‘লাভ আজ কাল’ রিভিউ: ভ্যালেন্টাইন’স ডে জমাতে পারলেন না ইমতিয়াজ আলি
প্রেম দিবসের দিনই পরিচালক ইমতিয়াজ আলি খান তাঁর নতুন ছবি 'লাভ আজ কাল’ মুক্তির দিন স্থির করেছেন। এটা ভেবে যে ভ্যালেন্টাইন’স ডে বা ১৪ ফেব্রুয়ারি এ ধরনের ছবি দেখতেই পছন্দ করবেন যুগলরা। সারা আলি খান, কার্তিক আরিয়ান ও রণদীপ হুডা অভিনীত এই ছবি যদি দর্শকরা দেখতে যান তবে তাঁদের মন অবশ্যই ভাঙবে, যদি না আপনি ইমতিয়াজ আলির ভক্ত হয়ে থাকেন।

এটা বলাই যায় যে ২০০৯ সালের 'লাভ আজ কাল’–এর ওপর নির্ভর করে ২০২০ সালে সংক্ষিপ্তসার 'লাভ আজ কাল’ ছবিটি। স্ক্রিনপ্লে থেকে গান, ইমতিয়াজ আলি আসল ছবি থেকে কিছুটা আলাদা করার চেষ্টা করলেও সইফ আলি খান ও দীপিকা পাড়ুকোনের 'লাভ আজ কাল’ ছবিটিকে নষ্ট করেছেন। আর সেটাকে ঠিক করা জন্য আবার ২০০৯ সালের 'লাভ আজ কাল’ ছবিটিকে পুনরায় মুক্তি করাতে হবে।
ছবির গল্প
লাভ আজ কাল ২০২০–ছবিটি শুরুই হচ্ছে কার্তিক (রঘু) ও নতুন অভিনেত্রী আরুষি শর্মা (লীনা)–র ১৯৯০ সালের প্রেমকাহিনী ও অন্যদিকে কার্তিক (বীর) ও সারা (জোয়ি)–র ২০২০ সালের প্রেম। এই ছবিতে পুরুষদের স্টকার হিসাবে দেখানো হয়েছে। অন্য বলিউড ছবির মতোই এ ছবিতেও পুরুষরা মহিলাদের স্টক করতে করতে প্রেমে পড়ে যান। দু’ক্ষেত্রেই মহিলারা চান পুরুষরা তাঁদের প্রেমে পড়ুক। সেটা হয়ও কিন্তু এরপরই টুইস্ট আসে। ২০০৯ সালের ছবির মতোই এ ছবিতে দু’টো সময়ের প্রেমকাহিনীকে দেখানোর চেষ্টা করা হলেও দু’টোই ব্যর্থ হয়। ইমতিয়াজ আলি পুরনো ছবির সাদৃশ্য নতুন ছবিতে দেখানোর চেষ্টা করলেও তা পারেননি। পাওনা হিসাবে পুরনো লাভ আজ কালে বাবা সইফকে দেখা গিয়েছিল আর নতুন লাভ আজ কালে তাঁর মেয়ে সারাকে।
অভিনয়
কার্তিক আরিয়ান একজন ভালো অভিনেতা তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই ঠিকই কিন্তু সেটা যদি শুধু ভালো অভিনয়ের দরকার থাকত তবে হয়ত তিনি তাঁর সেরাটাই দিতেন। কিন্তু এই ছবিতে কার্তিকের বিভিন্ন চুলের স্টাইলও তাঁর চেয়ে ভালো পারফর্ম দেখিয়েছে। দু’টো চরিত্রকে বোঝাতে কার্তিকের চুলের স্টাইলটাই শুধু বদলানো হয়েছে।
এবার আসা যাক সারা আলি খানে। অভিনয় ছাড়া তাঁর প্রত্যেকটা দৃশ্যে চুলের স্টাইল যথাযথ, তাঁর দারুণ চোখের মেক–আপ, বিশেষ করে স্মোকি আইস করতে কতটা ধৈর্য্য ও সাধনা লাগে তা এই ছবি দেখেই বোঝা যাবে। এছাড়াও পোশাকের বাহার দেখে মাঝে মাঝে এটা ছবি কম কোনও শপিং মলের বিপণনীর বিজ্ঞাপন মনে হচ্ছিল।
পরিচালকের ব্যর্থতা
সারা–কার্তিক যে নিজেদের অভিনয় সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেনি তার জন্য দায়ি ইমতিয়াজ আলি। কারণ অভিনেতারা তো নিজেদের পরিচালকের কাছেই সঁপে দেন। পরিচালকই তাঁদের পরিচালিত করে। কিন্তু এক্ষেত্রে ইমতিয়াজ আলি একেবারেই ব্যর্থ হয়েছেন। তার ওপর অত্যন্ত বাজে একটি চিত্রনাট্য। যা দর্শকদের হতাশ করবেই।