মণিকান্তপুরে কী ঘটেছে সেটা কি জানেন! সেখানে 'গুপ্তধনের সন্ধানে' বেড়িয়ে কী পেলেন আবিররা
বাঙালির জন্য রহস্য গল্প আর গোয়েন্দা গল্পের ভান্ডার সমৃদ্ধ করে গিয়েছেন প্রথিতযশা বাঙালি সাহিত্যিকরা। সত্যজিৎ, শরদিন্দু থেকে শীর্ষেন্দু-সুনীল তালিকাতা বেশ লম্বা।
বাঙালির জন্য রহস্য গল্প আর গোয়েন্দা গল্পের ভান্ডার সমৃদ্ধ করে গিয়েছেন প্রথিতযশা বাঙালি সাহিত্যিকরা। সত্যজিৎ, শরদিন্দু থেকে শীর্ষেন্দু-সুনীল তালিকাতা বেশ লম্বা। এঁদের লেখা পড়েই বাঙালির একের পর এক প্রজন্ম বড় হয়েছে। তবে নতুনত্বের খোঁজ সব সময়েই ছিল বাঙালি পাঠক-দর্শকের মনে। আর সেই খোঁজকে খানিকটা উস্কে দিয়েছেন পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ছবি 'গুপ্ত ধনের সন্ধানে' মুক্তি পেতেই পরিচালক বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি কথা রেখেছেন। কারণ এ গ্লপ কোনও সাহিত্যের লেখনী থেকে অনুপ্রাণিত নয়, পরিচালক আর গল্পকারের মুন্সিয়ানার ফসল।
গল্প
মণিকান্তপুরের জমিদার নৃসিংহ প্রসাদ রায়। ছবিতে দেখানো হয়েছে এই মণিকাপন্তপুরের গুপ্তধনের রহস্যময় ঘটনা। মোঘল রাজা সুজা তার বাড়িতে এসে খাজানা রেখে গিয়েছিলেন। সেই খাজানা ঘিরে এক রহস্য উন্মোচনের জন্য় আসেন অক্সফোর্ডের ইতিহাসের অধ্যাপক সুবর্ণ সেন (আবির ), সঙ্গে আসেন তাঁর দুই সঙ্গী আবির (অর্জুন) ও তাঁর প্রেমিকা ঝিনুক(ঈশা সাহা)। এরপর গল্প কোনদিকে এগোয় তা দেখতে থিয়েটারে যেতে হবে।
পরিচালনা
ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু দাশমুন্সির লেখা গল্প রহস্যকে পরতে পরতে সাজিয়ে ফেলেছে পরিচলানার মুন্সিয়ানাতে। রহস্য গল্পের সঙ্গে প্রেমের একটা প্রচ্ছন্ন আভাস যুগিয়েছে ছবি পরত পরতে উপভোগ্য। আর সেদিক থেকে পরিচালক হিসাবে ধ্রুব বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কাজ অসামান্য।
অভিনয়
আবির চট্টোপাধ্যায়কে এমনিতেই এতদিনে ব্যোমকেশ আর ফেলুদার বেশে দেখে এসেছে মানুষ। তবে এবার অধ্যাপক সুবর্ণের ভূমিকায় কোথাও একঘেয়ে লাগবার সুযোগ দেননি এই অভিনেতা । প্রজাপতি বিস্কুট-এর পর ঈশা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে থাকতে এসেছেন। অর্জুনও এই ছবিতে একেবারে ঠিকঠাক! তবে আলাদাভাবে নজর কাড়লেন রজতাভ।
সবশেষে
এখনও পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টি বা আইপিএল-এর মাঝে পড়ে যাঁদের 'গুপ্তধনের সন্ধানে' ছবিটি দেখা হয়নি, তাঁরা অবশ্যই দেখুন এই ছবিটি। ছবির গল্পে নতুন এক রহস্য উন্মোচনের মজা পাবেন দর্শকরা।