'পরিণীতা'র পাওনা বলতে একমাত্র শুভশ্রী! বাকিটা গল্পে রাজ পাশ নাকি ফেল জেনেনিন
টাইমিংয়ে গলদ, তাতেই বোধহয় ছক্কা হাঁকানোর বল পেয়ে খুচরো রানে খেলে ভুল করলেন রাজ চক্রবর্তী! ঋত্বিক-শুভশ্রী জুটিতে চমক দিয়েও শেষ পর্যন্ত দর্শকদের মনে দাগ কাটা হল না 'পরিণীতা'-র গল্প।

প্রথমবার ঋত্বিক-শুভশ্রী
হাতে ঋত্বিকের মতো অভিনেতা। সেই সঙ্গে বড় পর্দায় প্রথমবার ঋত্বিক-শুভশ্রী জুটি!'পরিণীতা' সিনেমার চুম্বকের আকর্ষণে ছিল বাবাইদা(ঋত্বিক) ও মেহুলের(শুভশ্রী) মিষ্টি প্রেম। ফ্রক পরা অষ্টাদশী শুভশ্রীর মিষ্টি লুকে হারিয়ে গিয়ে গল্প হিট করাতে পারত আজকের নেটিজেনরা। কিন্তু ঐ পুরনো রোগেই তাল কাটল!
ছেনা ছকে প্রেম দেখিয়ে ট্র্যাজিক পরিণতি থেকে বেরোতে পারলেন না রাজ। গল্পের ফাঁকগুলো প্রথমার্ধে উত্তর কলকাতার গলিতে গলিতে ঋত্বিক-শুভশ্রীর প্রেম দিয়ে ঢেকে রাখা গেলেও ম্যাচ জেতা হল না। ট্র্যাজিক পরিণতি দেখাতে গিয়ে ফার্স্ট হাফেই ঋত্বিকের মৃত্যু দেখানো হয়। দলের ভালো ব্যাটসম্যান ঋত্বিককে পেয়েও কেন শেষ ওভার পর্যন্ত ক্রিজে রাখলেন না, সেটা বোঝা গেল না!

জুটিকে বেশিক্ষণ ধরে দেখা গেলে মন্দ লাগত না
মিষ্টি প্রেমে দর্শকদের ডুব দেওয়ার আসল সময়েই ঋত্বিককে সরিয়ে দিয়ে কোথায় যেন রসায়নের তাল কাটলেন পরিচালক। পর্দায় এই জুটিকে বেশিক্ষণ ধরে দেখা গেলে মন্দ লাগত না। সেই সঙ্গে দ্বিতীয়ার্ধে বদলার প্রেডিক্টেবল গল্প বলতে গিয়ে সিনেমার বাঁধন আলগা করে ফেলেন পরিচালক। ছবির ট্রিটমেন্টটা ঠিকঠাক হলে এছবি দর্শকদের মনে দাগ কাটতে পারত।

অভিনয়
গল্পে জল ঢুকলেও 'পরিণীতা'-য় শুভশ্রীর অভিনয় মনে ধরবে। হিরোইন ইমেজ থেকে বেরিয়ে এসে মেহুল চরিত্রে নিজেকে একেবারে অন্যভাবে তুলে ধরতে পেরেছেন শুভশ্রী।বিশেষ করে শুভশ্রীর নো মেকআপ লুক কিন্তু দারুণ লাগবে। সঙ্গে ঋত্বিক একেবারেই সাবলীল অভিনয় করে গিয়েছেন। ছোট ছোট চরিত্রে বাকিরা যথাযত। তবে গোটা সিনেমা জুড়েই আকর্ষণের কেন্দ্রে শুভশ্রী। হাতে অফুরন্ত সময় থাকলে গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে এই সিনেমার একবার দেখে আসা যায়।