'রেনবো জেলি '-র স্বাদ কেমন! পরিপিসি আর ঘোঁতনের দুনিয়ায় কী আজব কাণ্ড হল, জানুন
'রেনবো জেলি '-র স্বাদ কেমন! পরিপিসি আর ঘোঁতনের দুনিয়ায় কী আজব কাণ্ড হল, জানুন
না! পদিপিসি নয়, পরি পিসি! সিনেমাতে লীলা মজুমদারের লেখা 'পদিপিসির বর্মীবাক্সের' আলতো প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরা হলেও, 'রেনবো জেলি' অন্য গতের ছবি। ফুড ফ্যান্টাসি নিয়ে এই প্রথমবার কোনও ছবি বাঙালি উপহার পেল। উপহার দিলেন পরিচালক শৌকর্য ঘোষাল। 'পরি'-চালকের 'পরি'পিসি এছবিতে কিছুটা লাইমলাইট অর্জন করলেও , ছবির আসল ইউএসপি মহাব্রত অর্থাৎ ঘোঁতন। ভাবছেন, রূপকথার পরিপিসি আর বাস্তবের ঘোঁতন কীভাবে মিলে গেল? তার জন্য জানতে হবে ছবির পটভূমি।
পটভূমি
সব সমস্যা গায়ের জোরে সমাধান হয় না, মনের জোরেও অনেক কঠিন সময় পার করা যায়। কিন্তু সেই দুঃসময় পার করতে কাউকে যদি পাশে পাওয়া যায়, তাহলে তো কথাই নেই! আর যাঁকে পাশে পাওয়া যাচ্ছে তিনি যদি কোনও পরি হন! আর পরির জাদুতে সমস্যা যদি ' ভ্যানিশ' হয়ে যায়! এরকম সুযোগ আসে ঘোঁতনের কাছে। কুচক্রি মামা গণ্ডারিয়া (কৌশিক সেন) বিভিন্নভাবে জ্বালায় ভাগ্নে ঘোঁতনকে (মহাব্রত)। স্কুলে ফেল করায় ঘোঁতনকে সরাদিন মামার দেখভাল করতে হয়। মামা ঘোঁতন কে জানিয়ে দিয়েছেন, ঘোঁতনের ১৮ বছর হলে তার বাবার রেখে যাওয়া সমস্ত যকের ধন তার হাতে তুলে দেবেন। মামার ঘরে রাখা রোবটের মধ্যে যকের ধনের পাসওয়ার্ড লুকোনো রয়েছে। কিন্তু আদৌ কি মামা সত্যি কথা বলছেন! মামা গণ্ডারিয়া কি সত্যিই ঘোঁতনের মামা নাকি অন্য কেউ! এই সব প্রশ্ন যখন জট পাকাতে থাকবে, তখনই ময়দানে আসেন পরি পিসি। রামধনুর রঙের মতোই ঘোঁতনকে তিনি দেন সাতরকমের মশলা। কী গুণ রয়েছে পরিপিসির সেই মশলায় তা জনতে চান? পরিপিসি কি আদৌ বাঁচাতে পারে ঘোতনকে ? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে যেতে হবে প্রেক্ষগৃহে।
[আরও পড়ুন:পর্দায় ফিরলেন জন! পোখরানের ঘটনা কীভাবে বলল 'পরমাণু' ছবিটি]
অভিনয়
ছবিতে বাড়তি পাওনা মহাব্রত। অভিনেতা নয়, বরং যেন এক সাবলীল নিরীহ কিশোর হিসাবে পাওয়া গেল মহাব্রতকে। স্পেশ্যাল চাইল্ড মহাব্রত এই ছবির সম্পদ। আর 'পরিপিসি' শ্রীলেখা মিত্রর অভিনয় বার বার মনে করাতে বাধ্য করছিল লীলা মজুমদারের 'পদি পিসি'-র চরিত্রকে। পপিন্সের চরিত্রে অনুমেঘাও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
পরিচালনা
ফুড ফ্যান্টাসি নিয়ে এরকম একটা গল্পের গিঁট বাঁধবার জন্য বাঙালি দর্শক কৃতজ্ঞ হয়ে থাকবে শৌকর্যের কাছে। এতগুলি চরিত্র, তার সমান প্রাসঙ্গিকতা আর চিত্রনাট্যের বাঁধনে এক নতুনত্ব ছবি তুলে ধরেছেন তিনি। রূপকথা আর বাস্তবকে কোথায় মেলাতে হবে পরিচালক তা নিখুঁত ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন ছবিতে।
সবশেষে
গরমের ছুটিতে বাবা মায়ের সঙ্গে থিয়েটারে গিয়ে দেখা যেতেই পারে 'রেনবো জেলি'। পরি পিসি আর ঘোঁতনের দুনিয়ায় নিজকে ডুবিয়ে দিতে মন্দ লাগবে না!