ফাইন্ডিং ফ্যানি রিভিউ : ধন্যবাদ হোমি, বলিউডের মশলামুড়ি থেকে একটা সুখকর বিরতি দেওয়ার জন্য
এছবির চরিত্রায়ণে প্রবীন-নবীন অভিনেতাদের যুক্তিপূর্ণ মেলবন্ধনে সবাই চমকে দিয়েছেন পরিচালক। যেখানে দীপিকা পাডুকোন, অর্জুন কাপুরের মতো তরুণ অভিনেতারা সেখানেই ডিম্পল কাপাডিয়া, নাসিরুদ্দিন শাহের মতো অভিজ্ঞ অভিনেতারাও রয়েছেন।
ছবির
পটভূমি
ফাইন্ডিং
ফ্যানি
মূলত
৫
চরিত্রের
গল্প।
অ্যাঞ্জি
(দীপিকা
পাডুকোন),
গার্বোর
(রণবীর
সিং)-র
সঙ্গে
বিয়ে
হয়
অ্যাঞ্জির।
কিন্তু
কুমারী
অ্যাঞ্জিকে
ছেড়েই
মারা
যায়
গার্বো।
অ্যাঞ্জির
শাশুড়ি
রোসি
ইকারেস্তিকা
(ডিম্পল
কাপাডিয়া)।
তিনিও
বিধবা,
গ্রামের
ডাককর্মী
ফার্ডি
(নাসিরুদ্দিন
শাহ),
স্যাভিও
(অর্জুন
কাপুর)
এবং
ডন
পেড্রো।
ফার্ডি একদিন আবিস্কার করে ৪৬ বছর আগে তাঁর প্রেমিকা স্টেফনি ফার্ডনেসকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে পাঠানো চিঠিটি তার দরজার পিছনে পড়ে রয়েছে। চিঠিটি স্টেফনি যাঁকে ফার্ডি ভালবেসে ফ্যানি বলে ডাকত তার কাছে পৌছয়ইনি। এক মুহূর্তে জীবন উথাল পাথাল হয়ে যায় ফার্ডির। অথচ ফ্যানি তার বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়েছে এই আক্ষেপেই ৪৬ টা বছর কাটিয়ে দিয়েছে ফার্ডি। অতএব শুরু হয় ফ্যানিকে খোঁজা। আর তাই এই ছবির নাম ফাইন্ডিং ফ্যানি।
অ্যাঞ্জি সদাসর্বদা মানুষের সাহায্য়ের জন্য এক পা বাড়িয়েই রাখে। ফার্ডির ফ্যানিকে খুঁজে বের করতে তাকে সাহায্য করতে রাজি হয়ে যায় অ্যাঞ্জি। ক্রমে যোগ দেয় রোজি, স্যাভিও এবং ডন পেড্রোও। আর তার সঙ্গে শুরু হয় ফ্যানিকে খোঁজার মজাদার যাত্রা।
ফার্ডির প্রেমিকাকে খুঁজতে গিয়ে অ্যাঞ্জি আর স্যাভিওর প্রেমের গাড়িও তড়তড়িয়ে ছুটতে থাকে। এদিকে নিজেকে নিয়েই ভাবিত ডন পেড্রোও রোজির প্রেমে বা বলা ভাল কামের আশায় বুঁদ হয়ে যায়।
ফাইন্ডিং
ফ্যানি
কী
তহে
'ফানি
ছবি'
হোমি
আদাজানিয়ার
এই
ছবি
একেবারেই
কমেডি
ছবি
নয়।
তবে
এই
ছবিতে
এমন
বেশ
কিছু
দৃশ্য
রয়েছে
যা
আপনাকে
হাসাতে
বাধ্য
করবে।
অবশ্যই
তা
কাতুকুতু
দিয়ে
হাসানো
নয়,
বরং
পর্যাপ্ত
রসবোধে
পরিপূর্ণ।
একইসঙ্গে এছবি একেবারেই বলিউডের মশলামুড়ি নয়। বরং পরিচালক মানুষের আবেগ ও অনূভূতির বিভিন্ন দিককে বাস্তব রূপ দিয়ে ফুটিয়ে তোলার দিকেই বেশি মনোনিবেশ করেছেন।
অভিনয়ের
কারিকুরি
এই
ছবিতে
নতুন
করে
পাওয়া
গেল
দুই
মহিলাকে।
দীপিকা
ও
ডিম্পল
দুজনেই
অনবদ্য।
এই
ছবিতে
দুজনেই
বিধবা।
দুজনের
ভিন্ন
রকমের
আবেগ
অনুভূতি
অনবদ্যভাবে
ফুটিয়ে
তুলেছেন
দুজনে।
ডিম্পল
কাপাডিয়াকে
এর
আগে
হোমিরই
ছবি
বিইনগ
সাইরাসে
দেখা
গিয়েছে
নয়া
অবতারে।
তিনি
তখনই
প্রমাণ
করে
দিয়েছিলেন
তিনি
কত
বড়
মাপের
অভিনেত্রী।
এবারে
তা
আরও
একবার
প্রমাণ
করলেন।
তবে
দীপিকা
এই
ছবির
বড়
পাওনা।
দীপিকা
যে
শুরু
লাস্য
আর
শরীর
দেখাতেই
বলিউডে
আসেননি
তা
তিনি
বুঝিয়ে
দিয়েছেন।
নাসিরুদ্দিন
শাহ
বা
পঙ্কজ
কাপুরের
অভিনয়
যোগ্যতা
নিয়ে
আলাদা
করে
বলার
প্রয়োজন
পড়ে
না,
তবে
স্য়াভিও
ওরফে
অর্জুনও
এই
ছবিতে
পরিণত
অভিনয়
করেছিলেন।
সবশেষে এটুকুই বলতে পারি হোমি আদাজানিয়াকে ধন্যবাদ এই ছবিটি বানানোর জন্য।