Baghi 3 Movie Review:টাইগার সিরিয়া বাঁচিয়ে নিলেও ফিল্ম কি বাঁচাতে পারলেন কি!
'এ কেমন ফিল্ম!' 'বাগী ৩' দেখে মাল্টিপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে এমন মন্তব্য আপনি করতেই পারেন। কারণ জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ১৪৩ মিনিট ধরে যদি আপনি কিছু অযৌক্তিক অ্যাকশনের ঘটনা পরম্পরা 'ফিল্ম' হিসাবে দেখেন, তখন আপনার এমনই মন্তব্য উঠে আসতে বাধ্য। টাইগার স্রফকে 'ভারতীয় ব়্যাম্বো' বলার সময় যে আসেনি এখনও তা আবারও বুঝিয়ে দিল 'বাগী ৩'।

এ কেমন গল্প!
গল্পের শুরু রনিকে (টাইগার স্রফ) দিয়ে। 'বাগী' সিরিজের আগের ছবিগুলির মতো এই ছবিতেও একই ধরনের চিত্রনাট্য 'ভর' করেছে ফিল্মে। যাই হোক! গল্পে আসা যাক। রনির দাদা বিক্রম (রীতেশ দেশমুখ) কজন পুলিশ অফিসার। এমনই পুলিশ অফিসার বিক্রম যাঁরা না আছে 'বিক্রম' না রয়েছে আত্মরক্ষর মতো ক্ষমতা। আর সেই জন্য বিক্রমের খেয়াল রাখতে রনিকে দায়িত্ব দিয়ে যান ওঁদেন বাবা আইপিএস চৌধুরী (জ্যাকি স্রফ)। সত্তরের দশকের বলিউড ছবির মতো এখানেই চিত্রনাট্যের একটি 'অঙ্কে'র যবনিকা পতন হচ্ছিল। আর সেই সময় এসে যায় বিক্রমের অপহরণ, সিরিয়া ও অ্যাকশনে ঠাসা গল্পের 'চরম' পরিণতির দিক। যেখানে সিরিয়াকে টাইগার উদ্ধার করলেও ফিল্ম তিনি বাঁচাতে পারেননি।

জীবন্ত বলিউডের আশির দশক!
ছবির পরিচালনা দেখলে মনে হতেই পারে যে আহমেদ খান ছবিতে আশির দশকের সাদাকালো দিককে ফুটিয়ে তুলেছেন ২০২০ তে এসে। সাম্প্রতিক প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন দিক রয়েছে, যেমন জঙ্গি, সিরিয়া, পুলিশ, আইপিএল.. আবার রয়েছে বলিউডের বস্তা পচা ভালো-খারাপের যুদ্ধ। সবমিলিয়ে পরিচালক তেলের মধ্যে মশলা দেবেন , নাকি মশলার মধ্যে তেল দেবেন, তা ঠিক করতে পারেননি! শেষে 'বাগী ৩' নামের যে পাঁচ মিশেলি তরকারিটি তৈরি হয়েছে তা বুঝতে বুঝতেই সিনেমা শেষ হয়ে যায়।

'বাগী' ও টাইগার!
টাইগার বনাম গুন্ডা! টাইগার বনাম ৩ টে হেলিকপ্টার! টাইগার ও কুস্তি! ... সবমিলিয়ে টাইগার-ময় ছবিতে অভিনয়ের ব্যাঘ্র বিক্রম 'মিসিং' ছিল অনেকেটাই! যেটা দখল করেছিল টাইগারের চরিত্রকে তা হল অ্যাকশন। ছবিতে রীতেশ দেশমুখ অত্যন্ত দুর্বলতার পরিচায় দিয়েছেন অভিনীত চরিত্র ও অভিনয় দুটি দিকেই! 'বাগী' সিরিজের শুরু দিশা পাটানির সঙ্গে, আর 'বাগী ৩' এ টাইগারের সঙ্গে রয়েছেন শ্রদ্ধা। আর এতগুলি নেগেটিভের মধ্যে পড়ে শ্রদ্ধাও পিছিয়ে পড়েন যথেষ্ট।