত রায় চৌধুরীরা।
উত্তরসূরিরা জানালেন, রাজা মানসিংহের বারোভূঁইয়ার এক ভূইয়া এদের পূর্বপুরুষ ওপার বাংলায় সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ থানা এলাকায় বাড়ি ছিল। রাজা আকবর মানসিংহের রায় চৌধুরী বাড়ির পূর্বসূরী কেদার রায় চৌধুরীর বাড়ি আক্রমণ করেছিল।সেখান থেকে পালিয়ে এদেশে চলে এসেছিলেন।
আজও টাকিতে মানসিংহ রোড নামে পরিচিত। যা আজও সেই ইতিহাস বহন করে আসছে। কথিত আছে প্রাচীন কেদার রায় চৌধুরী পুজো শুরু করেছিলেন। সেখান থেকে এই পুজো চলে আসছে। পরিবারের সদস্যরা জানান, একসময় ছাগল বলি হতো। এখন বন্ধ কুমড়ো বলি হয়। এক সময় ওপার বাংলা থেকে লোকজন আসতো এই পুজো দেখতে। এখন সীমান্তের বেরা জালের কারণে সেগুলো পুরোপুরি বন্ধ।
তবে এবার করোনা জন্য একটু বিধি-নিষেধ আরোপ হয়েছে রায়চৌধুরী বাড়িতে। সাধারণমানুষ জমায়েত করতে পারবেন না ঠাকুর দালানে। দালানের উপরে উঠেও ঠাকুর দেখতে পারবেনা। সামাজিক দূরত্ব মেনে এই পুজো হবে। কথিত আছে দেবীর মূর্তি তৈরি থেকে রং পর্যন্ত কাপড়ে দিয়ে ঢাকা।
প্রাচীনকাল থেকে বংশপরম্পরায় কুমোররা এই প্রতিমা তৈরি করেন। কাঠামোর গায়ে বিচুলি দেওয়া থেকে দেবীর মাটি লাগানো, এবং রং লাগানো পর্যন্ত মূর্তি ঢাকা থাকবে। পঞ্চমীর দিন এই দুর্গা ঠাকুর পুরোপুরি খুলে দেওয়া হবে তারপরে পুজো শুরু হবে।