বাংলার দুই গোয়েন্দা যীশু-আবিরের খুনি-পুলিশের টক্কর, থ্রিলার 'বর্ণপরিচয়'-এ ছক্কা হাঁকালেন মৈনাক
এক পুলিশ ও এক সিরিয়াল কিলারকে নিয়ে গল্প বুনেছেন মৈনাক। সাত সাতটা খুন করা সিরিয়াল কিলার। পরে যিনি বছর দুয়েকের বিশ্রাম নিয়ে ফের খুনের খেলায় মেতে ওঠেন।
সিনেমার ডায়লগেই রয়েছে, 'সিনেমার শেষ সিন, আর বইয়ের শেষ পাতা, কখনও আগে থেকে জানতে নেই! তাহলে গল্প জানার মজাটাই পাল্টে যায়।'
বর্ণপরিচয় যেহেতু থ্রিলার ছবি, তাই রহস্য বলা বারণ! বাকি যতটুকু বলা যায়, সেটা হল খাঁটি গল্প নিয়ে খুনি-পুলিশের থ্রিলার সাজিয়েছেন মৈনাক ভৌমিক।
গল্প-
এক পুলিশ ও এক সিরিয়াল কিলারকে নিয়ে গল্প বুনেছেন মৈনাক। সাত সাতটা খুন করা সিরিয়াল কিলার। পরে যিনি বছর দুয়েকের বিশ্রাম নিয়ে ফের খুনের খেলায় মেতে ওঠেন। আর পুলিশ! মানে যিনি সেই খুনিকে ধরতে না পেরে স্বেচ্ছায় নিজেকে নির্বাসিত করেছিলেন। এখানেই গল্পের টুইস্ট। পুলিশকে সিলিয়ার কিলারের চ্যালেঞ্জ। খুন করব, প্রমাণ থাকলেও থাকতে পারে! এবার ধরে দেখাও তো বাপু। শেষ পর্যন্ত পুলিশ-খুনির এই রহস্যের সমাধান কীভাবে হবে সেই নিয়েই ২ ঘন্টার টান টান থ্রিলার।
আর হ্যা, পর্দায় আপনি যীশু আর আবিরকেই দেখতে যাবেন, সেক্ষেত্রে আগে থেকে কৌন হে হিরো আর কেই বা ভিলেন, সেটা না হয় নাই জেনে হলে ঢুকলেন।
অভিনয়
এর আগে বাংলা ছবিতে দুজনে একসঙ্গে কাজ করলেও এভাবে আমনে সামনে হতে হয়নি। দুই জন দুই নামি পরিচালকের ব্যোমকেশ, সেই নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টক্কর তো রয়েছেই এবার পর্দায় একে অন্যকে অভিনয়ে চ্যালেঞ্জ দিলেন আবির-যীশু। দর্শকরা এর আগে সৃজিতের রাজকাহিনী ও জাতিস্মর ছবিতে বর্তমান প্রজন্মের দুই হেভিওয়েট অভিনেতাকে একফ্রেমে পেয়েছেন। তবে সেটা পুরো গল্প জুড়ে নয়।
সেই খেদটাই যেন মিটিয়ে দিলেন মৈনাক। সেটাও আবার বাংলার দুই গোয়েন্দাকে খুনি-পুলিশের থ্রিলারে কাস্ট করে। বর্ণ পরিচয়ে সিনেমায় বাংলার যীশু-আবির নিজেদের চরিত্রে সেরাটা দিয়েছেন। ছোট চরিত্রে ফাটিয়ে অভিনয় করেছেন প্রিয়াঙ্কা সরকার।
মিউজিক
থ্রিলার ছবিতে মিউজিক আসলে অনুঘটক। ছবিতে অনুপমের মিউজিক মন কাড়বে। সৃজিৎ-থ্রিলার-অনুপম এই ত্রিভূজের থেকে এছবির মিউজিক একেবারে আলাদা।
পরিচালনা
ঘরানা বদল করে প্রথম থ্রিলারেই লেটার মার্কস নিয়ে পাশ করলেন মৈনাক। হালকা ছবির স্টোরি টেলার হিসেবেই এতদিন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে নামডাক। তবে প্রথমবার বড় পর্দায় থ্রিলার বানিয়ে বাংলার বাঘা থ্রিলার মেকারদের হালকা দুলুনি দিয়ে দিলেন বলা চলে।