বাপের বাড়ি-শ্বশুর বাড়ির টানাপোড়েনে 'নিজের বাড়ি'-কে হারিয়ে ফেলছেন কি!সন্ধান দিল 'মুখার্জিদার বউ'
বাপের বাড়ি থেকে শিখে আসা রান্নার ধরন, ঘরানা এক নিমেষে বদলে যায় শ্বশুরবাড়ির নয়া আদলে.. ফেলে আসা রুটিন ছেড়ে আবার একটা নতুন রুটিনে অভ্যস্ত হয়ে যেতেই হয় এই সমাজের প্রত্যেকটি মেয়েকে।
বাপের বাড়ি থেকে শিখে আসা রান্নার ধরন, ঘরানা এক নিমেষে বদলে যায় শ্বশুরবাড়ির নয়া আদলে.. ফেলে আসা রুটিন ছেড়ে আবার একটা নতুন রুটিনে অভ্যস্ত হয়ে যেতেই হয় এই সমাজের প্রত্যেকটি মেয়েকে। এরপর স্বামী, সংসার, শ্বশুরবাড়ি নিয়ে পথ চলা ..আর অন্যদিকে বাবার বাড়ির দায়দায়িত্ব, কর্তব্য পালন নিয়ে এক অদ্ভুত ভারসাম্য়ের সমীকরণে এগিয়ে যাওয়া। এই সমস্ত কিছুর মাঝে কোথাও হারিয়ে যায় একটি মেয়ের চেনা 'আমি', হারিয়ে যায় নিজের সত্ত্বা। এমনই কিছু দিক নিয়ে নারী দিবসে মুক্তি পেল পৃথা চক্রবর্তীর ছবি 'মুখার্জিদার বউ'।
চিত্রনাট্য
এই গল্প দুই মহিলার। একজন শ্বাশুড়ি একজন পুত্রবধূ। এমন সম্পর্ক ঘিরে 'পারমিতার একদিন' এর মতো বহু ছবি বাংলা সিনেমায় হয়েছে। তবে মুখার্জিদার বউ অন্য এক গল্প বলছে। যে গল্পের এক চরিত্র শাশুড়ি শোভারানী (অনুসূয়া) ও পুত্র বধূ অদিতি (কনীনিকা)। সামাজিক সম্পর্কের বেড়াজাল এঁদের দুজনকেই ভুলিয়ে দিয়েছিল তাঁদের নারী সত্ত্বার আরও এক বলিষ্ঠ দিক,.. 'নিজের ভালো থাকা'কেই এঁরা কার্যত নজরেই রাখেননি! তাহলে কি এই পরিস্থিতি পাল্টাবে? উত্তর দিচ্ছে ফিল্ম।
অভিনয়
ছবিতে অসামান্য অভিনয়ে ধরা দিয়েছেন অভিনেত্রী অনুসূয়া মজুমদার। একইভাবে অভিনয় দক্ষতার এক চুল জমিও ছাড়েননি অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্য়ায় । ছবির বিশেষ অংশ জুড়ে রয়েছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত । যাঁর সংলাপ বলার ধরন থেকে আবেগ , অভিব্যক্তির প্রকাশ আজও নাড়িয়ে দেয় অনেককে।
সবশেষে
নারী দিবসে মহিলাদের এক অনন্য লড়াইয়ের কাহিনি বলেছে 'মুখার্জিদার বউ'। যে লড়াইয়ের অংশিদার অনেক মহিলাই। এই ছবির বার্তা সুদূরপ্রসারী।
[আরও পড়ুন: 'বদলা'র আগুনে শেষ পর্যন্ত ভস্মীভূত হলেন কে! অমিতাভ-তাপসীর ছবি কোন ইঙ্গিত দিল ]