বুড়ো হাড়েও ধর্মেন্দ্রর চরম ভেল্কি!কেমন হল ববি-সানিদের 'ইয়মলা পাগলা দিওয়ানা ফির সে'
বয়স বিরাশি, কিন্তু অনস্ক্রিনের ধর্মেন্দ্রকে দেখে তা বোঝবার উপায় নেই! উত্তেজনা উদ্দীপনায় তিনি সানি কিংবা ববি দেওলকেও হারিয়ে দিতে পারেন অনস্ক্রিন।
বয়স বিরাশি, কিন্তু অনস্ক্রিনের ধর্মেন্দ্রকে দেখে তা বোঝবার উপায় নেই! উত্তেজনা উদ্দীপনায় তিনি সানি কিংবা ববি দেওলকেও হারিয়ে দিতে পারেন অনস্ক্রিন। আর পিতাপুত্রদের ছবি 'ইয়মলা পাগলা দিওয়ানা ফির সে' আরও একবার দর্শকের যাবতীয় মনোরঞ্জনের পসরা নিয়ে হাজির।
প্রেক্ষাপট
এই গল্প বজ্র কওয়াচ নিয়ে। যা আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের একটি অবিষ্কার। আর এই আবিষ্কারটি করেন বৈদ্য পুরান (সানি দেওল)-এর পরিবারের পূর্ব পুরুষরা। ব্রণ থেকে বন্ধ্যাত্ব সমস্ত কিছুর সমস্যাই মিটিয়ে দিতে পারে এই ওষুধ। এই বৈদ্যর সঙ্গে যুক্ত হন তাঁর ভাই কালা (ববি), এক আইনজীবী জয়ন্ত পরমার (ধর্মেন্দ্র)। আর এই তিন জন মিলেই 'ইয়মলা', 'পাগলা', 'দিওয়ানা' হিসাবে ফিল্মের গল্পের সফর এগিয়ে নিয়ে যান। গল্পের মধ্যে চলে আসে চিকো (কীর্তি) র চরিত্র। সব মিলিয়ে এই ছবির গল্প এগোতে থাকে হাসির মোড়কে।
[আরও পড়ুন:'আগেকার মতো ভদ্রতা এখন দেখা যায় না', নয়া প্রজন্ম নিয়ে মুখ খুলে আরও যা বললেন ধর্মেন্দ্র]
অভিনয়
এই ছবির ইউএসপি অবশ্যই ধর্মেন্দ্রর স্টারডাম। আশি উর্ধ্ব ধর্মেন্দ্র দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি কী করতে পারেন! তবে পিতা ধর্মেন্দ্রকে সেভাবে যোগ্য সঙ্গত দিতে ফের ব্যর্থ ববি দেওল। অন্যদিকে দেওল পরিবারের অন্যতম সদস্য সানি নিজের স্টাইল ধরে রেখে এই ছবিতেও 'মাচোম্যান' অবতরে ধরা দিয়েছেন!
[আরও পড়ুন:'জিনিয়াস' হওয়ার চ্যালেঞ্জে নওয়াজকে কি টেক্কা দিলেন স্টারকিড উৎকর্ষ! কেমন হল ছবি]
পরিচালনা
নবনীত সিং এর পরিচালনায় এই ছবি হাসির মোড়ক পেলেও, দমফাটা হাসিকে সেভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেনি দর্শকের মুখে। গল্পের বুনোটে অতিনাটকীয়তা যেমন জায়গা করে নিয়েছে, তেমনই তার উত্তেজনা শেষপর্যন্ত ধরে রাখতে পারেনি ফিল্ম।
সবশেষে
সপ্তাহের ক্লান্তি দূর করতে যদি কোনও ছবি দেখবার কথা ভাববেন , তাহলে দেখে আসতে পারেন, 'ইয়মলা পাগলা দিওয়ানা।' ছবির গান থেকে গল্প সব মিলিয়ে মনোরঞ্জনের সমস্ত কিছু উপাদান রয়েছে ছবিতে।