গল্পের টানটান উত্তেজনা কি ধরে রাখতে পারল 'কবীর'! জানুন ছবির কাহিনি
নববর্ষে দেব ভক্তদের জন্য উপহার ছিল 'কবীর ' ছবিটি। যে ছবি আগামী সপ্তাহেই লড়াইয়ের মঞ্চে নামবে প্রসেনজিতের 'দৃষ্টিকোণ' ছবির সঙ্গে।
নববর্ষে দেব ভক্তদের জন্য উপহার ছিল 'কবীর ' ছবিটি। যে ছবি আগামী সপ্তাহেই লড়াইয়ের মঞ্চে নামবে প্রসেনজিতের 'দৃষ্টিকোণ' ছবির সঙ্গে। তার আগে নববর্ষের সপ্তাহে ভক্তদের থিয়েটারে টানতে কোনও করসরৎ বাদ রাখেননি দেব। ফিল্মের অভিনয় তথা প্রচার , সমস্ত বিষয়ে একচুল জমি ছাড়েননি তিনি। দেখা যাক প্রথমবার একটি নেগেটিভ শেডের চরিত্রের দেব কেমন ভাবে ধরা দিলেন 'কবীর' ছবিটিতে।
ছবির গল্প
পর পর বিস্ফোরণ.. তাড়াহুড়ো প্রশাসনিক মহলে.. চরম আতঙ্কে কাঁপছে মুম্বই! বিস্ফোরণের আকস্মিকতা , আতঙ্কের মধ্যেই কান্নার , অ্যাম্বুলেন্সের শব্দে ভয়াবহতা গ্রাস করছে একটা শহরকে। আর সেই সময় শহরের হুলুস্থুলু পরিবেশে আটকে পড়েছেন এক মহিলা। নাম ইয়াসমিন (রুক্মিনী) । এই মহিলাকে বিপদের মধ্যেই ট্রেনে পৌঁছে দিতে যায় আরেক তরুণ, যাঁর নাম কবীর (দেব)। আর ট্রেনে উঠে ইয়াসমিনের সঙ্গে আবারও দেখা হয় কবীরের । না! এখানে আর কোনও প্রেম-টেম জাতীয় জিনিস আশা করবেন না! তবে এরপর কী হতে যায়, সেটা দেখতে হলে যেতে হবে প্রেক্ষাগৃহে !
অভিনয়
ছবিতে দেব নিজেকে ভেঙে নতুন করে গড়ার সমস্ত চেষ্টা করেছেন। পুরনো 'নায়ক' ইমেজ ভেঙে ফেলে দেব কিছুটা নেগেটিভ শেডের একটি চরিত্রকে নিজেকে বসিয়ে নিয়েছেন। তবে কোথাও যেন দর্শকদের প্রাপ্য পাওনাটা দিতে পারলেন না তিনি। অন্যদিকে, শতাফ ফিগার এই ছবিতে বশ মানানসই। দক্ষতার সঙ্গে তিনি অভিনয় রেছেন। রুক্মিনীকে ঘিরে আরও কিছুটা আশা করেছিল দর্শক।
পরিচালনা
টানা টান ঠবির গল্পের মধ্যেই , ছবির সাফল্যের যাবতীয় রসদ ঢুকিয়ে দিতে পেরেছেন পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায়। কোনও বিতর্কিত বার্তা যেমন ছবিতে দেননি, তেমনই অযথা নীতিকথাও তিনি শোনাননি ছবিতেষ বাস্তবের আদলে একটা 'হতে পারত' বা 'যদি হত '-কে তুলে ধরেছেন তিনি। তাও তাঁর নিজের ছিমছাম কায়দায় তা করেছেন অনিকেত।
সবশেষে
এই ছবিতে তথ্য বেশি দিতে গিয়ে কয়েকটা জায়গায় অতিরঞ্জিত হয়েছে । তবে, আপনি দেব ভক্ত হলে সেসব 'সাত খুন মাফ' হয়ে যাবে। আপাতত নববর্ষে আনন্দের মেজাজে এই ছবি উইকেন্ডে দেখেই নিতে পারেন।