ফিরে যান হোস্টেল জীবনের দিনগুলিতে, 'বিলের ডায়েরি'- ছবিতে পরিচালকের অনবদ্য প্রয়াস
আনকোরা না হলেও টলিউডে নতুন পরিচালকের পরিচালনায় ফুটে উঠল স্কুল ও হোস্টেল জীবনের নান মুহূর্তের কাহিনী।
এই সপ্তাহে বাংলা ফিল্ম দুনিয়া থেকে পাওয়া গেল একটু অন্য ঘরানার ছবি। হিন্দি ছবিতে বিভিন্ন সময়ে স্কুল বা কলেজের বন্ধুদের রিইউনিয়ন নিয়ে বিভিন্ন ছবি হলেও এরকম ছবি বাংলায় বড় একটা হয়নি। সেই অর্থে 'বিলের ডায়েরি' একেবারেই নতুন একটা দিক ছুঁয়ে গেছে।
ছবির গল্প
একটা সময় ছিল যখন তাঁরা সারা সময় একসঙ্গে থাকতেন। হ্যাঁ সেটা তাঁদের স্কুলের দিন, যেহেতু সেটা হোস্টেল ছিল তাই সময় কাটানোর পরিসরটা আরও বেশি ছিল। কিন্তু আজ অনেকটা বছর পেরিয়ে জীবনে সবাই যখন প্রতিষ্ঠিত তখন আবার একটা মিলোনৎসব। যেখান থেকে শুরু গল্প। তারপর পিছনের পথ হাঁটা। যে দিনগুলি একটু একটু করে তাঁদের আজকের মানুষ করে তুলেছে।
অভিনেতাদের দারুণ পারফরম্যান্স
বড় অনাবিলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সমদর্শী। আর পাঁচটা ছবির মতো এই ছবিতেও তিনি সাবলীল অভিনয় করেছেন। পাশাপাশি ছোট অনাবিলের চরিত্রে অভিনয় করা আদিত্যপ্রতাপ সিংয়ের পারফরম্যান্সও মন ছুঁয়ে যাবে।
বাড়তি প্রাপ্তি বিশ্বনাথ
বাংলা ছবি হোক বা ছোট পর্দা , বিশ্বনাথ বসুকে মূলত হাস্যরস অভিনেতা হিসেবেই পাওয়া যায়। কিন্তু এই ছবিতে বিশ্বনাথ একদম অন্য শেড ফুটিয়ে তুলেছে। ছবিতে কানু মহারাজের চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলেছেন অনবদ্য ভাবে।
নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন
ছবির প্রেক্ষাপটও এই ছবির অন্যতম বড় চরিত্র , তা হল নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন। যাঁরা এই স্কুলে পড়েছেন তাঁরা তো প্রতিটা মুহূর্তে নিজেদের ফেলা জীবনে ফিরে যাবেন, পাশাপাশি এই মিশনের বিভিন্ন অংশ এমন ভাবে উঠে এসেছে ছবিতে যে সাধারণ মানুষ যাঁদের এই মিশন ঘিরে প্রচুর আগ্রহ তাঁদের মানস ভ্রমণ হয়ে যাবে।
টুইস্ট এন্ড টার্ন
টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে আনকোরা না হলেও নতুন ছবির পরিচালক বিশ্বরূপ বিশ্বাস। তাঁর নিজের চিত্রনাট্যকে ফুটিয়ে তুলেছেন দক্ষতার সঙ্গে। পাশাপাশি ছবিতে অনেকগুলি স্তর রয়েছে, কাহিনীর মোচড়গুলি ছবিকে এগিয়ে নিতে যেতে সাহয্য করেছে।
ছবির দৈর্ঘ্য
একমাত্র বিষয় এই ছবিকে যা একটু পিছিয়ে দিতে পারে তা হল এই ছবির দৈর্ঘ্য। যদি আরও একটু টাইট বুনন হত তাহলে হয়ত আরও একটু গতি পেল গল্প বলা।