গোবিন্দা–করিশ্মা কাপুর অভিনীত ছবির পর্যায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে রিমেক ‘কুলি নং ওয়ান’
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের স্বাদ এবং পছন্দের ব্যাপক বদল ঘটেছে এবং আমাদের জন্য এটা খুবই প্রয়োজনীয় আমরা সেই বদলের জোয়ারে যেন গা ভাসাই, নয়তো পেছনে পড়ে থাকব। সেরকমই ২৫ বছর আগে দর্শকদের পছন্দের তালিকায় যেটা ছিল, তা বহু বছর পর সেই পছন্দ একই থাকবে তার কোনও অর্থ নেই। কিন্তু 'কুলি নম্বর ওয়ান’–এর পরিচালক ডেভিড ধাওয়ান মনে হয় এই বিষয়টিকে অতটা গুরুত্ব দিতে নারাজ। কিছু মিনিটের মধ্যেই বরুণ ধাওয়ান ও সারা আলি খান অভিনীত নতুন 'কুলি নম্বর ওয়ান’ দেখে দর্শকদের মনে হতেই পারে তাঁরা সেই ৯০ সালেই আটকে রয়েছেন।

গল্পে বদল নেই
সিনেমায় অভিনেতা বদল ছাড়া চিত্র পরিচালক ডেভিড ধাওয়ান গল্প বলার ক্ষেত্রে অভিনবত্ব খুব কমই দেখিয়েছেন। তবে দর্শকদের ক্ষেত্রে একটাই স্বস্তি, বরুণ ধাওয়ানের কুলি নম্বর ওয়ান ১৯৯৫ সালে গোবিন্দার কুলি নম্বর ওয়ানের একদম প্রতিলিপি নয়। তবে ছবির অধিকাংশ সংলাপই প্রকৃত সিনেমার সংলাপ থেকে শুধু কাট ও কপি-পেস্ট করে নেওয়া হয়েছে।

কাহিনী
রেলের কুলি রাজু (বরুন ধাওয়ান) সারার (সারা আলি খান) প্রেমে পড়েন, যিনি ধনী হোটেল ব্যবসায়ীর কন্যা (যেমনটা আগের সিনেমায় দেখানো হয়েছিল)। সারার বাবা জেফিরি রোজারিয়া (পরেশ রাওয়াল) চান না তাঁর মেয়ের বিয়ে কোনও টম, ডিক বা হ্যারির সঙ্গে হোক, তিনি এমন জামা চান, যিনি ধনী এবং ‘জো ভাজি-তরকারি লেনে জায়ে তো ভি চাটার্ড প্লেন লে যায়ে'। তাই যখন জয় কিষাণ (জাভেদ জাফরি) সারার জন্য যোগ্য পাত্রের সন্ধান নিয়ে আসেন, জেফিরি তাঁকে অপমান করেন এবং তাঁদের মতো কাউকে খুঁজে না পাওয়ার জন্য তাঁকে দালাল বলে অসম্মান করেন। জেফিরির ব্যবহারে অপমানিত বোধ করেন জয় কিষাণ এবং তাঁর প্রতি প্রতিশোধ নেবেন বলে ঠিক করেন। রেল স্টেশনে তিনি রাজুকে দেখে তাঁর সঙ্গেই সারার বিয়ে দেওয়ার ফন্দি আঁটেন এবং এভাবেই জেফিরিকে শিক্ষাও দেবেন। রাজু এবং জয় কিষাণ জেফারিকে এটা বোঝাতে সফল হন যে রাজু একজন কোটিপতি এবং সারার সঙ্গে বিয়ে করিয়ে দেন। তবে মনে রাখতে হবে এটা সমস্যার সবে শুরু।

পরিচালকের ব্যর্থতা
ডেভিড ধাওয়ানের কুলি নম্বর ওয়ানে এমন কিছু বোকা বোকা সিক্যুয়েন্স ছিল, যা দিয়ে এই ছবিটি শেষ হতে পারে বলে মনে হয়নি। পর্দায় যাতে ভালো লাগে সেই কারণে রুমের দারুণ ডেকরেশান, যাতে মনে হয় রাজু ধনী বাড়ির ছেলে, অপ্রয়োজনীয় রেল স্টেশন এবং হঠাৎ করে রেল লাইনে এক শিশুকে বাঁচানোর প্রয়াস রাজুর, কোনওভাবেই সিনেমার সঙ্গে খাপ খায় না। বরুণ ধাওয়ানকে দিয়ে কিছু অবাস্তব স্টান্ট করানো হয়েছে, যা কোনওভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়।

অভিনয়
বরুণ বা সারার অভিনয় সেই ১৯৯৫ সালে গোবিন্দা-করিশ্মা জুটির অভিনয়ের সঙ্গে মেলাতে পারেনি। অভিনয়ের চেয়ে সারার লুকসে বেশি কাজ করা হয়েছে ছবিতে। বরুণ ধাওয়ানের অভিনয়ও খুব একটা নজর কাড়তে পারেনি। ছবিতে একমাত্র পরেশ রাওয়ালের অভিনয়ই দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

রিমেক ভার্সান দর্শকদের পছন্দ হয়নি
তবে ১৯৯৫ সালের ‘কুলি নম্বর ওয়ান' যে পরিমাণ দর্শক পছন্দ করেছিলেন তার সিকি আনা দর্শকেরও পছন্দ হবে না এই ছবির রিমেক ভার্সানটি। প্রকৃত সিনেমার গানই এই ছবিতে রাখা হয়েছে, ছবির নিজস্বতা বলতে শুধুমাত্র আলাদা অভিনেতা।
রক্তচাপের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি থালাইভা রজনীকান্ত
