প্রেমের গল্পকে কোন মোড়কে পেশ করল 'লায়লা-মজনু' ! জানুন ছবির গল্প
ললাটের লেখা কে খণ্ডাতে পারে... যা কপালে থাকে, তাই ঘটে ! বহু বছর ধরে যে সমস্ত বিখ্যাত প্রেম কাহিনি উঠে এসেছে তার মধ্যে যতটা পরিচিত নাম 'রোমিও জুলিয়েট' ততটাই পরিচিত নাম 'লয়লা মজনু'।
ললাটের লেখা কে খণ্ডাতে পারে... যা কপালে থাকে, তাই ঘটে ! বহু বছর ধরে যে সমস্ত বিখ্যাত প্রেম কাহিনি উঠে এসেছে তার মধ্যে যতটা পরিচিত নাম 'রোমিও জুলিয়েট' ততটাই পরিচিত নাম 'লায়লা মজনু'। অতি পরিচিত সেই গল্পককথনকে উপজীব্য করেই সাজিদ আলির ছবি 'লয়লা মজনু'।
প্রেক্ষাপট
এই ছবি উপত্যকার প্রেক্ষাপটে তৈরি। যেখানের মেয়ে লায়লা (তৃপ্তি দিমরি)একজন স্বাধীনচেতা মেয়ে। কোনও ছেলের সঙ্গে ফ্লার্ট করতে পিছপা হয়না সে। জীবনকে পুরোদমে উপভোগ করতে সে সিদ্ধহস্ত। এমনই এক সময়ে কোয়াইস (অবিনাশ তিওয়ারি)-এর সঙ্গে দেখা হয় লয়লার। ধনী পরিবারের বাখাটে ছেলে কোয়াইসের সঙ্গে প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে যান লয়লা। প্রেম ক্রমেই গাঢ় হতে থাকে। কিন্তু ক্রমেই ভাগ্যের পরিহাস তাঁদের আলাদা করতে থাকে। তারপর ? এ গল্পের শে, কোথায়? জানতে হলে দেখতে হবে 'লয়লা-মজনু'।
পরিচলনা
প্রথমার্ধে বোঝা মুশকিল যে ছবিটি 'লয়লা-মজনু'-র কাহিনি থেকেই গৃহিত। কিন্তু কোয়াইস চরিত্রটি দ্বিতীয়ার্ধে যেভাবে 'মজনু'র চরিত্রটির রঙে রাঙিয়ে নিয়েছে নিজেকে, তাতে পরিচালক সাজিদ আলির মুন্সিয়ানা ও ইমতিয়াজের লেখার ছোঁয়াকে কৃতিত্ব দিতে হয়। গল্পের বুনোটে নতুনত্ব ও আধুনিক ভাবনা উপহার দিয়েছেন পরিচালক সাজিদ আলি।
অভিনয়
অবিনাশ তিওয়ারি এই ছবির সম্পদ। যেভাবে কোয়াইসের চরিত্রে তিনি এক মজনুকে ফিরিয়ে এনেছেন তা অনবদ্য । যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন তৃপ্তি। ছবির দ্বিতীয়ার্ধে দুজনের কাছেই অভিন. দক্ষতা প্রমাণের সুযোগ ছিল, আর সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন তাঁরা।
সঙ্গীত
ছবির বিভিন্ন গান ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। অরিজিতের গাওয়া গান 'আহিস্তা আহিস্তা' বেশ জনপ্রিয়তা পেয়ে চলেছে। নীলাদ্রি কুমার, জয় বরুয়া পরিচালিত এই ছবির সঙ্গীত বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
সবশেষে
কাশ্মীর উপত্যকার প্রেক্ষাপটে এক নিখাদ প্রেমন কাহিনি তুলে ধরেছে ছবিটি। মোনরম সেই দৃশ্যপট আর একটি প্রেমের গল্পে উইকেন্ডে বুঁদ হয়ে থাকতে হলে, দেখতে হবে 'লয়লা মজনু'।