(ফোটোফিচার) ফিল্ম রিভিউ: 'হাফ গার্লফ্রেন্ড'-এর 'গোটা' ছবি ঘিরেই বিভ্রান্ত দর্শক!
যুগের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চারপাশের চেনা অনুভূতিগুলির ছবিটাও পরিবর্তন হচ্ছে ক্রমাগত। আর এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুটি ভিন ভাবনার মানুষের প্রেম কাহিনি নিয়েই ছবি 'হাফ গার্লফ্রেন্ড'।
প্রযোজক-শোভা
কাপুর,
একতা
কাপুর,
মোহিত
সুরি
পরিচালনা:
মোহিত
সুরি
অভিনয়:
অর্জুন
কাপুর,
শ্রদ্ধা
কাপুর
লেখক চেতন ভগতের অন্যতম বেস্ট সেলার 'হাফ গার্লফ্রেন্ড' অবলম্বনে তৈরি হয়েছে মোহিত সুরি পরিচালিত এই ছবি । যুগের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চারপাশের চেনা অনুভূতিগুলির ছবিটাও পরিবর্তন হচ্ছে ক্রমাগত। পরিবর্তন হচ্ছে ভাবধারার , চিন্তাভাবনার। আর এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুটি ভিন ভাবনার মানুষের প্রেম কাহিনি নিয়েই ছবি 'হাফ গার্লফ্রেন্ড'।
পটভূমি
চেতন ভগতের 'টু স্টেটস' -এ দেখানো হয়েছিল দক্ষিণ ভারত আর উত্তর ভারতের দুই ভিন্ন সংস্কৃতির টানাপোড়েনের মধ্যে ক্রমাগত বেড়ে চলা একটি প্রেম কাহিনি। আর' হাফ গার্ল ফ্রেন্ডে'-ও রয়েছে দুটি ভিন্ন রাজ্যের মানুষের দুটি ভিনধর্মী অনুভূতির গল্প।
ছবির গল্প
ছবিতে মাধব ঝা (অর্জুন কাপুর) বিহার থেকে দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে এসে প্রেমে পড়েছেন দিল্লির মেয়ে রিয়া সোমানির( শ্রদ্ধা কাপুর)। দুজনের সম্পর্কের মধ্যে পুরোপুরিভাবে প্রেমে পড়েছেন শুধু মাধব। আর মাধবের 'হাফ গার্লফ্রেন্ড' হওয়ার জন্য তাঁকে প্রস্তাব দেন রিয়া। মূলত ছবিতে দেখানো হয়েছে প্রেমে মাধবের সঙ্গে অনেক দূর পর্যন্ত হাঁটতে রাজি রিয়া। তবে সেই প্রেমের গভীরে যেতে নারাজ সে। এইরকম এক প্রেক্ষাপট থেকেই এগোয় ছবির গল্প।
পরিচালনা
'হাফ
গার্লফ্রেন্ড'
-এর
আগে
মোহিত
সুরির
শেষ
ছবি
ছিল
'
হামারি
অধুরি
কাহানি'।
সেখানে
বিদ্যা
বালানের
মতো
অভিনেত্রী
থাকলেও
তা
বক্স
অফিসে
মুখ
থুবড়ে
পড়ে।
এরপর
'হাফ
গার্লফ্রেন্ড'
নিয়ে
যথেষ্ট
আশায়
রয়েছেন
পরিচালক।
এই
ছবিতে
মূলত
গল্পের
নিরিখে
চরিত্রগুলি
সেভাবে
শক্তপোক্ত
নয়।
তাই
অনেক
ক্ষেত্রেই
কাহিনিতে
সেই
সমস্ত
চরিত্রকে
অনেকটাই
অতিরঞ্জিত
মনে
হয়েছে।
প্রেমের
মত
একটি
সুক্ষ্ম
ভাবাবেগকে
নিয়ে
নিজের
পরিচালনায়
দর্শকদের
অনেকটাই
বিভ্রান্ত
করেছেন
পরিচালক
মোহিত
সুরি।
অভিনয়
'টু স্টেটস ' ছবিতে কৃষের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন অর্জুন। যে ছবির কাহিনিও ছি চেতন ভগতের লেখা। আর এছবিতেও নায়ক সেই অর্জুন । তবে নিজের অভিনয় দিয়ে এই ছবিতে মন কাড়তে পারেননি অর্জুন। অনেককটা জায়গাতেই অর্জুনের ভোজপুরি ভাষায় সংলাপ বলতে গিয়ে অস্বাচ্ছ্ন্দ্য ধরা পড়েছে। অন্যদিকে শ্রদ্ধা কাপুর নিজের মতো করে তাঁর চরিত্রে সাবলীল অভিনয় করলেও , তিনি একা এই ছবি টানতে পারেননি।
সঙ্গীত
ছবির 'বারিশ','ফিরভি তুমকো চাহুঙ্গা' এই সম্সত গানে মশগুল গোটা জেনারেশন Y। অরিজৎ সিং এর কন্ঠে 'ফিরভি তুমকো চাহুঙ্গা' গানটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছে এই কদিনের মধ্যেই। ছবিতে একাধিক সঙ্গীত পরিচালক কাজ করেছেন। বাঙালি সঙ্গীত পরিচালক তানিশ্ক বাগচি ছাড়াও রয়েছে মিঠুন, আমি মিশ্র, ফারহান সঈদ।
সবশেষে
ছবিতে দুর্বল পরিচালনার পাশপাশি, অভিনয়ও সেভাবে জমেনি। তাছা়ড়াও ছবির গল্পও সেভাবে মনগ্রাহী নয়। সব মিলিয়ে ছবির গান আর অর্জুন -শ্রদ্ধার গ্ল্যামারের আকর্ষণ ছাড়া সেভাবে দর্শককে ছুঁতে পারেনি 'হাফ গার্লফ্রেন্ড'।