'ফিলাওরি' মুভি রিভিউ : 'ভূত' অনুষ্কা বড়ই মিষ্টি, বিনোদনের কোনও কমতি নেই
লাভস্টোরি হল বলিউডের মেনস্ট্রিাম। বলিউডের কোটি কোটি ছবি তার কোটি কোটি লাভস্টোরি। তা লাভস্টোরিতে নতুন টুইস্ট আনা মানে চিত্রনাট্যকারের মাথার চুল ছেঁড়ার মতো অবস্থা আর কি।
লাভস্টোরি হল বলিউডের মেনস্ট্রিাম। বলিউডের কোটি কোটি ছবি তার কোটি কোটি লাভস্টোরি। তা লাভস্টোরিতে নতুন টুইস্ট আনা মানে চিত্রনাট্যকারের মাথার চুল ছেঁড়ার মতো অবস্থা আর কি। ফিলাওরি ছবির লেখক অনভিতা দত্তর অবস্থাও নিশ্চয়ই তাই হয়েছিল। তাই সেই এ যুগ ও সে যুগের প্রেমকাহিনী কনসেপ্ট নিয়েই এগোতে শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু অনুষ্কা শর্মাকে ভূত করে যে টুইস্টটা এনেছেন তিনি সেখানেই বাজিমাৎ। বেশ কিছু খামতি থাকলেও ডিসটিংশন নম্বর নিয়েই পাশ করল এই ছবি।
মানুষের ভূমিকায় অনেক অভিনয় করে নিয়েছেন অনুষ্কা। এবার ভূতের ভূমিকায় দেখা গেল অনুষ্কাকে। সত্যি বলতে বড্ড মিষ্টি এই ভূত। ভয়ে পাওয়া তো দুরের কথা প্রেমে পড়ে যেতে পারেন অনায়াসে।
প্রেক্ষাপট
কানাডা ফেরত কান্নানের (সুরজ শর্মা) অমৃতসরে হাইস্কুল বান্ধবী অনুর (মেহরীন পীরজাদা) প্রতি ভালবাসা টান ছিলই। ৩ বছর পর বিদেশ থেকে ফেরায় তার অভ্য়াসগুলির কিছু পরিবর্তন হয়। যার মধ্যে অন্যতম হল নিয়মিত গাঁজা খাওয়া।
সবার নজরে আসা, ভারতীয় বিয়ের চাপ এই সব মিলিয়ে বেশ ঘেঁটে গিয়েছিল কান্নান। আর কান্নানের অনিচ্ছায় ভরা ভাবগতিকে বেশ হতাশ হয়ে পড়েছিল অনু।
মাঙ্গলিক হওয়ায় কান্নানকে গাছে সঙ্গে বিয়ে করতে বলা হয় যার যাতে ভবিষ্যতে তার বিবাহিত জীবনে কোনও সমস্যা না হয়। ইচ্ছা না থাকলেও চাপে পড়ে গাছের সঙ্গে বিয়ে করতে বাধ্য হয় সে। কিন্তু পরে সে জানতে পারে ওই গাছেই থাকত শশীর (অনুষ্কা শর্মা) ভূত। আর তাই শশীর সঙ্গেই আসলে বিয়ে হয়েছে কান্নানের।
কীভাবে একটা ভূতের সঙ্গে তার জীবন জড়িয়ে গেল তা ভেবে কুল কিনারাই পাচ্ছিল না কান্নান। কিন্তু পরে অতীতে শশীর ঘটনা তাকে আগ্রহী করতে শুরু করে। শশীর জীবনের ঘটনা কান্নানকেই জীবনের অমূল্য শিক্ষা দিয়ে যায়।
কিন্তু শশীর এই অপূর্ণ প্রেমকাহিনী কি তা জানতে হলে আপনাকে সিনেমাহলে যেতেই হবে।
অভিনয়
শশীর চরিত্রে অনুষ্কা শর্মা অনবদ্য। বিশেষ করে ফ্ল্যশব্যাক ফ্রেমে দারুণ মানিয়েছে তাঁকে। এই ছবিটা পুরোটাই বিনোদনমূলক। খুব সিরিয়াস কোনও অভিনয়ের জায়গা পাননি অনুষ্কা। তবে যেটুকু সুযোগ পেয়েছেন তার সদ্ব্যবহার করেছেন। প্রযোজক ও অভিনেত্রী দুই ভূমিকাই দারুণভাবে সামলেছেন অনুষ্কা। তার ফল পর্দাতেও ফুটে উঠেছে।
দলজিৎ দোসাঞ্জকে এই ছবিতে অসাধারণ লেগেছে। চরিত্র অনুযায়ী তাঁকে মানিয়েছেও বেশ। এই ছবিতে দলজিতের একটি ট্রান্সফরমেশ দেখানো হয়েছে। সেই তফাৎটাও দারুণ ফুটিয়ে তুলেছেন দলজিৎ। উড়তা পাঞ্জাবের পর এই ছবিতেও দর্শকের মন কেড়েছেন নিজের অভিনয় দিয়ে।
সুরজ শর্মার কিংকর্তব্যবিমূঢ় অভিব্যক্তি ভালভাবেই ফুটিয়েছেন। তবে কোথাও কোথাও কমিক টাচ আনতে গিয়ে একটু বেশিই করে ফেলেছেন। মেহরিন পীরজাদা প্রছন ছবি হিসাবে ঠিকঠাক। আলাদা করে নজর কাড়তে পারেননি।
সবশেষে
এই ছবি দেখলে গেলে আপনার মাথা না খাটালেও চলবে। এই ছবির আপাদ-মস্তক নিখাদ বিনোদন। তাই একবার এইছবি হলে গিয়ে দেখলে হতাশ হবে না তা নিশ্চিত।