'টয়লেট' ঘিরে গোটা 'প্রেমকথা'-ই অক্ষয়ময় , বক্স অফিসের যুদ্ধে শাহরুখকে সমান তালে টক্কর 'খিলাড়ি'-র
শোনা যায়, উত্তর প্রদেশের ২০১২ সালের এক সত্যি ঘটনার ওপর আধারিত এই ছবি 'টয়লেট ,এক প্রেমকথা' ।
অভিনয় : অক্ষয় কুমার, ভূমি পেনধরকার, অনুপম খের
পরিচালনা: শ্রীনারায়ণ সিং
এই মুহূর্তের সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগযোগ্য তারকা বলতে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি একজনকেই চেনে, তিনি হলেন অক্ষয় কুমার। অক্ষয় ,যেকোনও ভূমিকায় সমানে লড়াই করে , দর্শক যা চান হুবহু সেটাই উপহার দিয়ে ছবি মাত করে দেন। তাঁর ছবিতে গল্প একটা যেমন বড় ইউএসপি, তেমনই অক্ষয় কুমারের স্টারডামও একটা বড়সড় দিক। তবে সেসবকে ছাপিয়ে যায় অক্ষয়ের অভিনয় দক্ষতা। 'টয়লেট ,এক প্রেমকথা' ছবিতেও অভিনয়ে একই রকমের দাপট দেখিয়েছেন অক্ষয়।
প্রেক্ষাপট
ভারতের প্রায় ৫৮ শতাংশ মানুষ মাঠে ঘাটে শৌচ করে থাকেন। এই নিয়ে বহুদিন ধরেই ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাড়িতে শৌচালয় বানানোর জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়। জনস্বার্থে প্রচার করা হয়েছে সরকারের সেই বার্তাও। তবে এখনও সেই বার্তার গুরুত্ব নিয়ে অনেকই উদাসীন। এই সমস্ত উদাসীন মানুষকে শৌচালয় বাড়িতে বানানোর বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতেই এই ছবি।
ছবির গল্প
শোনা
যায়,
উত্তর
প্রদেশের
২০১২
সালের
এক
সত্যি
ঘটনার
ওপর
আধারিত
এই
ছবি।
ছবিতে
দেখানো
হয়েছে
মথুরার
বাসিন্দা
কেশব
(অক্ষয়
কুমার)
জ্যোতিষশাস্ত্র
অনুযায়ী
মাঙ্গলিক
।
তাঁর
মঙ্গলদোষ
কাটাতে
একটি
মোষের
সঙ্গে
তাঁর
বিয়ে
দেওয়া
হয়।
এরপর
কেশব
কলেজে
পড়াকালীন
প্রেমে
পড়েন
জয়ার
(ভূমি
পেনধরকর)।
প্রেম
এগোলে
দুজনে
বিয়ের
সিদ্ধান্ত
নেন।
আর
বিয়ের
পর
স্ত্রীকে
শৌচকর্ম
করতে
যেতে
হয়
বাড়ির
বাইরে।
যা
অত্যন্ত
নক্কারজনক,
ও
নিরাপত্তাহীন
বিষয়।
এদিকে,
বাড়িতে
শৌচালয়
বানানো
নিয়ে
কেশবদের
গ্রামে
রয়েছে
বহুবিধ
ধর্মীয়
সংস্কার।
অন্যদিকে
,স্ত্রী
জয়া
কেশবকে
হুমকি
দেয়,
শৌচালয়
না
বানালে
বাড়ি
ছেড়ে
চলে
যাবে
সে।
পরে
চলেও
যায়।এরপর
কেশব
কী
করেন
তা
জানতে
দেখতেই
হবে
'টয়লেট
এক
প্রেমকথা'
।
অভিনয়
বলিউডের
অন্যতম
পরিণত
অভিনেতা
অক্ষয়
কুমার।
তাঁর
অভিনয়
দক্ষতা
বা
সংলাপ
বলার
ধরণই
জানান
দেয়
তাংর
জাত
কী!এই
ছবিতেও
সেই
ফর্মুলা
মেনেই
যেখানে
যতটুকুনি
দরকার
তার
বাইরে
যায়নি
তিনি।
নিজের
গণ্ডীর
মধ্যে
থেকে
অভিনয়
করে
গেছেন
আগাগোড়া।
অন্যদিকে
,
অভিনেত্রী
ভূমি
পেনধরকরও
যোগ্য
সঙ্গত
দিয়েছেন
অক্ষয়কে।
বলিউডের
উঠতি
অভিনেত্রী
ভূমিও
নিজেকে
ভেঙে
গড়ে
তৈরি
করে
চলেছেন
অনবরত।
তার
প্রমাণ
তিনি
এই
ছবিতেও
দিয়েছেন।
অনুপম
খেরও
ছবিতে
অল্প
স্ক্রিন
টাইমে
দর্শকের
মন
জয়
করেছেন।
পরিচালনা
ছবির নাম 'টয়লেট, এক প্রেমকথা' রেখে, তা দিয়ে দর্শককে বার্তা দেওয়ার সাহস খুব কম পরিচালকই দেখাতে পারেন। শ্রীনারায়ণ সিং এই সমস্ত সাহসী পরিচালকের মধ্যে অন্যতম। সমাজিক কুসংস্কারকে আঙুন তুলে প্রতিবাদ জানিয়ে ছবির গল্প সাজানো কোনও কম বড় চ্যালেঞ্জ নয়! এই সমস্ত চ্যালেঞ্জ অনায়াসে পার করে ফেলেছেন শ্রীনারায়ণ। তবে গল্প বলার ধরনে অনেক ফাঁক ফোকর রেখে ফেলেছেন পরিচালক। তাই অনেক কটা জায়গাতেই ছবির ক্লাইম্যাক্স কোনদিকে যাবে বা কী হতে পারেব তা দর্শকের বুঝে ফেলা সহজ হয়েছে। কাহিনি বিন্যাসে নতুন কোনও চমক দেখতে পাওয়া যায়নি।
সঙ্গীত
ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন সুরিন্দর সোধি। ছবিতে সনু নিগমের গাওয়া 'হসমত পগলি প্যার হো জায়েগা' গানটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। অনেকদিন বাদে সনু নিগমের গলায় রোম্যান্টিক গানে মন মজেছে তাঁর ভক্তদের।
সবশেষে
গত সপ্তাহেই মুক্তি পেয়েছে শাহরুখ খানের ছবি 'জব হ্যারি মেট সেজল' । শাহরুখের ছবির বক্স অফিস কালেকশন এখনও ভালো নয়। সেই জায়গায় অক্ষয়ের এই ছবি যদি বক্স অফিস কালেকশনের দিক থেকে এগিয়ে যায়, তাহলে বলিউডের 'কিং খান'কে পেছনে ফেলেদেওয়ার যুদ্ধেও জিতে নেবেন 'খিলাড়ি' অক্ষয়!