সইফের 'বাজার' কি চাঙা! কোন বার্তা দিচ্ছে তাঁর নতুন ছবি
প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে প্রতিশোধ। পেশাগত জীবনে কর্তৃত্ব কায়েম রাখার লড়াইয়ে বিভিন্ন অধ্যায় জায়গা করে নেয় নিজের মত করে। আর এই অধ্যায়ের পরতে পরতে রয়েছে বিভিন্ন চমক।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে প্রতিশোধ। পেশাগত জীবনে কর্তৃত্ব কায়েম রাখার লড়াইয়ে বিভিন্ন অধ্যায় জায়গা করে নেয় নিজের মত করে। আর এই অধ্যায়ের পরতে পরতে রয়েছে বিভিন্ন চমক। যে চমকে নেপথ্য কাহিনি বুনেছে কিছু ধূর্ত ব্য়ক্তিত্ব। এমনই এক কাহিনি তুলে ধরেছে সইফ আলি খান অভিনীত 'বাজার'।
প্রেক্ষাপট
এই গল্পের দুটি চরিত্র একজন শকুন কোঠারি (সইফ আলি খান), ও রিজওয়ান আহমেদ (রোহন মেহরা)। আর এঁদের সঙ্গে রয়েছেন রিজওয়ানের গার্লফ্রেন্ড (রাধিকা আপ্তে)। মুম্বইয়ে নিজের স্বপ্ন সফল করতে পৌঁছয় রিজওয়ান। যাঁর লক্ষ্য কর্পোরেট সেক্টর শুধু নাম নয়, প্রতিপত্তি কামানো। অন্যদিকে, মুম্বইয়ের অন্যতম বিজনেস টাইকুন শকুন কোঠারি। এই লোভি ,ক্ষমতাশীল গুজরাতি নিজেকে প্রমাণের ক্ষিদে সঙ্গে নিয়ে চলেন। ঘটনাক্রমে রিজওয়ান আর শকুন মুখোমুখি হন একে অপরের। তারপরই একের পর এক অধ্যায় নিয়ে শোধ প্রতিশোধের পরিবেশে এগোতে থাকে গল্প।
অভিনয়
এক ধূর্ত গুজরাতি ব্যবসায়ীর ভূমিকায় রয়েছেন সইফ। তবে গুজরাতি ভাষার টান , তাঁর সংলাপে এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে যে তা তাঁর অভিনয়ের সাবলীল ধারাকে নষ্ট করে দিয়েছে। অন্যদিকে নবাগত রোহন নিজের অভিনয় দক্ষতায় বেশ পোক্ত। ছবির অন্যতম সম্পদ রাধিকা আপ্তে। আরো একবার তিনি প্রমাণ করেছেন ভিন্ন স্বাদের ছবিতে বলিউডে তাঁর প্রয়োজন কতটা।
পরিচালনা
ছবির চরিত্র রচনায় বেশ খানিকটা দুর্বলতা দেখা দিয়েছে পরিচালক গৌরবের দিক থেকে। এই দুর্বলতা তিনি কাটাতে পারেননি ছবির গল্পের বুনোটেও। ছবির দ্বিতীয় ভাগের গতিও সেক্ষেত্রে বেশ মন্থর।
সবশেষে
'বাজার' ঘিরে অনেকেরই আশা ছিল 'রেস' ছবির সইফকে ফের ফিরে পাওয়া যাবে। অনেকেই ভেবেছিলেন বিশাল ভরদ্বাজের হাতে তৈরি 'লংড়া ত্যাগী'র স্মৃতি আবারও হয়ত উস্কে দেবেন সইফ। তবে আদৌ তার ধারে কাছে যেতে পারেননি 'সেক্রেড গেমস ' পরবর্তী যুগের সইফ আলি খান। যাঁর স্টারডম ঘিরে এই ছবির ইউএসপি অনেকটাই নির্ভর করেছিল।