ব্যোমকেশ গোত্র মুভি রিভিউ: 'নতুন' অজিতকে নিয়ে কতটা মন ছুঁয়ে নিলেন আবির-অরিন্দম
রহস্য , শারীরিক সম্পর্ক, ধোঁয়াশা আর মিথ্যের প্রলেপ.. এই সমস্য কিছু ভেদ করে সত্যান্বেষণের সাফল্য। এই সাফল্যের জন্যই বাঙালি চেনে ব্যোমকেশকে।
রহস্য , শারীরিক সম্পর্ক, ধোঁয়াশা আর মিথ্যের প্রলেপ.. এই সমস্য কিছু ভেদ করে সত্যান্বেষণের সাফল্য। এই সাফল্যের জন্যই বাঙালি চেনে ব্যোমকেশকে। আর চেনা ব্যোমকেশ আরও একবার সেলুলয়েড বন্দি করে তাকে আকর্ষণীয় রসদে পরিপূর্ণ করতে পারাটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ নিঃসন্দেহে। ফের একবার নিজের ব্যোমকেশ টিমকে নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন পরিচালক অরিন্দর শীল। আর এছবির এবারের নতুন মুখ 'অজিত'-এর ভূমিকায় রাহুল।
ছবির প্রেক্ষাপট
'সত্যবতী,সত্যান্বেষী, সত্যকাম, ..' এই 'লাভলি ট্রায়াঙ্গেল'-এই ঘুরেছে ছবির গল্প। গল্পের প্রেক্ষাপট ১৯৫২ সালের। তৎকালীন মুসৌরির এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে এগিয়েছে গল্প । শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'রক্তের দাগ' যাঁদের পড়া হয়ে গিয়েছে , তাঁরা জানেন গল্প কীভাবে এগিয়েছে। তবে প্রশ্ন হল, সেই গল্পের সঙ্গে সেলুলয়েড বন্দি ব্যোমকেশ কতটা সামঞ্জস্য রেখেছে। ওমেনাইজার সত্যকামকে কে , কেন হত্যা করতে চাইছে, বা অব্যর্থ কোনও অপরাধের আঁচ কেন আসছে তার সত্যিটা জানতে গিয়ে ব্যোমকেশ (আবির) ও অজিতের কাছে পৌঁছন সত্যকাম (অর্জুন চক্রবর্তী)। আর সেই সঙ্গে গল্পে জুড়তে থাকে এমিলি (প্রিয়াঙ্কা সরকার), মীরা, চুমকির চরিত্র। এরপর ঘটে যায় রক্তাক্ত অপরাধ। তারপর...? বাকিটা ছবির ক্লাইম্যাক্সে রয়েছে।
অভিনয়
আবির
চট্টোপাধ্যায়ের
ব্যোমকেশ
হিসাবে
নিজের
অভিনয়
দক্ষতা
আরও
খুঁড়ে
বার
করেছেন।
সংলাপ
থেকে
চাউনি
সমস্ত
কিছু
যেন
এই
মুহূর্তে
আবির
ছাড়া
ব্যোমকেশ
হিসাবে
তিনি
আর
কারোর
কথা
ভাবতেই
দিচ্ছেন
না
দর্শককে।
এ
ছবিতে
আলাদা
করে
বলতেই
হয়
অর্জুনের
কথা।
নিঃসন্দেহে
অর্জুন
চক্রবর্তী
এই
'ব্যোমকেশ
গোত্র'-এর
অন্যতম
সম্পদ।
তবে
অঞ্জন
দত্ত
বা
রাহুল
সেই
দিক
থএকে
সেভাবে
নজর
কাড়তে
পারেননি।
পরিচালনা
ছবির
প্রথমার্ধের
যে
টানটান
উত্তেজনা
অরিন্দম
তৈরি
করেছিলেন,
তা
শেষ
পর্যন্ত
ধরে
রাখতে
ব্যর্থ
হন
অরিন্দম।
ছবির
দ্বিতীয়ার্ধ
যেন
খুবই
দুর্বল
হয়ে
পড়েছে
প্রথমার্ধের
তুলনায়।
সবশেষে
পুজোর
ভিড়ে
যদি
আলসেমি
ধরে
যায়,
তাহলে
'ব্য়োমকেশ
গোত্র'
অব্যর্থ
ওষুধ!
মন
সতেজ
করতে
হলে
দেখে
আসতেই
পারেন
এই
ছবি।