নোনতা–মিষ্টিতে ভরপুর শর্মাজি নমকিন, প্রয়াত ঋষি কাপুরকে শ্রদ্ধা পরেশ রাওয়ালের
নোনতা–মিষ্টিতে ভরপুর শর্মাজি নমকিন, প্রয়াত ঋষি কাপুরকে শ্রদ্ধা পরেশ রাওয়ালের
সিনেমার নামের মতোই শর্মাজি নমকিন যথেষ্ট সুস্বাদু। কিংবদন্তী অভিনেতা ঋষি কাপুরের শেষ সিনেমা এবং তিনি এই সিনেমাটি দেখলে যথেষ্ট গর্ববোধ করতেন, কারণ এই সিনেমার গল্পটি হল একজন প্রবীণ ব্যক্তি তাঁর বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজের স্বপ্নকে পূরণ করার পথে চলেছেন। বেশ কিছু আবেগঘন মুহূর্ত দিয়ে ভরা একটি মিষ্টি গল্প যা অভিনয় জগতের ঋষি কাপুর এবং পরেশ রাওয়ালকে উজ্জ্বল হওয়ার সুযোগ দেয়। সদ্য পরিচালকের কাজ হাত দেওয়া হিতেশ ভাটিয়ার কাছে এটা চ্যালেঞ্জ ছিল, কারণ পরেশ রাওয়াল, জুহি চাওলা ও অবশ্যই ঋষি কাপুরের মতো অভিনেতাকে পরিচালিত করা। তবে ভাগ্যবশত পরিচালক হেভিওয়েট অভিনেতাদের হতাশ করেননি বরং শর্মাজি নমকিন এক নতুন উড়ানে আকাশে উড়েছে।
সিনেমার গল্প
শর্মাজি নমকিন আগে দর্শকরা দেখেছেন তার থেকে কিছু ভিন্ন বা আসল নয়। সিনেমার শুরুতেই দেখানো হয় যে ঋষি কাপুর তথা গোপাল শর্মার স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার উৎসব পালন হচ্ছে। শর্মাজিকে অবসর নেওয়ার চেক ও উপহার দেওয়া হয়। কিন্তু শর্মাজি খুশি নন। ৫৮ বছরের শর্মাজি শারীরিকভাবে খুবই ফিট। কিন্তু তাও তাঁকে স্বেচ্ছায় অবসর নিতে হয়। তাঁকে একটি ফার্ম তাঁর কর্পোরেট জীবন থেকে বার করে দেয়। শর্মাজি বিপত্নীক। শর্মাজির দুই ছেলে যাঁদের জন্য তিনি তাঁর পুরো জীবন দিতে চান। অবসরের পর শর্মাজির জীবন কাটতে থাকে তাঁর দুই ছেলে ও নতুন নতুন রান্না করার মধ্য দিয়ে। তিনি রান্না করতে খুবই ভালোবাসেন। অবসরের পর বসে থাকবেন না এই চিন্তা করে দু-এক জায়গায় চাকরিরও চেষ্টা করেন। কিন্তু তরুণ-তরুণীদের ভিড়ে তিনি এই কাজের প্রতিযোগিতায় নিজেকে অনেক পিছনে দেখতে পান। একদিন ভাগ্যক্রমে এক মহিলাদের দলের সঙ্গে শর্মাজির পরিচয় হয়, তাঁরা তাঁদের কিটি পার্টির জন্য শর্মাজিকে খাবার তৈরি করতে বলেন। এরপরই তাঁর ভাগ্য বদলে যায়। মহিলাদের কিটি পার্টির জন্য শর্মাজি ক্রমাগত রান্না করতে থাকেন এবং তাঁর রান্নার প্রতিভা বাইরে আসে। তবে তা শর্মাজির দুই ছেলের পছন্দ হয় না। আর বাবা ও দুই ছেলের মধ্যে এই মতভেদ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা দেখতে অবশ্যই দেখতে হবে শর্মাজি নমকিন।
অভিনয়
ঋষি কাপুর হোক বা পরেশ রাওয়াল দু'জনেই শর্মাজির চরিত্রটিকে যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ঋষি কাপুর এই সিনেমার শুটিং করতে করতেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্য হয়। পরেশ রাওয়ালের কাছে তাই এটা খুবই বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু পরেশ রাওয়াল ঋষি কাপুরের শর্মাজির জুতো গলিয়ে যথাযথভাবে চরিত্রের মান রেখেছেন। অন্যদিকে, জুহি চাওলার অভিনয় খুবই মিষ্টি ছিল। তিনিও তাঁর চরিত্রটি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে সফল হয়েছেন।
পরিচালকের কৃতিত্ব
সিনেমার গল্প যথেষ্ট ভালো। পরিচালক হিসাবে হিতেশ ভাটিয়ার প্রথম কাজ যথেষ্ট সফল বলা যেতে পারে। সিনেমার কোনও কোনও দৃশ্য যেমন আপনাকে হাসাবে তেমনি কোনও কোনও দৃশ্য আপনাকে কাঁদতে বাধ্য করবে। এই সিনেমা এক সিঙ্গল ফাদারের সমস্যাগুলিও তুলে ধরেছে। এছাড়াও পরিচালক দেখিয়েছেন নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে বয়স নয় ইচ্ছা থাকা চাই। সেটাই আসল শক্তি। সর্বোপরি পরিচালক পরেশ রাওয়াল ও ঋষি কাপুরের মতো অভিনেতাদের হাতে যখন তাঁর সিনেমার দায়িত্ব দিয়েছেন তা ভালো হতে বাধ্য।
শর্মাজি নমকিন ঋষি কাপুরের প্রতি শ্রদ্ধা
শর্মাজি
নমকিন-এর
কোনও
রেটিং-এর
প্রয়োজন
হবে
না।
এটি
আমাদের
সকলের
জন্য
ঋষি
কাপুরের
জীবনকে
পুনরুজ্জীবিত
করার
এবং
উদযাপন
করার
একটি
সুযোগ,
একজন
তারকা,
একজন
শিল্পী
এবং
একজন
অভিনেতা
যিনি
শর্মাজির
মতো,
বয়সের
বন্ধনীর
নিচের
সংখ্যাগুলিকে
কখনই
তাঁকে
সংজ্ঞায়িত
করতে
দেননি।
সিনেমা প্রেমীদের জন্য সুখবর! এপ্রিল মাসে মুক্তি পাচ্ছে বলিউড ও দক্ষিণের বড় বাজেটের কিছু ছবি