ভূত পার্ট ওয়ান–দ্য হন্টেড শিপ, ভয়ের চেয়ে দর্শকরা হাসবেন বেশি
ভূত পার্ট ওয়ান–দ্য হন্টেড শিপ, ভয়ের চেয়ে দর্শকরা হাসবেন বেশি
উরি বা রাজির মতো সিনেমা দেখার পর কেন ভিকি কৌশল এরকম ছবিতে অভিনয় করতে গেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। কারণ ভূতের ছবি ভূত পার্ট ওয়ান-দ্য হন্টেড শিপ ভূতের কম হাসির ছবি বেশি মনে হয়েছে। এ ছবির বেশ কিছু দৃশ্যে দর্শক হো হো করে হেসে উঠেছেন। বাইরে অপেক্ষারত দর্শকরা মনে করতেই পারেন যে তাঁরা হয়ত কমিক ছবি দেখার জন্য এসেছেন। ছবিতে ভয়ঙ্কর দৃশ্যগুলিতে ভয়ের বদলে দর্শকদের হাসিয়েছেন পরিচালক। ভানু প্রতাপ সিংয়ের বলিউডের প্রথম ছবি, তাও আবার ভূতের তা একেবারেই ব্যর্থ বলেই মনে হচ্ছে। ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েনে ক্ষতবিক্ষত শিপিং অফিসার পৃথ্বী (ভিকি কৌশল) এগিয়ে আসেন এক পরিত্যক্ত ভৌতিক জাহাজের রহস্য উন্মোচন করতে। অবশেষে কী সফল হবে পৃথ্বী? নাকি অন্য কোনও মোড় নেবে তাঁর জীবনে, তা নিয়েই এই ভূত ছবির গল্প।
ছবির গল্প
পৃথ্বী একজন সাহসি হৃদয়ের ব্যক্তি। একাকী আত্মা যিনি তাঁর স্ত্রী (ভূমি পেদনেকার) এবং কন্যার মৃত্যুতে শোক করছেন। নিজের জীবন বিপন্ন করে তিনি মানুষকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যান। পৃথ্বীর জীবনের একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস দেওয়ার পরে, চলচ্চিত্রটি তার আসল নায়ক সি বার্ড, একটি পরিত্যক্ত জাহাজের মুম্বাইয়ের তীরে পৌঁছে যাওয়া নিয়ে কোনও সময় নষ্ট করে না। ভিকির সংস্থা এই জাহাজের দায়িত্ব থেকে মুক্তি পেতে ভিকি (পৃথ্বী)-কেই ওই পরিত্যক্ত জাহাজে পাঠায়। এই জাহাজটি ভৌতিক এরকম গুজব শোনা গেলেও ভিকি সব গুজব উড়িয়ে দিয়ে জাহাজের মধ্যে প্রবেশ করেন। নিজে কিছু ভৌতিক কাজকর্ম দেখার পর পৃথ্বী সিদ্ধান্ত নেন যে এই ঘটনার গভীরে যাবেন। তাঁর জাহাজে থাকার অভিজ্ঞতা ও কিছু প্রমাণ জোগাড়ের পর এটা স্পষ্ট হয় যে এই সি বার্ড জাহাজটি ভৌতিক।
অভিনয়
ছবির চিত্রনাট্য ভিকির চরিত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিশেষ সাহায্য না করলেও, নিজেকে উজাড় করে চরিত্রটিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন ভিকি কৌশল। ছবিতে একটি ছোট অংশে পৃথ্বীর স্ত্রীর চরিত্রে দেখা যায় ভূমি পেদনেকরকে। অন্যদিকে আশুতোষ রানার চরিত্রটি একেবারেই যত্ন নিয়ে লেখেননি পরিচালক।
পরিচালকের কৃতিত্ব
নবাগত লেখক-পরিচালক ভানু প্রতাপ সিং তাঁর প্রথম ছবিতেই চরম ব্যর্থ হয়েছেন। ভূতের ছবি বানিয়েও দর্শকদের ভয় দেখাতে পারলেন না। দুর্বল চিত্রনাট্যের কারণে ছবির গতি খুবই স্লথ হয়ে পড়ে। ভূতের ছবি মানেই আমরা জানি শিহরিত করা দৃশ্য, যা দেখে চোখ বন্ধ করতে বাধ্য হবে দর্শক, ভয়ে একেবারে গায়ের লোম খাড়া হয়ে যাবে। কিন্তু এই ছবিতে সেরকম কোনও দৃশ্যই দেখাতে পারেননি পরিচালক। তবে ছবির দৃশ্যায়ন প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।