সাহস না থাকলে প্রেম করাই বৃথা! সোনম, রাজকুমাররা কোন চমকে মাতালেন 'এক লড়কি কো দেখা তো অ্যায়সা লাগা'
কেউ বলেন, সাহসীরাই প্রেম করতে পারে, কেউ বলেন ,প্রেমে পড়লেই সাহসী হয়ে ওঠে মানুষ... আর অনেকে বলে থাকেন প্রেমে ধাক্কা খেলেই সাহস বাড়ে, তৈরি হয় আগ্রাসী মনোভাব!
কেউ বলেন, সাহসীরাই প্রেম করতে পারে, কেউ বলেন ,প্রেমে পড়লেই সাহসী হয়ে ওঠে মানুষ... আর অনেকে বলে থাকেন প্রেমে ধাক্কা খেলেই সাহস বাড়ে, তৈরি হয় আগ্রাসী মনোভাব! প্রেম আর যুদ্ধে সমস্ত কিছুই 'সঠিক'! আর প্রেমের জন্য যুদ্ধে ...? প্রেমের জন্য আপনজনদের সঙ্গে লড়তে হলে কী ঘটে যায়? এই প্রশ্ন নিয়েই ছবি 'এক লড়কি কো দেখা তো অ্যায়সা লাগা'। যদিও ছবির গল্পের মোড়কের ভিতর রয়েছে এক অন্যরকম প্রেমের গল্প।
চিত্রনাট্য
ট্রেলারে সকলেই আঁচ পেয়েছেন যে ছবি সমকাম প্রেম নিয়ে কথা বলতে চলেছে। গল্পের চিত্রনাট্যে সেই প্রেম জায়গা করে নিয়েছে এক পাঞ্জাবী পরিবারের প্রেক্ষাপটে। এক ছেলের সঙ্গে মেয়ের দেখা হওয়ার বলিউডি ফর্মুলা দিয়ে ছবির শুরু। ছবিতে সুইটি (সোনম কাপুর)র প্রেমে পড়েন সাহিল (রাজকুমার রাও)। দুই ভিন্ন ধর্মের ছেলে মেয়ের প্রেম নিয়ে দুটি পরিবারে প্রশ্ন উঠলেও, পরে সকলেই তা দরাজ মনে মেনে নেন। কিন্তু এরপর পরিবার দুটি মুখোমুখি হয় এক অন্যরকম প্রশ্নের। যে প্রশ্ন উঠে আসে সুইটির সমকাম মনোভাব নিয়ে! তারপর কী ঘটে যায়? তা জানে হলে দেখতে হবে 'এক লড়কি কো দেখা তো অ্যায়সা লাগা।'
অভিনয়
ছবিতে প্রথমবার পিতা ও কন্যা! রিয়েল লাইফের মেয়ে সোনম এই ছবিতেও অনিল কাপুরের মেয়ের ভূমিকাতেই অভিনয় করছেন। অনিল কাপুরের অভিনয় পারদর্শিতা এই ছবির অন্যতম সম্পদ। আর তাঁর পরই যিনি ছবি জুড়ে রীতিমত অভিনয় দক্ষতায় মাত করেছেন তিনি হলেন রাজকুমার রাও। সোনম এউ ছবির কেন্দ্রিয় চরিত্র হলেও, রাজকুমার ও অনিল কাপুরের ক্যারিশ্মার কাছে তিনি ফিকে হয়ে গিয়েছেন।
পরিচালনা
শেলি চোপড়া ধর এক অসামান্য চিত্রনাট্যের মাধ্যমে এই প্রেম কাহিনি তুলে ধরেছেন। সংলাপ ও সিলেমাটোগ্রাফি এই ছবির অন্যতম ইউএসপি। ছবির টানটান ভাব অনেকাংশেই শিল্পীর দক্ষতায় ধরে রেখেছেন শেলি।
২৪ বছর পর ফের 'এক লড়কি কো দেখা তো অ্যায়সা লাগা'....
'১৯৪২ এ লাভস্টোরি' ছবিতে 'এক লড়কি কো দেখা তো অ্যায়সা লাগা' গানচির সঙ্গীত পরিচালনা করেন কিংবদন্তী সুরকার আর ডিবর্মন। সেই গান আবারও দর্শকদের সামনে নিয়ে আসা নতুন ধাঁচে , নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জের বিষয়! রোচম কোহলি সেই পাহাড়ি সুরকে এই ছবিতে পাঞ্জাবি ঘরানায় বেঁধেছেন সুনিপুণভাবে। আর এই গানের সুরের সঙ্গে ফের একবার পাওনা চেনা ছন্দের অনিল কাপুরকে। মাঝের সময়ের ফারাক কেবল ২৪ বছর। সব মিলিয়ে গল্প , অভিনয়ে মন মজাতে বাধ্য 'এক লড়কি কো দেখা তো অ্যায়সা লাগা'।