তিন ভুবনের পার পেরিয়ে ভালো থাকার বার্তা দিল 'সোনার পাহাড়'
গৃহস্থ বাঙালির এক ঘরোয়া গল্প 'সোনার পাহাড়'। এই গল্পের চরিত্রগুলি আমাদের চারপাশের অনেকের সঙ্গেই হয়তো মিলতে পারে! এই ছবিতে দেখানো সম্পর্কের টানাপোড়েনের হিসাবে নিকেশ অন্তত সেইরকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বাঙালি পরিবারের এক চেনা ঘরোয়া গল্প 'সোনার পাহাড়'। এই গল্পের চরিত্রগুলি আমাদের চারপাশের অনেকের সঙ্গেই হয়তো মিলতে পারে! এই ছবিতে দেখানো সম্পর্কের টানাপোড়েনের হিসাবে নিকেশ অন্তত সেইরকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালিত ছবি ' লড়াই',' জিও কাকা', 'হাওয়া বদল' থেকে একেবারে ভিন্ন ঘরানা 'সোনার পাহাড়'। এই ছবি বিচারের উর্ধ্বে গিয়ে কোথাও যেন শুধু মন জুড়ে থেকে যাওয়ার গল্প বলেছে।
প্রেক্ষাপট
এই গল্প উপমাকে ঘিরে। উপমার চরিত্রে রয়েছেন তনুজা। বৃদ্ধা মায়ের সন্তান (যীশু) আর পুত্রবধূ (অরুণিমা) আলাদা থাকেন। আধুনিকা জীবন ধারার মোড়কে চাকরির দোহাই দিয়ে দুজনে অনেক দিন ধরেই আলাদা। যে গল্প বহু বর্ষীয়ান বাঙালি দম্পতির জীবনে খুবই চেনা! এদিকে, উপমার একার জীবন ভরিয়ে দিতে একাই একশ বিটলু (শ্রীজাত)। অনাথ আশ্রমে বড় হওয়া বিটলু ধীরে ধীরে উপমার সমস্ত জগতটাই আগরে রাখতে শুরু করে। জন্মায় এক সুন্দর সরল সম্পর্ক।যে সম্পর্কে আদ্যপান্ত মায়ায় গাঁথা। এরপর উপমার জীবনের গতি কোন দিকে এগোতে থাকে, এই বিটলুরই বা ভবিষ্যৎ কোনদিকে যায়? প্রশ্নের উত্তর পেতে দেখতে হবে 'সোনার পাহাড়'।
অভিনয়
ছোট্ট পরিসরে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অনবদ্য। একই রকমভাবে মন ছুঁয়ে নিয়েছেন তনুজা। বহু বছর পর বাংলা ছবিতে ফের পাওয়া গেল তাঁকে। তাঁরা উস্কে দিয়েছেন 'তিন ভুবনের পার' ছবির স্মৃতি। একই ছবিতে দুই তারকার উপস্থিতি যেন এই ছবির বড় পাওনা। যীশু সেনগুপ্ত তাঁর প্রতিটি ছবির মত এই ছবিতেও নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। যোগ্য সঙ্গত দিয়এছেন পরমব্রতও। শিশু শিল্পী শ্রীজাতও এই ছবির সম্পদ।
পরিচালনা
পরিচালক
পরমব্রত
চট্টোপাধ্যায়ের
থেকে
বোধহয়
তেষ্টা
মেটাতে
পেরেছেন
তাঁর
গুণমুদ্ধদের।এক
চেনা
গল্পকে
আবেগের
আঁচড়ে
যেভাবে
তিনি
ভাবিয়ে
তুলেত
বাধ্য
করেছেন
তা
অনবদ্য
।
সবশেষে
বৃষ্টির দুপুরে ফুরফুরে মেজাজে কোনও মনে ভালো কার ছবি দেখতে হলে দেখে নিন 'সোনার পাহাড়'। বন্ধুবান্ধব বা সঙ্গী কাউকে না পেলেও, এই ছবি একা দেখে উপলব্ধি করাও 'পরম 'প্রাপ্তি হতে পারে ।