গায়ে কাঁটা দিতে বাধ্য করছে 'লাভ সোনিয়া'! ছবির মূল গল্প কোন ঘটনা ঘিরে
জীবনকে যেভাবে দেখতে শেখানো হয়, সেভাবে সম্ভবত সকলের জীবন কাটেনা! চারপাশের কথিত গল্পে ছোট থেকেই একটি মেয়েকে শোনানো হয় রাজকীয় রূপকথার কাহিনি। কিন্তু সব কাহিনি কি রূপকথায় গিয়ে মিশতে পারে?
জীবনকে যেভাবে দেখতে শেখানো হয়, সেভাবে সম্ভবত সকলের জীবন কাটেনা! চারপাশের কথিত গল্পে ছোট থেকেই একটি মেয়েকে শোনানো হয় রাজকীয় রূপকথার কাহিনি। কিন্তু সব কাহিনি কি রূপকথায় গিয়ে মিশতে পারে? বহু বিলাসী স্বপ্ন বাস্তর রূপ পেতে গিয়ে হারিয়ে যায় অন্ধকার স্যাঁতস্যাঁতে গলিতে। তবুও লড়াই চলে। এমনই এক লড়াইয়ের গল্প বলেছে 'লাভ সোনিয়া'।
প্রেক্ষাপট
এই গল্প এক গ্রমের। যে গ্রামকে গ্রাস করেছে খরা। দেনার দায়ে চাষিদের অবস্থা ক্রমেই করুণ হয়ে আসছে। এমনই এক চাষির পরিবারের সন্তান সোনিয়া ও রিয়া। তবে পরিবারের যাবতীয় কষ্ট সত্ত্বেও রিয়া আর সোনিয়া জানে কীভাবে হাসি খুশি থাকতে হয়! কিন্তু আনাহারে আর ঋণের দায়ে পড়ে যান সোনিয়াদের বাবা (আদিল হোসেন)। গ্রামের দাদা ঠাকুর (অনুপম খের) -এর কাছে মেয়ে সোনিয়াকে বন্ধক রাখেন তিনি। যে দাদা ঠাকুর গোপনে সোনিয়াকে মুম্বইতে পাচার করে দেন। অজানা শহরে সোনিয়ার সঙ্গে দেখা হয় দুই ভিন্ন চরিত্রের। একজন ফয়জল (মনোজ বায়পেয়ী), আরেক জন মাধুরী ( রিচা চঢ্ঢা)। এদিকে, ততদিনে দিদির খোঁজে বেরিয়ে পড়ে বোন রিয়া। এরপর ঘটনা কোন অস্বাভাবিক পরিস্থিতির দিকে মোড় নেয়।
পরিচালনা
'লাভ সোনিয়া'-র মতো ছবি তৈরির জন্য পরিচালক তবরেজ নুরানির প্রচেষ্টা প্রশংসাযোগ্য। হিউম্যান ট্র্যাফিকিং নিয়ে বহু ফিল্ম এর আগেও হয়েছে। কিন্তু 'লাভ সোনিয়া' এক অন্য গাথা লিখে ফেলেছে। আরতার পুরো কৃতিত্ব প্রাপ্য পরিচালক নুরানির।
অভিনয়
মনোজ বাজপেয়ী যতটুকু সুযোগ এই ছবিতে পেয়েছেন গোটাটাই সদ্ব্যবহার করেছেন। আদিল হুসেনে স্ক্রিন টাউম কম থাকলেও তিনি এই ছবির অন্যতম সম্পদ। অন্যদিকে, প্রত্যাশার মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলেছেন রিচা। তবে নজর কাড়া অভিনয় উঠে এসেছে টেলি অভিনেত্রী মৃণাল ঠাকুরের কাছ থেকে।
সবশেষে
'লাভ সোনিয়া' কেবলমাত্র গল্প বলেছে , তাইই নয়, এই গল্প মন ছুঁয়ে গিয়েছে। আর সেখানেই একজন পরিচালকের বড় প্রাপ্তি। তবে বক্স অফিসের পরিসংখ্যানই এই ছবির শেষ কথা বলতে চলেছে।
[আরও পড়ুন: প্রেমের বহু রঙ দিয়ে ক্যানসভাস ভরাল 'মনমর্জিয়া'!মন কী ছুঁতে পারল অভিষেকের কামব্যক ফিল্ম ]