'কিক' রিভিউ : "ম্যায় দিল মে আতা হু, সমঝ মে নেহি", সত্যিই বোধগম্য হল না, তবে সলমন হৃদয় ছুঁলেন
ছবির গল্পের ভাগের প্রশংসাটি কিন্তু বরাদ্দ তেলেগু 'কিক' ছবিটিরই। কারণ এ ছবিতেও গল্পের সেভাবে কোনও বদল চোখে পড়েনি। তবুও এককথায় বিনোদনের জন্য এ ছবি বেশ ভাল নম্বরই পাওয়ার যোগ্য।
আরও পড়ুন : (ছবি) সলমন-জ্যাকলিনের জোরদার 'কিক', ছবিতে কিছু অদেখা মুহূর্ত
ছবির
পটভূমি
ছবি
শুরু
হয়,
সাইনা
(জ্যাকলিন
ফার্নান্ডেজ),
একজন
মনোবিদ,
তাঁর
হবু
স্বামী
হিমাংশুর
(রণদীপ
হুডা)
সঙ্গে
ওয়ারশ-য়
ট্রেন
সফর
দিয়ে।
দুজনের
মধ্যে
কেউই
দেখে
শুনে
বিয়ের
পক্ষপাতি
নন।
কিন্তু
একে
অপরকে
চেনার
পর
খুব
ভাল
বন্ধুত্ব
হয়ে
যায়
দুঝনের
মধ্যে।
বন্ধুত্ব
হওয়ার
পরই
সাইনা
নিজের
অতীতের
কথা
হিমাংশুকে
জানিয়ে
দেবে
বলে
ঠিক
করে।
মূলত
তার
প্রাক্তন
প্রেমিক
ডেভিল
(সলমন
খান)-এর
বিষয়
জানাতে
চায়
হিমাংশুকে।
এর
পরেই
ফ্ল্যাশব্যাকে
চলে
যায়
ছবি।
দুরন্ত
এন্ট্রি
সলমন
ওরফে
ডেভিলের।
হিমাংশুও
একটি
গল্প
বলে
সাইনাকে।
হিমাংশু
পুলিশ
অফিসার।
কীভাবে
তিনি
একজন
বুদ্ধিদীপ্ত
চোরের
সন্ধান
পান
সেই
গল্পই
সাইনাকে
শোনায়
হিমাংশু।
এদিকে হিমাংশু বা সাইনা কেউই জানে না যে তারা দুজনেই ডেভিলের বিষয়েই আলোচনা করছেন। এর পরে ছবি আবার বর্তমানে ফিরে আসে। কীভাবে আবার ডেভিল তাদেঁর জীবনে ফিরে আসে, কীভাবে পুরো চিত্রটাই আবার পাল্টে যায়। কীভাবে এজজন সাধারণ ব্যক্তি ডেভিলে পরিণত হয় তা নিয়েই এগিয়ে চলে ছবি।
রবি
তেজা
নাকি
সলমন
খান?
তেলেগু
ছবিটিতে
কেন্দ্রীয়
চরিত্রে
অভিনয়
করেছিলেন
রবি
তেজা।
রবি
তেজা
তেলেগু
ফিল্ম
জগতের
জনপ্রিয়
নাম।
বিনোদনমূলক
ছবি
বলতে
যে
ছবি
বোঝায়
রবি
তেজার
কিকও
ছিল
তাই।
ওই
ছবিতে
নায়িকা
ছিলেন
বলিউডের
নতুন
মুখ
ইলিয়ানা
ডিক্রুজ।
ছবিতে
কমেডিও
রয়েছে
বহুল
পরিমাণে।
এই তেলেগু ছবিরই রিমেক হলেও বলিউডি 'কিক' কিন্তু সলমনের ছবি। সলমনে এই ছবিকে অন্য মাত্রা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করলেও পারেননি। পরিচালকের জন্য এছবি তেলেগু কিক- থেকে আলাদা হয়ে উঠতে পারেনি। তবে রবি তেজাকে অনেকাংশেই মাত দিয়েছেন বলিউডের দাবাঙ্গ খান।
আরও পড়ুন : (ছবি) অবশেষে প্রেমে পড়লেন সলমন!
সেই
একই
মশলামুড়ি
ধোয়া
বাসনে!
কিক
ছবিতে
সলমনকে
যে
ধরণের
চরিত্রে
দেখা
গিয়েছে,
তা
এই
প্রখমবার
নয়।
এর
আগেও
দাবাঙ্গা,জয়
হো
ছবিতেও
একই
ধরণের
চরিত্রে
অভিনয়
করেছেন
সলমন।
ফলে
অভিনয়ে
আলাদা
কোনও
বৈশিষ্ট্য
ফুটিয়ে
তুলতে
অসফল
হয়েছেন
সলমন।
দাবাঙ্গের
রবিন
হুড
পাণ্ডের
আধুনিকতম
সংস্করণ
ডেভিল।
সেই
এক
ভাল
মানুষ,
দুষ্টের
সঙ্গে
দুষ্ট,
ভালর
ভালো
গোছের
আর
কী।
তবে এই বয়সেও সলমন যে সব স্টান্ট করেছেন তা অনবদ্য। প্রথমবার সলমনের স্টান্ট দেখার জন্য তো একবার আপনাকে হলমুখো হতেই হবে। তবে হ্যাঁ ছবিতে ফাঁক ফোকড় অনেক রয়েছে। এনেককিছুই বেশ খাপছাড়া, এলোমেলো।
তবে সলমনের সঙ্গে জ্যাকলিনকে মানিয়েছে বেশ। হাইওয়ে-র পর রণদীর হুডা যে আরও পোক্ত অভিনেতা হয়ে উঠেছেন তা তিনি এ ছবিতেও বুঝিয়ে দিলেন। নিরাশ করলেন সাজিদ নাডিয়াড়ওয়ালা। প্রযোজনায় হাত পাকা হলেও কিক দিয়েই পরিচালনায় হাতেখড়ি তাঁর। কিন্তু সেভাবে নজর কাড়তে পারলেন না সাজিদ। ক্যামেরার প্রয়োগেও কোথায় কোথাও বেশ বেমানান। কিন্তু সব দোষ ঢেকে দিয়েছেন সলমন। কারণ সলমনের ছবিতে সবাই শুধু সলমনকেই দেখতে যান হলে সে ক্যারিশমা এখনও ধরে রেখেছেন বলিউডের দাবাঙ্গ খান।