বেলঘরিয়ার আবাসনে তিন ভাই-বোনের রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য! তদন্তে নামল পুলিশ
তিন ভাই-বোনের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য! আজ মঙ্গলবার সকালে বেলঘরিয়ার একটি আবাসন থেকে ভাই-বোনের দেহ উদ্ধার হয়। শুধু তাই নয়, আবাসনের পাশে থাকা একটি পুকুর থেকে দাদার মৃতদেহ উদ্ধার হয় বলে জানা যাচ্ছে। তবে সাতসকালে এই ঘটনা
তিন ভাই-বোনের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য! আজ মঙ্গলবার সকালে বেলঘরিয়ার একটি আবাসন থেকে ভাই-বোনের দেহ উদ্ধার হয়। শুধু তাই নয়, আবাসনের পাশে থাকা একটি পুকুর থেকে দাদার মৃতদেহ উদ্ধার হয় বলে জানা যাচ্ছে। তবে সাতসকালে এই ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী।
কীভাবে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে এই ঘটনা কি শুধুই অস্বাভাবিক মৃত্যু নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশের তরফে জানা যাচ্ছে।
তবে বিষয়টি পুলিশের তরফে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে এলাকার মানুষের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন বোন। আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়েও তাঁরা যাচ্ছিলেন বলে দাবি ওই আবাসনের বাসিন্দাদের। শুধু তাই নয়, ইলেকট্রিক বিল না দিতে পারার জন্য গত কয়েকদিন আগে তাঁদের ফ্ল্যাটের ইলেকট্রিক কেটে দেওয়া হয় বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। ফলে এই ঘটনা নিছক মানসিক অবসাদ থেকে ঘটেছে বলেই মনে করছেন স্থানীয় মানুষজন।
যদিও অন্য একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, বোনের চিকিৎসাতে প্রচুর টাকার দরকার ছিল। টাকার জন্যে কোনও ভাবে খুন নয় তো? সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের তরফে। ফলে খুন না আত্মহত্যা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও প্রয়োজনে ওই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। আবাসনের সিসিটিভি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও খবর।
তবে রহস্যজনক ভাবে ফ্ল্যাট থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার হয়েছে। সেখানে এক ব্যক্তির নাম লেখা রয়েছে বলে খবর। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তিকে দেহগুলি সৎকারের কাজ করার কথাও বলা হয়েছে বলে খবর। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ফ্ল্যাটের মধ্যে উদ্ধার হওয়া ভাই-বোনের মৃত্যু বিষক্রিয়ার ফলে হয়েছে। আর দাদা সম্ভবত বাড়ির সামনে থাকা পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অনুমান। যদিও এই বিষয়ে পুলিশের তরফে সরকারি ভাবে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। তবে গুরুত্ব দিয়ে একেবারে গভীরে গিয়ে এই ঘটনার তদন্ত গোয়েন্দারা শুরু করেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
মৃত তিন ভাই-বোনের নাম রানু চৌধুরী, সজল চৌধুরী এবং বিমল চৌধুরী। তাঁরা আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। জানা গিয়েছে, খুব একটা আবাসনের বাইরে আসতেন না তিন ভাই-বোনই। ফ্ল্যাটের মধ্যেই তাঁরা থাকতেন বলে খবর। বোন রানুর বয়স প্রায় ৪০ পেরিয়ে গিয়েছে। তাঁর চিকিৎসাতে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হতো। ভাই সজল কিছু করত না বলে জানা যাচ্ছে। ফলে বিমলের উপর একটা চাপ ছিল। আর তা থেকেই হয়তো এই ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।