'জুরাসিক ওয়ার্ল্ড :ফলেন কিংডম' কি সেই উত্তেজনা ধরে রাখতে পারল! ছবির গল্প কেমন
সেই প্রেক্ষাপট, সেই কৌতূহল। কিন্তু সেভাবে কি টানটান উত্তেজনা ধরে রাখতে পারল , জে এ বায়োনার 'জুরাসিক ওয়ার্ল্ড :ফলেন কিংডম'? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে জেনে নেওয়া যাক ফিল্মের প্রেক্ষাপট।
সেই প্রেক্ষাপট, সেই কৌতূহল। কিন্তু সেভাবে কি টানটান উত্তেজনা ধরে রাখতে পারল , জে এ বায়োনার 'জুরাসিক ওয়ার্ল্ড :ফলেন কিংডম'? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে জেনে নেওয়া যাক ফিল্মের প্রেক্ষাপট। ১৯৯৩ সালে স্টিভেন স্পিলবার্গের ছবি 'জুরাসিক পার্ক' এক নয়া ইতিহাস তৈরি করেছিল। তারপর এই সিরিজের বহু ফিল্ম পেরিয়ে পঞ্চম পর্বে এল 'জুরাসিক ওয়ার্ল্ড :ফলেন কিংডম'। দেখে নেওয়া যাক 'জুরাসিক ওয়ার্ল্ড :ফলেন কিংডম' জুরাসিক পার্ক সিরিজের উত্তেজনা কতটা ধরে রাখতে পারল?
প্রেক্ষাপট
আওয়েন ও ক্লেয়ার একটি ভয়ঙ্কর মিশনে রয়েছেন। তাঁরা ডায়নোসরদের অবলুপ্তি থেকে বাঁচানোর লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন। ইসলা নাম্বলার দ্বীপে সুপ্ত আগ্নেরগিরি যেকোনও সময়ে শেষ করে দিতে পারে ডায়নোসরদের। আর তাদের অবলুপ্তি থেকে রক্ষা করতেই অয়াবহ মিশনে আওয়েনরা। দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে কীভাবে বাঁচানো যাবে এই বিশালাকার প্রাণীদের? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে দেখতে হবে 'জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ফলেন কিংডম'।
অভিনয়
ক্রিস প্র্যাট ও ব্রায়স হাওয়ার্ডরা বহুভাবে চেষ্টা করেছেন তাঁদের অভিনয়ে দর্শক মন জয় করতে। কিন্তু যাঁরা ১৯৯৩ সালের স্টিভেন স্পিলবার্গের ছবি একবার দেখেছেন, তাঁদের কাছে এই ছবির অভিনয় থেকে স্পেশ্যাল এফেক্ট কিছুতেই মন জয় করতে পারবে না।
পরিচালক
যে চাপা টেনশন,উত্তেজনা 'জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ফলেন কিংডম' ছবিতে থাকা উচিৎ ছিল, তার কানা কড়িও এই ছবিতে মেলেনি। ছবি জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে গল্পের যে বাঁদন প্রয়োজন ছিল, তা কোথাও গিয়ে ছিঁড়ে গিয়েছে। ফিল্ম মাঝে মধ্যেই ভীষণ একেঘেয়ে হয়ে উঠেছে।
সবশেষে
বিশেষ নির্মিত সিজিআই ডায়নোসেরাসদের এই ছবির ইউএসপি ধরলে, আরও বেশি হতাশ হতে হবে দর্শকদের। তবে সপ্তাহের শেষে যাবতীয় ক্লান্তি দূর করতে চাইলে সপরিবারে পৌঁছে যেতেই পারেন কাছের কোনএ প্রেক্ষাগৃহে। বর্ষামুখর সন্ধ্যায় 'জুরাসিক ওয়ার্ল্ড :ফলেন কিংডম' মন্দ লাগবে না।