কাশ্মীরের বুকে ধূসর-নীল ক্যানভাসে বসন্তের রঙ লাগালো সলমনের ছবি 'নোটবুক'
খাতার শেষ পাতায় বহু না বলা কথা , অভিমান, সুখযাপন অনেকেই নিরাপদে বা কখনও অজান্তেই লিখে রাখেন অনেকেই।
খাতার শেষ পাতায় বহু না বলা কথা , অভিমান, সুখযাপন অনেকেই নিরাপদে বা কখনও অজান্তেই লিখে রাখেন অনেকেই। স্কুলবেলা কিংবা কলেজে পড়ার সময় নোটপ্যাড বা খাতার শেষ পাতার কবিতা, স্বাক্ষরের প্র্য়াকটিস অনেক কথা নিমেষে বলে দেয়। আর এই জন্যই ফেলে আসে দিন দেখার অন্যতম আয়না ..নোটবুক। এই নোটবুক ঘিরে কাশ্মীরের ধূসর-নীল প্রেক্ষাপটে বসন্তের রঙ মিশিয়ে প্রেমের গল্প বলেছেন পরিচালক নীতিন কক্কর। এই গল্পের নায়ক নায়িকার চরিত্রে রয়েছেন স্বর্ণযুগের অভিনেত্রী নূতনের নাতনি প্রানূতন ও অভিনেতা জাহির ইকবাল। ঝিলাম নদী, ডাল লেকের প্রেক্ষাপটে কাশ্মীরী চায়ের পেয়ালার সঙ্গে এই গল্প গড়িয়েছে নিজের তালে।
চিত্রনাট্য
এই গল্প 'স্কুলপ্রেম'এর কাহিনি হলেও, তা কোনও পড়ুয়াদের নিয়ে নয় বরং দুই শিক্ষক শিক্ষিকার প্রেমের গল্প। সেনার চাকরি ছেড়ে কাশ্মীরে একটি বোট-স্কুলের শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন কবির (জাহির ইকবাল)। কাশ্মীরে গোলা বারুদের আওয়াজ থেকে দূরে এক শান্ত এলাকায় বাচ্চাদের সঙ্গে এই স্কুলেই দিনযাপন হয় তাঁর। সেখানেই তিনি পান স্কুলের পুরনো শিক্ষিকা ফিরদৌস (প্রাণূতন) এর একটি নোটবুক। যে নোটবুক জুড়ে শুধুই আবেগরা নিজের ছন্দে খেলা করেছে। আর সেই নোটবুক পড়েই নোটবুকের মামলিন ফিরদৌসের প্রেমে পড়ে যান তিনি।
পরিচালনা
পশমিনা উলের বুনোটে যেমন নরম আদর মেখে এক একটি গিঁটের জন্ম হয়, সেভাবেই নীতিনের 'নোটবুক' এর গল্প নিজের তালে চলেছে। কাশ্মীরের সামগ্রিক প্রেক্ষাপট, সেখানের পণ্ডিতদের সমস্যা, নাশকতার আবহ, সমস্ত অংশই গল্পের মূল নিউক্লিয়াসে থেকে গিয়েছে। আর এই গল্প বলার ধরনে কার্যত বাজিমাত করেথেন নীতিন।
অভিনয়
প্রাণূনতনের বাবা বিখ্যাত তারকা মণীশ বহল, ঠাকুমা স্বর্ণযুগের তারকা নূতন। ফলে আশা আকাঙ্খা তাঁকে ঘিরে ছিলই। ছবিতে সতেজতা নিয়ে এসে অবশ্যই নজর কেড়েছেন প্রাণূতন । জাহির ইকবাল অনেকাংশে একটু ফিকে হয়ে গিয়েছেন সেই তুলনায়।
প্রযোজনা
সলমন খান প্রযোজিত এই ছবিতে 'বুমরো' র সুর যেমন রয়েছে তেমনই রয়েছে চিনার পাতার ঝরে পড়ার দৃশ্য। বহু মোহময়ী ছবিই এই ফিল্মে রিয়েল লোকেশন নয়, বরং সেট তৈরি করে দৃশ্যায়িত হয়েছে। প্রযোজক হিসাবে স্টারকিডদের লঞ্চ করেও এবার বাজার মাত করতে চলেছেন সলমন।