আহা রে !'মন কেমন'- এর অন্য মন্তাজ বাঁধলেন অঞ্জন-ঋত্বিক-মমতারা, কেমন হল ছবি
বৃষ্টি শেষের পর বিকেলের ফুরফুরে হাওয়ায় 'হাঁপিয়ে ওঠা মন' জুড়িয়ে গেলে কোথাও অস্ফুটে বেরিয়ে আসে 'আহা রে!'
বৃষ্টি শেষের পর বিকেলের ফুরফুরে হাওয়ায় 'হাঁপিয়ে ওঠা মন' জুড়িয়ে গেলে কোথাও অস্ফুটে বেরিয়ে আসে 'আহা রে!' একটা 'আহা রে' অনেক যন্ত্রণার মলম হতে পারে, আবার কখনও একটা 'আহা রে' অনেক যন্ত্রণাকে নতুন করে জাগিয়ে দিতে পারে। একটা শব্দকে ঘিরে মনের অনেক রঙ যে কীভাবে ধরা যেতে পারে তা দেখালেন পরিচালক প্রীতম ডি গুপ্ত। 'আহা রে মন' খোঁজ দিল চেনা অনেচা একাধিক মনের মন্তাজের।
গল্প
ছবিতে সাতজন মানুষের সাতটি চরিত্র রয়েছে। প্রত্যেকটি থেকে প্রত্যেকটি চরিত্র একেবারে আলাদা, তাঁদের মনের দুনিয়াও তাই আলাদা। কিন্তু সমস্ত ক'টা মন কোথাও গিয়ে মিশে গিয়েছে এক লহমায়। রমোনা (পাওলি)র সঙ্গে পূর্ণেন্দু (আদিল)-এর ভাব, চারুলতা ( মমতা শংকর)র সঙ্গে পাহাড়ি (অঞ্জন দত্ত)র প্রেম রঙ বকিংবা মাইকেল (ঋত্বিক)এর সঙ্গে সুজি (পার্ণো)র সম্পর্ক নানা ধরনের মন-রাজ্যের হদিশ দিয়েছে। ক্যানসারে আক্রান্ত তিতলি (চিত্রাঙ্গদা) মনের গভীরে স্বপ্নের নায়ককে নিয়ে নিজের মতো করে ইচ্ছে বুনে চলেছেন। এই সমস্ত মনের হদিশ দিতে দিতেই একটা গল্প বলতে শুরু করেন পরিচালক, যার শেষে রয়েছে চরম টুইস্ট।
[আরও পড়ুন:'উমা' র বোধনে বৃষ্টি-ভিজল চোখ থেকে মন! গল্প বলার ধরনে মন কাড়লেন সৃজিত]
পরিচালনা
মাল্টি স্টারকাস্ট, তার সঙ্গে ক্যামিওর চরিত্রের চমক। এরসঙ্গে আবার যুক্ত হয়েছে অবলীলায় ফুরফরে মেজাজে গল্প বলার ধরণ। প্রীতম ডি গুপ্ত দেখিয়ে দিয়েছেন ছক ভেঙে নতুন ভাবনা তৈরির খেলায় তিনি পাকা খেলোয়াড়।
[আরও পড়ুন:রবীন্দ্রনাথের ভূমিকায় সাহেব! কোন ছবিতে দেখা যাবে এই তরুণ অভিনেতাকে]
অভিনয়
ঋত্বিক চক্রবর্তী বাংলা ছবির একটি অন্যতম সম্পদ। 'আহা রে মন'-এ সেই তত্ত্ব তিনি আবার প্রমাণ করলেন। যেকোনও ভূমিকায় তাঁর সাবলীল অভিনয় প্রতিবারই অবাক করেছে দর্শকদের। ছবিতে আদিল হুসেন, মমতা শংকরের অভিনয় আলাদা মাত্রা এনেছে। অঞ্জন দত্তকে এ ছবিতে নতুন করে আবিষ্কার করতে হয়নি, অন্যদিকে পাওলি থেকে পার্ণো নিজের চরিত্র সবটুকু দিয়ে ভরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আলাদা করে ছবিতে নজর কেড়েছেন চিত্রাঙ্গদা।
সঙ্গীত
শ্রীজাত থেকে সৃজিত, প্রীতমের ছবির জন্য গান লিখেছেন দুই গুণীই। অঞ্জন দত্তের কণ্ঠে 'ওগো বিদেশিনী' এই ছবির বাড়তি পাওনা। ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন নীল দত্ত। হালকা মেজাজের সুরে কথায় খেয়ালে এই ছবির কয়েকটি গান মনে ধরেছে বাঙালির।
সবশেষে
অবুঝ মন, একলা মন, পাগল মন, খেয়ালি মন, ফেরারি মন.... সব মনের একটা ভাষা থাকে। আরসেই ভাষাকে চিনে নিতে পারে আরেকটা মন। সেখান থেকেই শুরু হল গল্প, সেখান থেকেই পথচলা। এই পথ চলার কথাই বলেছে প্রীতমের 'আহারে মন'।