মুভি রিভিউ 'ব্রাদার্স' : অক্ষয়-সিদ্ধার্থ নজর কেড়েছেন, ছবির ধীর গতিই 'দুধে গো-চোনা!'
যখন প্রথন শোনা গিয়েছিল হলিউড ছবি 'ওয়ারিয়রস' বলিউডে রিমেক করা হচ্ছে 'ব্রাদার্স' নামে, তখন থেকেই এই ছবি নিয়ে প্রত্যাশা ক্রমশ আকাশ ছুঁতে শুরু করে।
কিন্তু বড় প্রশ্ন হল করণ মলহোত্রা কী সেই পাহাড়প্রতিম প্রত্যাশা পূর্ণ করতে পেরেছেন?
অভিনয় - অক্ষয় কুমার, সিদ্ধার্থ মলহোত্রা, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ, জ্যাকি শ্রফ, আশুতোষ রানা
পরিচালক - করণ মলহোত্রা
ছবির পটভূমিকা
গ্যারি (জ্যাকি শ্রফ) নিজের সাজার মেয়াদ শেষ করে জেল থেকে মুক্তি পায়। মন্টি (সিদ্ধার্থ মলহোত্রা) তাকে বাড়ি নিয়ে যায়। অন্যদিকে জন্নি (জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ) এবং ডেভিড (অক্ষয় কুমার) নিজেদের মতো জীবন কাটাচ্ছিল। তাদের ছোট মেয়ে কিডনির সমস্যায় ভুগছে। এদিকে ডেভিডেরও আর্থিক টান। ইতিমধ্যে ডেভিড জানতে পারে মিস্টার ব্রেগ্যাঞ্জা ভারতে এসেছেন কয়েকজন ভারতীয় বক্সিং খেলোয়াড়দের প্রতিযোগিতায় সুযোগ দেওয়ার জন্য।
মন্টি গ্যারির ভালবাসার ফল। একদিন গ্যারি মন্টিকে বাড়িতে নিয়ে আসে, ডেভিড এবং গ্যারির স্ত্রী মারিয়া (শেফালি শাহ) মন্টিকে পরিবারে গ্রহণ করে। কিন্তু সত্যিটা সামনে আসতেই গ্যারি ও মারিয়ার মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। দুর্ঘটনাবশত গ্যারির ধাক্কায় মারিয়ার মৃত্যু হয়। ডেভিড বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যায়, গ্যারিও জেলে যায়।
ভালবাসা-ঘৃণা, রাগ-অভিমান ও বিভিন্ন আবেগের মধ্যে দিয়েই চলতে থাকে ছবি। এই ছবিতে আবেগের পাশাপাশি দারুণ সব এমএমএ ফাইটের দৃশ্য রয়েছে।
ব্রাদার্স-এ
অভিনয়
এই
ছবিতে
বাবার
ভূমিকায়
জ্যাকি
শ্রফ
অনবদ্য।
প্রথমার্ধে
তার
অভিনয়
এতটাই
শক্তিশালী
ছিল
যে
আপনি
চাইলেও
চোখ
সরাতে
পারবেন
না
জ্যাকির
দিক
থেকে।
অক্ষয়
প্রত্যাশা
মতোই
নিজের
সেরাটা
দিয়েছেন
ছবিতে।
পরিবারের
সঙ্গে
তার
ভাবাবেগকে
যেভাবে
পর্দায়
ফুটিয়ে
তুলেছেন
অক্ষয়
তা
একবারের
জন্য
হলেও
চোখে
জল
আনে।
সিদ্ধার্থ
কিন্তু
অক্ষয়ের
মতো
ছবিতে
অভিনয়ের
ততটা
সুযোগ
না
পেলেও
নিজের
অ্য়াঙ্গরি
ইয়ংম্যান
লুকে
সবার
মন
জয়
করে
নিয়েছেন।
বাকিদের
তুলনায়
জ্যাকলিনকে
সেভাবে
ছবিতে
দেখাই
গেল
না।
তবে
জ্যাকলিনের
উপস্থিতি
চোখে
পড়েছে।
অভিনয়ের
বাইরে...
এই
ছবির
মধ্যে
দিয়ে
দর্শকের
মন
কিছুটা
হলেও
ছুঁয়েছেন
করণ।
প্রথমার্ধ
যদি
ছবির
গল্প
বোঝাতে
খরচ
করেন
করণ
তাহলে
দ্বিতীয়ার্ধ
ছিল
কিছু
উন্নত
মানের
দেখার
মতো
এমএমএ
ফাইটের
জন্য।
কিন্তু
তবুও
ছবির
ধীর
গতির
জন্যই
যেন
এক
বালতি
দুধে
এক
ফোঁটা
চোনা
পড়ে
গেল।
ছবির আবেগ ধরে রাখতে গিয়ে ছবির গতি হারিয়েছেন করণ। ফলে কিছু কিছু জায়গায় আবেগটাও ধরে রাখতে পারেননি। ফলে কয়েকটা জায়গায় মনে হয়েছে যেন ছবিটা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ক্যামেরা ও এডিটিং-এর প্রশংসা না করলে তা সত্যিই অন্যায় হবে।
ইচ্ছা ছিল না করিনার প্রসঙ্গ তোলার, কারণ তার জন্য আপাতত ভাল কিছু বলার নেই আমার কাছে। গোটা ছবিটা দেখার পর করণকে শুধু একটাই প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হচ্ছে , 'করিনাকে দিয়ে ওই অনর্থক আইটেম ডান্সটা করানোর কী খুব প্রয়োজন ছিল?'