Saaho movie Review:'বাহুবলী'-র পর কি 'ধপাস' প্রভাস-ম্যাজিক! অ্যাকশন না গল্প, কে বেশি কথা বলল
তেলুগু ভার্সানের 'বাহুবলী ২' ফিল্মের টাইটেল ট্র্যাকেই ছিল 'সাহো রে বাহুবলী..'! 'সাহো'.. অর্থাৎ তেলুগু ভাষায় কারোর শৌর্যকে সমাদর করার নামান্তর। আর সেই শব্দ দিয়েই 'বাহুবলী' প্রভাসের নয়া ছবির নামকরণ।
তেলুগু ভার্সানের 'বাহুবলী ২' ফিল্মের টাইটেল ট্র্যাকেই ছিল 'সাহো রে বাহুবলী..'! 'সাহো'.. অর্থাৎ তেলুগু ভাষায় কারোর শৌর্যকে সমাদর করার নামান্তর। আর সেই শব্দ দিয়েই 'বাহুবলী' প্রভাসের নয়া ছবির নামকরণ। 'বাহুবলী'র পাহাড় প্রমাণ সাফল্য, রেকর্ডের পর প্রভাস-জ্বরে কেঁপেছে গোটা দেশ। এরপর 'সাহো' নিয়েও উত্তেজনার পারদ চড়েছে। সুজিত পরিচালিত , শ্রদ্ধা, প্রভাস অভিনীত 'সাহো' বক্স অফিসের দাড়িপাল্লায় কোন দিকে দৌড়তে পারে, তার খানিকটা আভাস দেখে নেওয়া যাক।
অ্যাকশন তো আছে, গল্প কোথায়?
'সাহো' প্রেক্ষাগৃহে শুরু হতেই দর্শকরে উল্লাস, উত্তেজনার শব্দে স্ক্রিনে সঠিক সময়ে 'ধুঁয়াধার' এন্ট্রি নিয়ে ফেলেন সুপারস্টার প্রভাস। চলে অ্য়াকশন, মারপিট, প্রযুক্তির খেলা। কিন্তু সমস্ত কিছুর মধ্য়ে অনেকটাই কষ্ট করে দ্রশককে খুঁজে নিতে হয়েছে ছবির গল্প! মূলত, ছবিতে দেখানো হয়েছে, রয় গ্রুপ অফ কম্পানিজ একটি সমস্যার মধ্যে পড়ে যায়। সংস্থার কর্ণধারের মৃত্যু হয় একটি দুর্ঘটনায়। এরপর থেকে শুরু হয়ে যায় সংস্থায় পাওয়ার গেম। আর এসবের মধ্যে একটি চুরির ঘটনা ঘটে। চিত্রনাট্যের মূল নিউক্লিয়াস ডালপালা মেলতে থাকে। এই চুরির ঘটনার সঙ্গে মিশে থাকে একটি 'ব্ল্যাক বক্স'এর ধাঁধা। এরপর নাটকীয়তা জায়গা করে নেয় ফিল্মে।
প্রভাস-জ্বরে কি চড়ল পারদ!
এ যেন,...একটা নির্দিষ্ট উচ্চতার পাহাড় থেকে আরও বড় পর্বতমালায় ওঠার রাস্তার দিকে এগোনো। 'বাহুবলী'র পর প্রভাসের কাছে 'সাহো' খানিকটা এমনই ছিল। আর সেক্ষেত্রে বলা যায়, এই তেলুগু সুপারস্টার নিজের ২০০ শতাংশ দিয়েছেন। বাহুবলীর লুক, রোম্যান্সের জড়তা থেকে বেরিয়ে এক্কেবারে ঝাঁঝালো রকস্টার হিসাবে 'সাহো' তে নিজেকে তুলে ধরেছেন প্রভাস। অন্যদিকে, মুম্বইয়ের একাধিক নায়িকা 'সাহো'র অফার ছেড়ে দেওয়ার পর শেষমেশ শ্রদ্ধা কাপুর এই ফিল্মে নায়িকার ভূমিকায় উঠে আসেন। যদিও গোটা ফিল্মে শ্রদ্ধা সেভাবে ছাপিয়ে যেতে পারেননি দক্ষিণী তারকাকে। সব মিলিয়ে ছবিতে গল্প না থাকলেও, ছবি জুড়ে রয়েছেন 'প্রভাস, দ্যা স্টার'!
পরিচালনা
'বাহুবলী'র ধারাতেই প্রভাসকে রেখে একই ছকে যে খেলা সসম্ভব নয় ,তা পরিচালক সুজিতেকে খানিকটা হলেও বুঝতে হবে। গোটা ছবির এ, বি, সি,ডি বলতে কেবলই রয়েছে অ্যাকশন। তার সঙ্গে কিছু মশলা যোগ হলেও, শেষমেশ 'সাহো'র রান্নার পর সঠিক স্বাদ পাওয়া গেলনা এইরকম একটা হাইভোল্টেজ অপেক্ষার পর। হতাশ করলেন পরিচালক সুজিত।
অ্যাকশন
'সাহো' সম্পর্কে যখন আলোচনা হচ্ছে তখন অ্যাকশনের কথা তো উঠবেই। এই ছবির ইউএসপি বলতে, প্রভাসের পরই রয়েছে অ্যাকশন স্টান্ট ও ভিস্যুয়াল এফেক্ট। জোরদার অ্যাকশন যদি উপভোগ করতে চান, তাহলে এই ছবি 'দৃষ্টি নান্দনিক।'