'ভালোবাসার বাড়ি'- কী দর্শকের মনের ঘরে জায়গা করে নিতে পারল! জানুন ছবির গল্প
ফের একসঙ্গে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও পরিচালক তরুণ মজুমদার। সাধারণ ঘটনা ঘিরে কিছু অসাধারণ অনুভূতি উস্কে দেওয়ার হাতছানি এই পরিচালক-অভিনেত্রী জুটি ।
ফের একসঙ্গে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও পরিচালক তরুণ মজুমদার। সাধারণ ঘটনা ঘিরে কিছু অসাধারণ অনুভূতি উস্কে দেওয়ার হাতছানি এই পরিচালক-অভিনেত্রী জুটি । 'আলো' থেকে 'ভালোবাসার বাড়ি' পর্যন্ত সফরে এই জুটি প্রায় একটা অধ্যায় পেরিয়ে এল। নিজের কিংবা পাশের বাড়ির চেনা চরিত্রদের নিয়ে বরাবরই অসাধারণ ছবি বানিয়েছেন পরিচালক তরুণ মজুমদার। 'শ্রীমান পৃথ্বীরাজ' থেকে 'দাদার কীর্তি', তরুণ মজুমদারের সমস্ত ছবিতেই এই তথ্যটি প্রকট। তাই 'ভালোবাসার বাড়ি' নিয়েও উৎসাহ ছিল দর্শকদের। দেখে নেওয়া যাক সেই উৎসাহ আদৌ উস্কে দিতে পারল কী না এই ছবি?
ছবির গল্প
সাংবাদিক তথা সাহিত্যিক প্রচেতগুপ্তর লেখা গল্প অবলম্বনে তৈরি ছবি 'ভালবাসার বাড়ি'। মফঃস্বলের একান্নবর্তী পরিবার তথা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের কিছপ চেনা চেনা ছবি নিয়ে তৈরি এই ছবির বুনোট। কলকাতার কাছে হুগলির কোন্নগর এই ছবির পটভূমি। ছবির মূল গল্প আবর্তিত হয়েছে বল্লরীর(ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত )জীবন ঘিরে। বল্লরীর বাবা কাজ করেন চটকলে। সুখের সংসারে হঠাৎই চটকল বন্ধের খবর ডেকে আনে প্রবল আর্থিক সংকট। একটা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার ধীরে ধীরে দুঃসময়ের গ্রাসে চলে যেতে থাকে। এরপর কী হয়, তা জানতে দেকতে হবে ছবিটি।
পরিচালনা
তরুণ মজুমদারের ছবি মানেই সুক্ষ্ম অনুভূতিকে ছুঁয়ে যাওয়া একগল্প। 'ভালোবাসার বাড়ি'-ও সেরকমই একটি প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে। কিন্তু আগাগোড়াই এই ফিল্মেট ভিচতে কিছুটা খামতি লক্ষ্য করা গিয়েছে পরিচালনার দিক দিয়ে। তরুণ মজুমদারের ছবির যে ঘরানা আমরা পেয়েছি, এই ছবি সেই ঘরানার হলেও, তাতে গল্পের বুনোটে বেশ কিছু ফাঁক ফোকর থেকে গিয়েছে।
অভিনয়
অর্জুন চক্রবর্তী থেকে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, প্রত্যেকেই এই ছবির সম্পদ। নিজের সীমানার মধ্যে থেকে এঁরা নিজেদের ১০০ শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করলেও, কোথাও গিয়ে গল্প আর অভিনয় দক্ষতা সমান্তরাল পথে তলতে পারেনি। প্রয়াত অভিনেতা দ্বিজেন বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিভাস চক্রবর্তীর অভিনয় এই ছবির বাড়তি পাওনা।
সবশেষে
যে আশা নিয়ে দর্শক 'ভালোবাসার বাড়ি' ছবিটি দেখতে যাবেন ভাবছেন, তা খানিকটায় হয়তো ভাঁটা পড়তে পারে। তবুও, সপরিবারে দেখার জন্য এই ছবি উইকেন্ড জমিয়ে দিতে পারে।