পর্দায় ফিরলেন জন! পোখরানের ঘটনা কীভাবে বলল 'পরমাণু' ছবিটি
ইতিহাসের প্রতিটি গর্বের অধ্যায়ের দুটি দিক থাকে। ঠিক যেমন একটি কয়েনের দুটি ভিন্ন দিক থাকে, তেমনই প্রত্যেকটি ঘটনার দুটি ভিন্ন পর্যায় থাকে। সেরকমই একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হল ১৯৯৮ সালে পোখরানে ভারতের প্রথম
ইতিহাসের প্রতিটি গর্বের অধ্যায়ের দুটি দিক থাকে। ঠিক যেমন একটি কয়েনের দুটি ভিন্ন দিক থাকে, তেমনই প্রত্যেকটি ঘটনার দুটি ভিন্ন পর্যায় থাকে। সেরকমই একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হল ১৯৯৮ সালে পোখরানে ভারতের প্রথম পরমাণুর পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ। যে ঘটনার কয়েকটি দিক তুলে ধরেছে জন আব্রাহাম অভিনীত 'পরমাণু' ছবিটি। পোখরানেরক ঘটনা কোন ভঙ্গিতে বলেছে জনের এই ছবি? জেখে নেওয়া যাক।
ছবির গল্প
ছবির ট্যাগলাইন ছিল , গল্পটি সত্যি ঘটনা অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু ছবির আনাচ কানাচ একাধিক জায়গায় নাটকীয়তার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। ছবিতে অশ্বত রায়না (জন আব্রাহাম) একজন সিভিল সার্ভেন্ট, যিনি দেশের প্রতিরক্ষার গবেষণা বিবাবে কর্মরত। তাঁর দায়িত্ব ছিল , প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়ে দেশের প্রথম পরমাণু নীরিক্ষণের অনুমতি আদায় করা। পরমাণু নীরিক্ষণের ইস্যুতে বিভিন্ন কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার মুখো মুখি হতে হয় তঁাকে। সঙ্গে ছিল সিআইএ-র নজর এড়ানোর চ্যালেঞ্জও। কিন্তু বিভিন্ন পেশাগত রাজনীতির মধ্যে পড়ে শেষমেশ হাল ছাড়তে হয় তাঁকে। তবে এখানেই কী লড়াই শেষ করে দেন অশ্বত? না! এরপর থেকেই মোড় ঘোরে কাহিনির। তবে শেষ পরিণতি কী হয় তা জানতে দেখতে হবে েই ফিল্ম।
অভিনয়
ফের একবার পর্দায় জন আব্রাহাম। তাঁকে ঘিরে উন্মাদনা ছিলই জন ভক্তদের মধ্য়ে। একজন সিভিল সার্ভেন্টের ভূমিকায় মানানসই অভিনয় করেছেন জন। কিন্তু কোথাও খামতি ছিল 'এক্স ফ্যাক্টরের'। গল্পে চরিত্রকে সেভাবে সুযোগ না দেওয়াতে খানিকটা ফিকে পড়ে যান অভিনেতা। একই ঘটনা ঘটেছে ডিয়ানা পেন্টির সাথেও।
পরিচালনা
অভিষেক শর্মা পরিচলিত এই ছবিতে একটি টান টান গল্পের আশা করেছিল দর্শক। কিন্তুবেশ কিছু জায়গায় চিত্রনাট্যকে সঠিক রূপ দিতে দেখা যায়নি পর্দায়। বেশ কিছু ঘটায় নাটকীয়তারও আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। ফলে খুব একটা মন মজাতে পারেনি ছবি।
সবশেষে
আলিয়া ভাটের 'রাজি' সেখান থেকে শুরু করেছিল , তার ধারে কাছে নেই জনের 'পরমাণু'। এই সপ্তাহেও বেশ গতিতে উর্দ্ধগামী 'রাজি'র বক্স অফিস সাফল্য। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াইয়ে 'পরমাণু' কতদূর যায় সেদিকে নজর বলিউডের।